ভারতের নির্বাচন ও পরের অধ্যায়

মাসুম খলিলী | May 11, 2019 05:33 pm
ভারতের নির্বাচন ও পরের অধ্যায়

ভারতের নির্বাচন ও পরের অধ্যায় - সংগৃহীত

 

ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনাটি খানিকটা বেশিই হচ্ছে। মাসব্যাপী নির্বাচন সম্পন্ন হবে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। ২৩ মে এর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু হবে। নির্বাচনের আগেই বলা হচ্ছিল এবার নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির জন্য নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে না। ২০১৪ সালে যে ‘মোদি ঢেউ’ ওঠেছিল সেই উচ্ছ্বাস এখন অনেকখানি থেমে গেছে। তবে জনসমর্থন কমতির দিকে গেলেও মোদি জমানার এবারই ইতি ঘটবে এমনটি নানা কারণে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনপূর্ব আভাস অনুযায়ী, যে প্রধান তিন পক্ষের মধ্যে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার মধ্যে বিজেপি অধিক আসনে জয়ী হবে। কিন্তু জোটগতভাবে অথবা জোটের বাইরের দুয়েকটি দলের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠনের মতো এ জয় হবে কি না তাতে সংশয় রয়েছে।

ভারতীয় রাজধানীতে বিদায়ী মেয়াদে যেভাবে মোদি সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তাতে বিজেপি বা এনডিএ বহির্ভূত দলগুলোর বিরোধীরা অভিন্ন অবস্থান নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী বৃহত্তর ঐক্যের একটি উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস পর পর কয়েকটি রাজ্যে ভালো করার পর সে উদ্যোগ আর সামনে এগোয়নি। কোনো কোনো রাজ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস বহির্ভূত আঞ্চলিক দলগুলোর স্বার্থের সাথে কংগ্রেসের স্বার্থের বৈপরীত্য থাকায় বৃহত্তর ঐক্য সেভাবে ভিত্তি লাভ করেনি। বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর ঐক্য হতে না পারাটাই আজ বিজেপির আবারো সরকার গঠনের জন্য আশাবাদ সৃষ্টি করেছে।

এখন ভারতের রাজনীতি তিনটি প্রধান ধারায় ভাগ হয়ে গেছে। এক দিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট, অন্য দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিআই জোট আর তৃতীয় ধারায় রয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলো, যার মধ্যে প্রধান প্রধান দল হলো- পশ্চিম বঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তর প্রদেশের এসপি-বিএসপি জোট, বিহারের আরজেডি ও তার মিত্র দলগুলো এবং তামিলনাডুতে ডিএমকে। এর বাইরে কিছু আঞ্চলিক দল রয়েছে গেছে সেগুলো এনডিএ বা ইউপিআই অথবা সম্ভাব্য তৃতীয় ফ্রন্টের সাথে সেভাবে সম্পর্ক রাখেনি। তিনপক্ষের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীরা হলেন- বিজেপির নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও তৃণমূলের মমতা ব্যানার্জি।

তৃতীয় পর্বের নির্বাচন পর্যন্ত পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত হতে পারছেন না নির্বাচনের ধারা শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেবে। শেষ চার পর্বকে মনে করা হচ্ছে বিজেপির জন্য মূল পরীক্ষা। ২০১৪ সালে এই চার পর্বে নির্বাচন হওয়া ১৯৫টি আসনের মধ্যে ১৭৬টি (৯০ শতাংশ) পেয়েছিলে এনডিএ জোট। এর মধ্যে দিল্লি রাজস্থান মহারাষ্ট্রের সবগুলো আসনেই জিতেছিল বিজেপি। অন্যান্যের মধ্যে বিহারে ৯৬ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশে ৯৩ শতাংশ এবং ঝাড়খন্ডে ৮৬ শতাংশ আসনে বিজেপি জোট জিতেছিল। এবার আর সেই অবস্থা কোনো রাজ্যেই নেই।

দক্ষিণের রাজ্যগুলোর জোটগতভাবে বিজেপি বেশি ভালো করতে পারবে না। অন্ধ্র, কর্ণাটক ও তেলাঙ্গনা এই তিন রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা আরো কমে যেতে পারে। এখানে আঞ্চলিক দলগুলো ও কংগ্রেস ভালো করবে বলে মনে হয়। গতবার গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের সাফল্য বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল। এবার গুজরাট হার্দিক প্যাটেলের পাতিদারদের নেতা হিসেবে আবির্ভাবে এখানে বিজেপির পক্ষে একচেটিয়া ফল লাভের সম্ভাবনা একেবারে কম বলে মনে হয়। মহারাষ্ট্রেও এবার অধিক আসন এনডিএ পাবে না বলেই মনে হয়। তামিলনাডুতে এআইডিএমকের সাথে বোঝাপড়া করে বিজেপি কিছু আসন লাভ করার প্রচেষ্টা নিয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে সেখানে ডিএমকেই ভালো ফলাফল করছে। যে দলটিকে তৃতীয় ফ্রন্টের প্রধান শক্তি বিবেচনা করা হচ্ছে। কেরালায় বিজেপির কোনো প্রাপ্তি ঘটার হিসাব কোনো সময় করা হয়নি। এবারো এর ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। পাঞ্জাবের অবস্থা কেরালার মতোই।

