হিন্দুত্বের পক্ষে-বিপক্ষের নির্বাচন
নরেন্দ্র মোদি রাহুল গান্ধী মমতা ব্যানার্জি - সংগৃহীত
ভারতের লোকসভার নির্বাচন চলছে। মানে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। ভারতে ২৯টি রাজ্য মিলে রাষ্ট্র। ওখানে পার্লামেন্ট বলতে আবার দুই ধরনের পার্লামেন্ট বা আইনসভা, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক (রাজ্য)। প্রাদেশিক বুঝাতে বলা হয় ‘বিধানসভা’ এবং কেন্দ্রীয় বুঝাতে বলা হয় ‘লোকসভা’। এখন সেই লোকসভার নির্বাচন চলছে, সাত পর্বে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মোট সাত দিনে ভোট নেয়া হচ্ছে। এটি মোট ৫৪৩ আসনের নির্বাচন; যার চার পর্বের ভোট নেয়া হয়ে গেছে। ৬ মের আগ পর্যন্ত মোট চার পর্বের ৩৭৪টি আসনের নির্বাচন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর যে ১৬৯ আসন বাকি আছে, তা ১৯ মের মধ্যে তিন পর্বে শেষ হবে। ২৩ মে, এত দিন বাক্সবন্দী থাকা ৫৪৩ আসনের ভোট একই সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকাল থেকে গণনা শুরু হবে। এতে দুপুর ১২টার পর থেকে কোন দল এগিয়ে থাকছে এর ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
কিন্তু কেমন হচ্ছে এ নির্বাচন? এক কথায় বললে, ‘ভয়াবহ!’ কেন? এটি এমন ভয়াবহ যে ভারত-রাষ্ট্রের ভিত্তি মানে খোদ রাষ্ট্রটিই ভেঙে পড়ার উপক্রম হতে পারে। এর মানে হলো, ভারতীয় রাষ্ট্রটি জন্ম থেকেই কার্যত হিন্দুত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা। ২৯টি রাজ্যকে যে এক রাষ্ট্র ধরে রেখেছে তাতে তাদের সেই আবদ্ধ থাকার আঠা হলো হিন্দুত্বের দর্শন। এক ‘হিন্দু জাতিবাদী’ চিন্তা ধারার ভিত্তিতে জন্ম দেয়া হয়েছে এ রাষ্ট্র। তবে জন্ম থেকেই এ মতবাদকে আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস। আর সোনার পাথর বাটির মতো তাদেরই অবুঝ এক ধারণা আছে ‘সেকুলারিজম’; এর বাহারি জামা গায়ে চড়িয়ে তারা এর পরিচয় লুকাতেন। কিন্তু কংগ্রেসের এই মানসিকতার বিপরীতে, সেকাল থেকেই সরাসরি হিন্দুত্ব পরিচয় নিয়ে হাজির হওয়াই ভালো মনে করা আর তা সগর্বে প্রচার করা, এ দাবির পক্ষে একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংগঠন হলো আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ)। এ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংগঠন বা দল কোনটি হবে তা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে থিতু হওয়া এদের নতুন দলের নাম বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি)। বিজেপি ২০১৪ সালেই প্রথম এককভাবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল।
এরপর গত পাঁচ বছরে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোলাখুলিভাবে বলে ‘হিন্দুত্বের’ রাজনীতি করে গেছেন। গরু পূজাসহ সব কিছু নিয়ে আদিখ্যেতা, গোমাংস নিয়ে মানুষকে অযথা উত্তেজিত ও সন্ত্রস্ত করা, দলের ‘ঘর ওয়াপাসি’ (হিন্দুত্বে ফেরত আনা) কর্মসূচি চালু করে মুসলমানদের (কখনো খ্রিষ্টানদেরও) মনে ত্রাস সৃষ্টি করা, রাস্তায় মুসলমানদের ধরে মর্যাদাহানি করে ‘জয়শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা, গরুর ব্যবসায়ীকে রাস্তায় গণপিটুনি দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা, ফ্রিজে গরুর গোশত রাখার অজুহাতে বাড়িতে হামলা করে হত্যা করাÑ এগুলোই ছিল আরএসএসের নানা অঙ্গসংগঠনের তৎপরতা। আর প্রধানমন্ত্রীর কাজ ছিল এসব দলীয় কর্মীকে সুরক্ষা দিয়ে যাওয়া।
