আবার আলোচনায় আল্লামা সাঈদী
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী - ছবি : সংগ্রহ
ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৪জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। মামলার মোট আসামী ছিলো ১১০ জন, ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে এ চার্জ গঠন করা হয়।
এরআগে বেলা সোয়া ১১টায় আল্লামা সাঈদীকে রাজশাহীর জেলা জজ আদালতে নেয়া হয়। এসময় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তাকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেছেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়েছেন।
এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন আদালতে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীলয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ফারুক নামের একজন ছাত্র নিহত হয়। এতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও সম্পৃক্ত কারণ ঘটনার দুই দিন আগে রাজশাহীতে তিনি সফর করেছিলেন, তাই তিনি হুকুমের আসামী।
এ বিষয়ে আদালতের এজলাসে দাড়িয়ে আল্লামা সাঈদী বলেন, ওই ঘটনার সাথে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ এদিন আদালত ৫২জনকে হাজির করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১০৩ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। এরফলে এখন থেকে এই মামলার বিচার কার্য চলবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ফারুক নামের একজন ছাত্র নিহত হয়।
পরদিন এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই নগরীর রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।