শিখ সংখ্যাগরিষ্ঠ এ রাজ্যে বিজেপি আকালি দলকে সাথে রেখে একবার ক্ষমতার অংশীদার হয়েছিল। এরপর রাজ্যটিতে গত নির্বাচনে আপ এর উত্থান ঘটে। পরের বিধান সভায় অবশ্য কংগ্রেসই সরকার গঠন করেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানে এক সময় বিজেপির একক আধিপত্য ছিল। দুটি রাজ্যেই এখন কংগ্রেসের উত্থানকাল চলছে। হরিয়ানা ও হিমাচলে এবারো বিজেপি ভালো করতে পারে, তবে সেখানেও বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে পারে। জম্মুর দুটি আসনে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও কাশ্মির উপত্যকা ও লাদাখে বিজেপির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উত্তরাখণ্ডে এবারো বিজেপি ভালো করতে পারে। তবে উত্তর প্রদেশে বড় বিপর্যয়ে পড়তে পারে মোদির-যোগির দল। এই রাজ্যে গত লোকসভায় ৮০ আসনের মধ্যে ৭২টিতে পদ্মফুলের দল বিজেপি জিতেছিল। এবার তা এক অঙ্কে নামবে বলে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব মন্তব্য করেছেন। বিপর্যয় এতটা না হলেও উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস কিঞ্চিত ভালো করলেই কেবল বিজেপির ভাগ্যে গোটা বিশেক আসন জুটে যেতে পারে।
বিহারে গত লোকসভায় আরজেডি ও জেডিইউ আলাদা নির্বাচন করায় বিজেপি বেশ ভালো করেছিল। পরের বিধান সভায় আঞ্চলিক দল দু’টি ঐক্য করলে বিজেপির অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। এবার নিতীশের জেডিইউ ও বিজেপি জোট করার আধাআধি আসন এই জোট পেয়ে যেতে পারে। তার মানে এখানেও বিজেপির আসন কমবে।
উড়িষ্যায় বিজু জনতা দল থেকে কয়েকটি আসন দখল করতে পারলেও তা বিজেপির সংখ্যাকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারবে বলে মনে হয় না। মোদি-অমিত শাহের চ্যালেঞ্জ হলে পশ্চিম বঙ্গকে নিয়ে। মোদি-অমিত শাহ বলছেন তিন পর্বের নির্বাচনে তৃণমূল এখনো খাতা খুলতে পারেনি। আর মমতা বলছেন, পশ্চিম বঙ্গের জনগণ মোদিকে শূন্য উপহার দেবে। বাকযুদ্ধ যাই হোক না কেন বিজেপি পশ্চিম বঙ্গে আসন সংখ্যা দুইটা থেকে বাড়িয়ে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে না পাারলেও, পদ্মের আসন সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়তে পারে।

উত্তর পূর্ব ভারতে বিজেপি বেশ আশায় আছে। বাস্তবতা হলো ত্রিপুরায় বিজেপিকে হতাশ হতে হবে। আসামেও আগের তুলনায় আসন কমতে পারে। সব মিলিয়ে ৫৪৩ আসনের লোকসভায় দুই শ’র কোটা বিজেপি অতিক্রম করতে পারবে কি না, কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করলেও নির্বাচনী জরিপের প্রায় সবগুলোই তাদের আসন সংখ্যা আড়াই শ’র ওপরে রেখেছে।

প্রশ্ন হলো, ভারতের রাজনীতিতে এই মেরুকরণ কে কিভাবে ঘটাল যে, বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটা সন্দেহ করা হচ্ছে। দুটি বিষয় ভারতের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে হচ্ছে। প্রথমত, ভারতের জনগণকে মোদি সুদিন, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেটি বাস্তবে রূপায়িত করা যায়নি। দ্বিতীয়ত, মোদি জমানায় বড় বড় করপোরেট হাউজ ও শিল্পোদ্যোক্তার উন্নয়ন এবং এর ফলে সার্বিক দেশজ উৎপাদন ৭ শতাংশের কোটায় থাকলেও কৃষিজীবী ও শ্রমজীবীদের অবস্থার এতটাই অবনতি ঘটেছে যে দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আত্মহননকারী কৃষকের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। তৃতীয়ত, বিজেপির হিন্দু জাতীয়তাবাদ শুধু মুসলিম বা খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদেরই প্রান্তিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা সঙ্কটে ঠেলে দেয়নি একই সাথে নিম্নবর্ণ ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে বঞ্চনাবোধ তীব্র হয়ে ওঠেছে। কৃষক ও অনগ্রসরদের একাধিক আন্দোলন বিজেপিকে প্রতিকূল অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে এর প্রভাব নেতিবাচকভাবে পড়েছে।

এ অবস্থায় বিজেপি দু’টি কৌশলকে এবার জয়ী হওয়ার জন্য গ্রহণ করেছে। প্রথমটি হলো সব অবিজেপি দল যাতে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে না পারে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে। দ্বিতীয়ত, উগ্রজাতীয়তাবাদ ও ধর্ম চেতনাকে জাগিয়ে তুলে সাহসী ও সক্ষম সরকারের প্রয়োজন বোঝাতে চেষ্টা করেছে ভারতীয় আমজনতাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে উত্তেজনা তৈরি এবং এ নিয়ে রীতিমতো সীমিত পর্যায়ে বিমান যুদ্ধের অবতারণা আর রাম মন্দির পুনর্নির্মাণের ঘোষণা সে লক্ষ্যকে অর্জন করতে দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়। কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণাও হিন্দু জাতীয়তাবোধকে চাঙ্গা করার জন্য দেয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সশস্ত্র হামলা যে উদ্দেশ্যে যারা ঘটিয়ে থাকুক না কেন, এখান থেকে সুবিধা বিজেপি শিবির পাবে বলে আশাবাদী হতে পারে।

এবারের নির্বাচনে দু’টি সম্ভাবনা জোরালো এবং একটি সম্ভাবনা হাল্কাভাবে বাস্তবে রূপায়িত হতে পারে। জোরালো সম্ভাবনা দু’টি হলো প্রথমত, বিজেপি জোট সরকার গঠনের মতো আসনে জয়ী হওয়া। দ্বিতীয়টা হলো, অবিজেপি দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হওয়া আর কংগ্রেসের সমর্থনে তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গঠন। তৃতীয় যে সম্ভাবনা সেটি হলো বিজেপির চেয়ে অধিক আসনে কংগ্রেসের জয়লাভ করা। ভারতে দুয়েকটি আঞ্চলিক দলের সহায়তা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিআই জোটের সরকার গঠন।

এনডিএ জোট বহির্ভূত দলের সহায়তায় বিজেপি সরকার গঠন করলে সে সরকার এখনকার চেয়ে দুর্বল সরকার হবে। যে সরকারের সাথে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের মতো সংবিধান সংশোধনের সুযোগ কম থাকতে পারে। এর পরিবর্তে বিজেপির নতুন সরকার সুশাসন ও নিম্নবিত্তদের আস্থা অর্জনে তাদের সুরক্ষার জন্য কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ আর অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার চালানোর প্রতি গুরুত্ব দিতে পারে।
মমতা ব্যানার্জি বা অন্য কোনো আঞ্চলিক নেতার নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে সে সরকারের স্থিতি বিঘ্ন হতে পারে। বিশেষ করে কংগ্রেসের সমর্থন নির্ভর এ ধরনের সরকারের পেছন থেকে অতীতে মাঝপথে কংগ্রেসকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি আবার সামনে এগোনোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারে। অন্য দিকে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন হলে সেই সরকার বিজেপি সরকারের মতোই স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

ভারতের রাজনীতির ভেতর থেকে পাল্টে দেয়ার জন্য কিছু প্রভাবশালী নির্ণায়ক শক্তি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু শক্তি রয়েছে অভ্যন্তরীণ, যেটাকে ভারতের ডিপ স্টেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, শীর্ষ স্থানীয় পুঁজিপতি ও করপোরেট গ্রুপ এবং ধর্মীয় শক্তি রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ এই ডিপ স্টেটের বড় অংশ এখনো বিজেপিকে সমর্থন করছে বলে মনে হয়।

এর পাশাপাশি ভারতের বাইরের শক্তিও দেশটির রাজনীতিকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে চারটি দেশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই চার দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, রাশিয়া ও চীন। চারটি দেশেরই ভারতে বিরাট সামরিক-বেসামরিক বাজার যেমন রয়েছে তেমনিভাবে বিশ্বব্যবস্থায়ও তাদের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি ক্ষমতাকে অব্যাহত রাখার জন্য এর মধ্যে সব ক’টি শক্তিকে নিজের পক্ষে রাখার চেষ্টা করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইসরাইলকে বিজেপি সরকারের ক্ষমতা অব্যাহত রাখার পক্ষে আনতে পেরেছে বলে মনে হয়। চীনের অবস্থান নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদি যদি আবারো ক্ষমতায় চলে আসেন তাহলে এর পেছনে দেশী-বিদেশী এসব নির্ণায়ক শক্তির ভূমিকা যে কার্যকর- সেটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কারণ, সামরিক-বেসামরিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রতিরক্ষা সামগ্রীর বেচা-কেনা নিয়ে তাদের অনেক বড় স্বার্থ রয়েছে।

দেখার বিষয় হলো- শেষ পর্যন্ত ভারতের পরবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে বাস্তÍবক্ষেত্রে কী হয়। মোদি যুগের কী সমাপ্তি ঘটে নতুন শক্তির উত্থান বা পুনরুত্থান ঘটে নাকি স্থিতিবস্থাই অব্যাহত থাকে। স্থিতাবস্থা চলতে থাকা মানে ভারতের বিদ্যমান অবস্থা অবিচল রাখাই নয়, অধিকন্তু আরো ভাঙা-গড়া বা অস্থিরতার দিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটির অগ্রসর হওয়া। যার প্রভাব অনিবার্যভাবে পড়তে পারে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতেও।

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us