অথচ ওদের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া, পাবলিক নুইসেন্স তৈরি করা, আর জননিরাপত্তার প্রতি তাদের সরাসরি হুমকি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে নাগরিক অধিকার হরণের এসব মন্দ কাজ করে বেড়ানো ইত্যাদি চরম অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও মোদি সরকার তা প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। সরকার এদের বিরুদ্ধে নাগরিকদের সুরক্ষার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। কারণ, বিজেপির সাংগঠনিক কৌশল হলো, হিন্দুত্বের ধুয়া তুলে সমাজ ও ভোটারদের মেরুকরণ। এসব কাজের ফসল ভোটের বাক্সে জমা করার এটিই সবচেয়ে সহজ পথ বলে তারা মনে করেন। আজ মোদির পাঁচ বছরের শাসন শেষে ভারত খোলাখুলিভাবে এক হিন্দুত্বের রাষ্ট্র রূপে হাজির হয়েছে।
বিশেষ করে এখন নির্বাচনের সময়; মানে মোদির শাসনামল ও তার পারফরম্যান্স কেমন ছিল তা ভোটারদের বিচারও পর্যালোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এর ভিত্তিতেই মোদিকে ভোটাররা আবার ভোট দেবে কি না, তা নির্ধারিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ‘মোদি ঝড়’ ধরনের একটা জোয়ার তৈরি হয়েছিল বলা হয়। ব্যাপার হলো, সেটি অন্তত ‘হিন্দুত্ব’-এর জন্য জোয়ার ছিল না। সেটি ছিল ‘অর্থনীতিতে সাফল্য’ অর্থে; আর তা আবার দু’টি অর্থে। প্রথমত, ২০১৪ নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের জোট পরপর দুই টার্ম ক্ষমতায় ছিল। প্রথম টার্মের (২০০৫-০৯) শেষ ভাগে ভারতের অর্থনীতিতে সেই প্রথম সাফল্য এসেছিল। অন্তত ভালো বেতনের অনেক কাজ সৃষ্টি হওয়া ও পাওয়ার দিক দিয়ে তো বটেই। আর সেটি দেখিয়েই কংগ্রেস জোট পরের টার্মে (২০০৯-১৪) আবার ক্ষমতায় এসে যায়। কিন্তু সেকেন্ড টার্মের প্রথম দুই বছরের মাথায় সব কিছু হুমড়ি খেয়ে পড়ে; অর্থনীতি ও বাজার ঢলে পড়ে; তাতে ব্যাপক সামাজিক হতাশা নেমে আসে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে চরমে ওঠা এই হতাশাকে মোদি পুঁজি করেছিলেন। তিনি ছিলেন তখন পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার সরকারের অর্থনীতিতে সাফল্য অর্জিত হচ্ছিল। তাই সেটিকে তুলে ধরে মোদি নির্বাচনে আবেদন রেখেছিলেন, তিনিই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন; যেহেতু তিনি গুজরাটে ভালো করেছিলেন।
এতে হতাশ তরুণেরা তাকে নির্বাচিত করে, একটি সুযোগ দিয়ে বিশ্বাস করে দেখতে চেয়েছিল। আর এটিকেই ‘মোদি ঝড়’ বলে প্রপাগান্ডা শুরু হয়। এবার দ্বিতীয় ফ্যাক্টর হলো, মোদি ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায় তিনি ৫০০ ও এক হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ ছাড়া আন্তঃরাজ্য শুল্ক কাঠামোতে (জিএসটি) সংস্কার এনেছিলেন। এ দুই ইস্যুতে অর্থনীতিতে ব্যাপক ধস নেমে আসে। ইনফরমাল সেক্টর ও গরিব মানুষের কাজ পাওয়ার জায়গাগুলোতে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। এতে পরের দুই বছরে দেখা গেল, নতুন চাকরি হওয়ার বদলে উল্টো গত কয়েক বছরের চেয়ে বেকারের সংখ্যা বেড়ে এখন রেকর্ডসংখ্যক। ভোটের আগে এগুলো লুকাতে, মোদি সেই থেকে পরিসংখ্যান বা সমীক্ষাপ্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করে রেখেছেন। সব মিলিয়ে, ভোটের বাজারে ভোট চাইতে মোদির আর ‘মুখ’ নেই। তাই উপায়হীন মোদি পরিস্থিতি সামলাতে আরো কঠোরভাবে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরেছেন। এর ভিত্তিতে ভোটারদের মেরুকরণ করাই যেন হয়ে গেছে মোদির একমাত্র ভরসা।
