কেন জামিন হলো না মিন্নির
-
মামলার প্রধানসাক্ষী থেকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার হওয়া নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জামিন না দেয়ায় আবেদন ফিরিয়ে নিয়েছেন তার আইনজীবী। আদালত জামিন না দিয়ে জামিন প্রশ্নে রুল জারি করতে চাইলে আইনজীবী জেড আই খান পান্না আদালতে আবেদনটি ফিরিয়ে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত আদালত জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানিতে আদালত বলেন, একটি গ্রাউন্ডে শুধু জামিন বিবেচনা করা যেতে পারে। তা হচ্ছে তিনি নারী। এজন্য ১৬৪ ধারায় দেয়া মিন্নির জবানবন্দী লাগবে। আদালত বলেন, আপনারা ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দী নিয়ে আসেন। জবাবে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, আমাদের ওই জবানবন্দী না দিলে কিভাবে দেব? আমরা এটা দেয়েছি, কিন্তু দেয়া হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারদিন ধার্য করেন আদালত। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিন্নির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জেড আই খান পান্না, সঙ্গে ছিলেন আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম ও জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।
সোমবার জামিন আবেদনের শুনানির সময় আইনজীবী জেড আই খান পান্না আদালতে বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ মামলায় আমি চাক্ষুষ সাক্ষী অথচ মামলার ১২ নম্বর আসামির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমাকে আসামি করা হয়েছে। অবশ্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও রিফাতকে বাঁচাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখায় পুলিশ। পরে এক আসামির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।