বিয়ের পর : কী করবেন, কী করবেন না
বিয়ের পর : কী করবেন, কী করবেন না -
বিয়ের পর জীবনের একটা সম্পূর্ণ নতুন পর্ব শুরু হয়। জীবনে নতুন মানুষ ও তার পরিবারের সাথে মানিয়ে থাকার সূত্রপাতও এখান থেকেই। নতুন কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগে বই কি। অনেকে হিমশিম খেয়ে দিশেহারাও হয়ে পড়েন। তাদের জন্য রইল সম্পর্ক সমন্বয় করে চলার কয়েকটি জরুরি টিপস।
পারিবারিক আয়োজন কিংবা নিজের পছন্দের হোক বিয়ের পর সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে বই কি। নতুন শ্বশুরবাড়ি আর নিজের ছোট ছোট অভ্যাস, ইচ্ছে, পছন্দ- এ দুইয়ের মধ্যে সেতু তৈরি করতে গিয়ে অনেকেই একটু সমস্যায় পড়ে যায়। তবে একটু অ্যাডজাস্টমেন্ট আর বুদ্ধি করে চললে দেখবেন সহজেই অ্যাডাপ্ট করে নিতে পারছেন।
বিয়ের পর সময়কে সমন্বয় একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির মধ্যে ব্যালান্স করে চলুন। বিয়ের পরপরই কিছু দিন একে অপরকে সময় দেয়া খুব জরুরি। তা পারিবারিক বা নিজের পছন্দের বিয়ে যাই হোক না কেন। নতুন সম্পর্কের ভিত দৃঢ় করতে এবং একে অপরকে আরো ভালোভাবে চিনে নেয়ার জন্য এই সময়টা খুব জরুরি। তাই বলে বিয়ের পর স্বামী যদি কোনো এক ছুটির দিনে ওর বন্ধুদের সাথে কাটাতে চায় তাতে বাধা দেবেন না। দেখুন, সামাজিক জীবন তো আপনাদের দু’জনেরই আছে। বিয়ে হয়ে গেছে মানেই সব কিছু বদলে গেল এমন তো নয়। কখনো কখনো টাইম বের করে আপনিও আপনার বন্ধুবান্ধবের সাথে ঘুরে আসুন।
একসাথে থাকতে গেলে দাম্পত্যে বিভিন্ন রকম সমস্যা আসতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার স্বামী বা স্ত্রী আপনার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ। তাই তার বেড়ে ওঠা, পরিবার, রুচিবোধ, ধ্যান ধারণা, অভ্যাসগুলো আপনার থেকে আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক। তাই তাকে তার মতো করেই গ্রহণ করুন। নিজেদের মধ্যে সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুন। নিজের মত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। সঙ্গীর দিকটিও বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেরদের মধ্যে রোমান্স বজায় রাখুন। রোজ দেখা হওয়ায় কাছের মানুষ অনেকটা চেনা হয়ে যায়। এটাকে বোরডম ভাববেন না। বরং দেখুন প্রতিদিনই একটু একটু করে আপনারা একে অপরের সাথে আরো বেশি কমফোর্টেবল হয়ে উঠবেন। মাঝে মধ্যে ঘুরতে যান। একে অপরকে সারপ্রাইজ দিন। অফিস ফেরত ছোট কোনো উপহার নিয়ে যান। একসাথে কোয়ালিটি টাইম কাটান। অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে যাবেন না। ওই সময়টুকু একে অপরকে দিন। ফোন বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সময় না কাটিয়ে নিজেরা গল্প করুন।
ঘরে নামাজ পড়লে দু’টি জায়নামাজ পাশাপাশি রেখে সালাত আদায় করতে পারেন। এতে দু’জনের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়বে। শ্বশুরবাড়িতে চেষ্টা করুন স্বাভাবিক থাকতে। আপনি তো এখন এই পরিবারেরই একজন, তাই আপনি যেরকম সেরকম ভাবেই থাকুন। শাশুড়িকে সব কাজে সাধ্যমতো সাহায্য করুন। শাশুড়ির কাছ থেকে জেনে নিন স্বামী ও পরিবারের সবাই কী কী খেতে ভালোবাসেন। সেই ডিশগুলো হঠাৎ একদিন রান্না করে খাইয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। অফিস থেকে ফিরে কিংবা রাতের খাবারের সময় টেবিলে সবাই একসাথে কিছুক্ষণ সময় কাটান। সারা দিন কী হলো গল্প করুন। আপনারা যদি আলাদা থাকেন, তাহলে চেষ্ট করুন দিনে একবার ফোন করে খোঁজ নিতে। কখনো কখনো ছুটির দিনে একসাথে বেড়াতে যান কিংবা লাঞ্চ বা ডিনার করুন। এতেই সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকবে।