ব্যাংক খাতে দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা
ব্যাংক খাতে দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা - ছবি : সংগ্রহ
প্রবাদ আছে- ‘বাপকা বেটা, সিপাইকা ঘোড়া’। যেমন বাপ, তেমন বেটা, তেমন সিপাইয়েল ঘোড়া। রাজা যত কঠোর হন, প্রজারা আইনের প্রতি তত শ্রদ্ধাশীল হয়। কোনো সংস্থা বা গোষ্ঠীপ্রধান বাস্তবতার নিরিখে নিজস্ব নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে যত শক্তিশালী হন, ওই সংস্থার সার্বিক অবস্থা তত ভালো হয়। দেশের আর্থিক খাত তথা ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যাংক খাতের অভিভাবক বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের অর্থনীতির প্রয়োজনে ব্যাংক খাতে নীতিসহায়তা দেয়। সংস্থাটির এসব নীতিনির্দেশনা পরিপালনে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হচ্ছে কিনা তাও দেখাশোনা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা কোনো ব্যাংক পরিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে সতর্ক করা হয়। প্রয়োজনে নির্দেশনা পরিপালনে জরিমানাসহ একাধিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করার হয়। যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানতে চায় না, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রয়ীয় ব্যাংকের ব্যবস্থা নেয়া দেখে অন্যরা সতর্ক হয়ে যায়। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কি ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে? এমনকি জবাবদিহি কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছে? সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ঘটনার দিকে নজর দিলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে।
সব ব্যাংককে তদারকি করতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করা হয়। ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব তা পরিপালন করা। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, এক সার্কুলার রাজনৈতিক চাপে চারবারও পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। যেমন, ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিং বন্ধে গত বছরের শুরুতে ঋণ আমানতের অনুপাত সাড়ে ৮৩ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়। প্রথমে ছয় মাসের সময় দেয়া হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক চাপে তা বাড়িয়ে এক বছর করা হয়। তৃতীয়বার আরো তিন মাস বাড়িয়ে ১৫ মাস করা হয়। চতুর্থবার আরো ছয় মাস বাড়িয়ে ২১ মাস করা হয়। বারবার পরিবর্তন বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পরিপালনের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা ধরে রাখতে না পারলে এমন সিদ্ধান্ত দেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বাস্তবতার নিরীক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়ার প্রয়োজন হলে তা পরিপালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরো কঠোর হওয়া দরকার। তা না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আস্থার সঙ্কট দেখা দেয়া স্বাভাবিক। পরিপালন না করতে পারা এমন সিদ্ধান্তের চেয়ে তা না দেয়া ভালো। আবার জনবলের অভাবে তদারকি ঠিকমতো না করতে পারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যথাযথভাবে পরিদর্শন না করায় ব্যাংকগুলোর সরবরাহ করা তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের জবাবদিহি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তÍরীণ নিরীক্ষায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
সাধারণত দেশের আর্থিক খাতের মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিআরআর হার কমিয়ে বা বাড়িয়ে থাকে। সিআরআর হলো, ব্যাংকগুলো সাধারণ আমানতকারীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করে থাকে, তার একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করে থাকে। এটি মূলত, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বাজারে টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজে লাগে।
এ কারণে, বাজারে যখন টাকার প্রবাহ কমে যায়, ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য তহবিলে টানা পড়ে, তখন মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে সিআরআর হার কমিয়ে দেয়া হয়। আবার বাজারে যখন টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়, তখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সিআরআর হার বাড়িয়ে দেয়া হয়। তাই সিআরআরের হার বাড়ানো বা কমানো নির্ভর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিনির্ধারণী হার বাড়ানো বা কমানোর আগে গভীরভাবে বিশ্লেষণ বা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। সম্ভাব্য ঝুঁকির দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু গত বছরের মাঝামাঝিতে এসে ব্যাংক পরিচালকেরা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে দিয়ে এটি এক শতাংশ কমিয়ে নেন। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হলো, ব্যাংক মালিকদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দেশের একটি পাঁচতারা হোটেলে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে ডেকে নেয় হয়। সেখানে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সিআরআর হার এক শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এক শতাংশ সিআরআর হার কমানোয় ব্যাংকগুলোর কাছে রাতারাতি ১০ হাজার কোটি টাকা চলে আসে। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারকেরা। প্রশ্নের মুখে পড়ে ব্যাংকগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা।