এজন্য অনেকে মনে করেন, কাশ্মিরে পুলওয়ামায় গাড়িবহরে ‘জঙ্গি’ হামলার আগাম গোয়েন্দা তথ্য পেয়েও পদক্ষেপ না নেয়া আর পরে ওই অজুহাতে পাকিস্তানের বালাকোটে বোমা ফেলে ভারতীয় পাইলটরা কয়েক শ’ ‘জঙ্গি’ মেরে ফেলার প্রচারণা দিয়ে ভোটে পার হতে চেয়েছিলেন মোদি। কংগ্রেস নেতা ও মিজোরামের সাবেক রাজ্যপাল আজিজ কুরেশির দাবি, মোদি নির্বাচনে জিততেই এই ষড়যন্ত্র করেছেন। এখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত স্বীকার করছেন, বালাকোটে কেউ মারা যায়নি। অথচ নির্বাচন শুরু হওয়ার এক মাস আগ পর্যন্ত বালাকোটে হামলার গল্পের প্রভাবে মোদিকে ভোটারদের পছন্দের রেটিং প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু মোদির দুর্ভাগ্য, গত ১১ এপ্রিল নির্বাচন শুরু হতেই দেখা গেছে, ভোট নিয়ে গবেষকেরা আগে যা বলেছেন, সে প্রভাব হারিয়ে গেছে। এদিকে, এতে সব মিলিয়ে আরো জোরদার হয়েছে হিন্দুত্বের প্রচারণা। হিন্দুত্বই শ্রেষ্ঠ, মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে মোদিকে ভোট দিন, ওদের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের তেলাপোকার মতো পিষে মারতে হবে, এদের উঠিয়ে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে ইত্যাদির মতো ঘৃণা সৃষ্টিকারী বা বৈষম্যমূলক প্রচারণা, এগুলো ভারতের কনস্টিটিউশন অনুসারে ক্রিমিনাল অপরাধ। এমনকি নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারেও অপরাধ। তবুও প্রপাগান্ডায় মোদি বা তার দলের লোকেরা দাবি করছেন, এরা ‘মোদির সেনাবাহিনী’ যারা মুসলমান পাকিস্তানিদের জবাব দিয়ে এসেছে, তাই মোদিই হিন্দুত্বের একমাত্র রক্ষক। অতএব, তাকেই আবার নির্বাচিত করতে হবে। এ ছাড়া তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ করে মোদি বলেছেন, বালাকোটে মোদির সেনাদের কৃতিত্বে তিনি তাদের ভোট পাওয়ার দাবিদার।
সব মিলিয়ে ভারতের এ নির্বাচন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন হিন্দুত্বের পক্ষে-বিপক্ষের নির্বাচন। অথচ ভারতের কনস্টিটিউশন এবং এবারের নির্বাচনবিধি অনুসারে হিন্দুত্বের পক্ষে (সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে) ভোট চাওয়া নিষিদ্ধ ও অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু এসব বিষয় অকার্যকর হয়ে আছে।
ভারত রাষ্ট্রকে এখনো যতটুকু কার্যকর দেখা যায়, এর পেছনের মূল স্তম্ভ হলো, শক্ত আমলাতন্ত্র (নির্বাচন কমিশন যার অংশ) আর সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু হিন্দুত্বের যে প্রবল ঝড় উঠেছে; তাতে বলা যায়, নির্বাচন কমিশন অপারগ হয়ে গেছে। এমনকি আদালতে গিয়ে কমিশন নিজের ক্ষমতা ‘সীমিত’ বলে দাবি করলে, আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে দেখতে চেয়েছিলেন আসলেই তার ক্ষমতা নেই কি না। কিন্তু ওই দিনই মোদি বাদে বাকিদের লঙ্ঘনের ইস্যুতে কমিশন কিছু শাস্তি দেয়ায় সুপ্রিম কোর্ট পিছিয়ে যান এই বলে যে, ‘নির্বাচন কমিশন সম্ভবত তার ক্ষমতা খুঁজে পেয়েছে’। তবুও মোদির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অমীমাংসিত ফেলে রেখে দেয়া হলো। এতে আবার আদালতে গেলে এবার সুপ্রিম কোর্ট নিজে সিদ্ধান্ত না দিয়ে বরং রুল দেন যে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে যেকোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার। তবুও সবচেয়ে শেষের আর এক অভিযোগের ‘সুরাহা’ হিসেবে বলেছেন, মোদি কোনো বিধি ভঙ্গ করেননি।
