বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডার স্টোকস!
বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডার স্টোকস! - ছবি : সংগ্রহ
বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা পারফরমার ইংলিশ অল রাউন্ডার বেন স্টোকস এটা কারোরই অজানা নয়। ফাইনালের নাটকীয়তার ফ্রন্ট লাইনেও ছিলেন তিনি। এতে তিনি ইংলিশ সমর্থকদের মন জয় করলেও গোটা কিউই’র সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন ‘ভিলেন’ হিসেবে। স্টোকস জন্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডেরই নাগরিক। এ কারণেই ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ীর নাম উঠতে যাচ্ছে বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডার মনোনয়ন তালিকায়।
২৮ বছর বয়সী স্টোকস নিউজিল্যান্ডেই জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে। তার পিতা জেরার্ড রাগবি কোচের দায়িত্ব নিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যাওয়ায় সেখোনেই বেড় ওঠেন স্টোকস। পরে পিতা-মাতা নিউজিল্যান্ডে ফিরে এলেও ইংল্যান্ডেই থেকে যান স্টোকস। গড়েন সফল ক্রিকেট ক্যারিয়ার। গত রোববার লর্ডসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের হার না মানা ৮৪ রানে ভর করেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। ফাইনালে এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে বর্ষসেরার নিউজিল্যান্ডার পুরস্কারের জন্য আগেভাগেই মনোনয়নের দাবিদার করেছে। যেমনটি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন করেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এ পুরস্কারের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান বিচারক ক্যামেরন বেনেট গতকাল শুক্রবার নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘উইলিয়ামসন ফাইনালসহ গোটা টুর্নামেন্টে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন, একজন কিউই হিসেবে পুরো শক্তি নিয়ে লড়াই করেছেন তিনি।
মজার বিষয় হচ্ছে একই রকম ধারায় এগিয়ে যাওয়ার কারণেই ইংল্যান্ডের স্টোকসও মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি হয়তো নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেননি; কিন্তু ক্রাইস্টচার্চেই তার জন্ম। সেখানেই তার পিতা-মাতা বসবাস করেন। নিউজিল্যান্ডের অনেকেই এখনো তাকে তাদের নাগরিক বলে দাবি করেন।
তবে এ বিষয়ে পুরস্কার আয়োজকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগামী ১ জুলাই পুরস্কারের মনোনয়ন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এবং শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখান থেকেই ডিসেম্বরে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তা প্রকাশ হবে ফেব্রুয়ারিতে।
সাধারণত দেশটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকেই এই পুরস্কার দেয়া হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করা মাইক কিং সম্প্রতি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে পুরস্কারটি সর্বশেষ পেয়েছিলেন অল ব্ল্যাক অধিনায়ক রিচি ম্যাককাও। ২০১৫ সালের বিশ্ব রাগবির শিরোপা জয়ের কারণে ২০১৬ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।