ব্যাংক মালিকেরা কথা দিয়েছিলেন, সিআরআর হার কমানো হলে ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের নিচে অর্থাৎ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনবেন। কিন্তু তাদের এ ঘোষণা শুধু কাগজে কলমেই রয়েছে। এ কারণে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ মার্চ জাতীয় শিল্পমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্যাংক মালিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, সুদের হার কমালেন না কেন? এভাবে ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু নির্দেশনা আকারে তা জারি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের সিআরআর কমানো, নতুন ব্যাংকের অনুমোদন, পরিচালক সংখ্যা বা পরিচালকদের মেয়াদ- সব ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এসব ঘটনার ফলে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনেক ক্ষেত্রে আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কেউ অবসরে গিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকে চাকরির সুযোগের আশায় নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে দুর্বল হচ্ছে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা। আবার বড় গ্রুপের ঋণ অনিয়ম বা বেনামি ঋণ ধরতে গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও রয়েছে।
বাছ-বিচার না করে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় একের পর এক নতুন ব্যাংক দেয়া নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে আরো তিনটি ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যদিও নতুন ব্যাংক না দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হয়। সর্বশেষ গত বছর দেয়া চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে অনুমোদিত নতুন নয়টি ব্যাংক বেশির ভাগ শর্ত পালন করতে পারেনি। ব্যাংকগুলোর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার কথা থাকলেও তা পারেনি। এ রকম পরিস্থিতিতে নতুন ব্যাংক দেয়ার বিষয়টি অধিকতর পর্যালোচনা করতে বলা হয়। এর আগে নয়টি ব্যাংক দেয়ার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ব্যাংক দেয়া হবে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায়।
অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংক বেশি হয়ে যাওয়ায় ব্যাংক খাতে অসম প্রতিযোগিতা বাড়ছে। নতুন ব্যাংক ভালো গ্রাহক না পেয়ে অন্য ব্যাংকের গ্রাহক ভাগিয়ে আনতে অনৈতিক চর্চায় লিপ্ত। কোনো কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কিনে নিচ্ছে। আর্থিকভাবে প্রভাবশালী গ্রুপের পেছনে ছুটছে সব ব্যাংক। এতে কখনো কখনো প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ পেয়ে যাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। এভাবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। পরে ওই অর্থ ফেরত দিতে আগ্রহ বোধ করছেন না গ্রহীতারা। আরেকটি পক্ষ ভালো উদ্যোগেও ঋণ পাচ্ছে না। এ কারণেই ব্যাংক খাতের অসম ও অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধে দুর্বল ভিত্তির ব্যাংকগুলো একীভূত করার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংককে উপেক্ষা করে ঋণখেলাপিদের নতুন সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ঋণখেলাপিরা দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১২ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এ সুযোগ পাবেন অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা। যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বা অসাধু ঋণখেলাপি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
৪ এপ্রিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক। এগুলো হলোÑ নির্দেশিত ঋণ, নি¤œমানের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্বল করপোরেট সুশাসন। বিশ্বব্যাংকের মতে, ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের অভ্যাস এবং ঋণ অবলোপন করার প্রবণতা বেড়েছে, যা ব্যাংক খাতে চাপ সৃষ্টি করছে। ঢালাওভাবে ঋণ পুনঃতফসিল করার কারণেই ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।
ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে সরকার। সংশোধিত আইনের আলোকে এক পরিবার থেকে চারজন এবং পরিচালক পদে টানা নয় বছর থাকার সুযোগ দেয়া হয়। এ সংশোধনীর বিপক্ষে মত দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন বলেছিল, এমনটি হলে পরিচালকদের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা দুরূহ হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ সম্পর্কিত ধারা পাঁচবার সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৩ সালে সংশোধিত আইনে দুই মেয়াদে ছয় বছর পরিচালক থাকার বিধান যুক্ত করা হয়।
এভাবে প্রভাবশালীরা চাইলেই, কোনো কিছু পেয়ে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতামত পাশ কাটিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়ায় দুর্বল হচ্ছে ব্যাংক খাত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ দিন দিন প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এর প্রভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। বিনিয়োগ দেয়ার মতো তহবিল ব্যাংকগুলোর হাতে কমে গেছে। দেশের অর্থনীতির স্বাথেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ পূর্ণ প্রতিষ্ঠা জরুরি। সব ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ঊর্ধ্বে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া এখন সময়ের দাবি।
এই লেখা শেষ করতে চাই জন্মসূত্রে বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংক ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জুনায়েদ কামাল আহমাদের এক আহ্বানের মাধ্যমে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ১৮তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার ‘ইথিকস ইন ব্যাংকিং’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতার চর্চা জোরদার করতে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক শক্তিশালী করতে হবে। একই সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী হওয়া জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে নজরদারি না বাড়লে করপোরেট গভর্নেন্স ব্যর্থ হবে। ব্যাংকব্যবস্থা টেকসই করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করতে হবে। যা ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।