এতে ভারতের বেশির ভাগ মিডিয়া কঠোর সমালোচনা করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, হয় নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যেতে ভয় পাচ্ছে; নয়তো হিন্দুত্বের আবহে তারাও প্রভাবিত হয়ে এবং কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে, বিশেষ করে মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ফেলে রেখেছে। বাস্তবত এটি এক ধরনের ভয়াবহ পরিণতি!
এবারই প্রথম কোনো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা স্টাটুটারি প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন বা করতে চাইছেন।
এবার কি তাহলে বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনবেন? যাই ঘটুক, এতে ভারত-রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ার দিকে আর এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
সব হারিয়ে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরা মোদি একমাত্র আচরণবিধি ভঙ্গ করেই নির্বাচনে ‘বিজয়ী’ হতে পারেন। এক পরিসংখ্যানগত জরিপ বলছে, কমিশনের তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে; যাদের আচরণবিধি ভাঙার রেকর্ড বেশি, যারা ভাঙেননি বা কম তাদের চেয়ে লঙ্ঘনকারীরা তিনগুণ বেশি বিজয়ী হয়েছেন!
এসবের প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের মাঝেও হয়েছে। তারা বলছেন, তারাও এবার ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে নেমেছেন নিজেদের মতো করে। মানে বিজেপিরটা হার্ড হিন্দুত্ব, এই অর্থে। ‘রাম, ভারত মাতা ও নর্মদা! হিন্দুত্ব অস্ত্র রাজা সাহেবের’- এটি আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনের শিরোনাম। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা দিগ্বিজয় সিংহকে নিয়ে এ রিপোর্ট। পত্রিকাটি লিখছে, ‘মধ্যপ্রদেশের রাজধানীতে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহের প্রধান হাতিয়ার, বিজেপির ‘কপিরাইট’ নিয়ে রাখা দেশভক্তির সাথে হিন্দুত্বের ককটেল’। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীও এ পথের পথিক। সে কথা উল্লেখ করে আনন্দবাজার আরো লিখছে, ‘...সেই লড়াইতেই ধুরন্ধর রাজনীতিক দিগি¦জয়ের আস্তিনে লুকিয়ে থাকে নরম হিন্দুত্ব। তার সভায় ‘ন্যায়’ প্রকল্পের আগে রাহুল গাঁধীর (ধর্মীয়) মানসরোবর যাত্রা, দিগি¦জয়ের নিজের নর্মদা পরিক্রমার প্রসঙ্গ ওঠে।’
পড়শি হিসেবে ভারত আমাদের দেশের তিন দিকেই। ভারতের ভেতরে চার দিক থেকে জেঁকে বসা এই হিন্দুত্ব, এটি আমাদেরও নানাভাবে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে, এর তীব্র বিদ্বেষ-ঘৃণা ও হিংসা ছড়ানো খুবই ছোঁয়াচে। ফলে তা আমাদের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই গভীরভাবে এখন থেকেই এ নিয়ে ভাবতে হবে যেন নেতিবাচক কিছু না ঘটে।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক