শেষ ওভারে ঋষভের ক্ষোভে হেরে গেল মোস্তাফিজরা

অন্য এক দিগন্ত | Apr 23, 2022 04:04 am
শেষ ওভারে ঋষভের ক্ষোভে হেরে গেল মোস্তাফিজরা

শেষ ওভারে ঋষভের ক্ষোভে হেরে গেল মোস্তাফিজরা - ছবি : সংগৃহীত

 

আইপিএলের ম্যাচ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে পর পর তিনটি ছয় মেরে রোভম্যান পাওয়েল জমিয়ে দিয়েছেন খেলা। ওই সময়ই চূড়ান্ত নাটক। তৃতীয় বল কোমড়ের উচ্চতার কাছাকাছি ফুলটস ছিল। মাঠের আম্পায়াররা নো বল না দেয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে দিল্লি শিবির। ডাগ আউট থেকে সমানে ডেভিড ওয়ার্নার, ঋষভ পন্থরা নো বলের ইঙ্গিত করতে থাকেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আবেদন জানান। কিন্তু, সেই আবেদন মাঠের আম্পায়াররা সাড়া না দেয়ায় দিল্লি শিবিরের ক্ষোভের পারদ আরো চড়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল পাওয়েলের ব্যাটে লাগার সময় তার উচ্চতা ছিল কোমড়ের সামান্য উঁচুতে।

তা দেখেই পাওয়েল এবং কুলদীপ যাদবকে মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসার নির্দেশ দেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ। দুই ব্যাটার মাঠের বাইরে চলে যেতে চাইলে তাদের আটকান মাঠের আম্পায়াররা। তাদের বোঝান এ ভাবে ম্যাচ ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ঋষভ অবশ্য সমানে মাঠের বাইরে থেকে দুই ব্যাটারকে চলে আসার নির্দেশ দিতে থাকেন। এ সময় হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে গিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দিল্লির অন্যতম সাপোর্ট স্টাফ প্রবীণ আমরে। তিনি গিয়ে আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়ান।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে এই নাটকে মনোসংযোগ ব্যাহত হয় পাওয়েলের। আর ছয় মারতে পারলেন না তিনি। ঋষভের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জন্যই ম্যাচ হারল মোস্তাফিজদের দল দিল্লি। পর পর তিন ছয় খেয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রাজস্থানের বোলার ম্যাকয় তখন নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন। অন্যদিকে, পাওয়েলও ছন্দ হারান। ফলে ম্যাচও হেরে যায় দিল্লি।

ম্যাচের পর ঋষভ বলেন, ম্যাচের শেষ ওভারে পাওয়েল আমাদের একটা সুযোগ দিয়েছিল। নো বল হলে সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান হতো। আমার মনে হয়েছিল বলটা আর একবার, দেখা উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এটা অত্যন্ত হতাশার। কিন্তু আমি আর কী করতে পারতাম। আমাদের সকলেই খুব হতাশ হয়েছে। নো বল হলেই পারত। আমাদের মনে হয় তৃতীয় আম্পায়ারের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল। কারণ ওটা নো বলই ছিল। কিন্ত আমি নিয়ম বদল করতে পারি না।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

দিল্লিকে হারিয়ে লিগ টেবিলের এক নম্বরে রাজস্থান, সিংহাসন খোয়ালেন হার্দিকরা

দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হাই-স্কোরিং ম্যাচে জয়ের সুবাদে রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল ২০২২-এর লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে। সঞ্জু স্যামসনরা এক নম্বরে উঠে আসায় সিংহাসন খোয়াতে হয় হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটানসকে। রাজস্থান তৃতীয় স্থান থেকে পয়েন্ট টেবিলে লাফ দেওয়ায় পিছিয়ে যেতে হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকেও।

আপাতত ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের এক নম্বরে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে গুজরাট টাইটানস। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে আরসিবি। তিন দলেরই পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলেও নেট রান-রেটের নিরিখে ক্রমতালিকায় অবস্থান নির্ধারিত হয় তাদের।


দল ম্যাচ জয় পরাজয় পয়েন্ট নেট রান-রেট
রাজস্থান রয়্যালস ৭ ৫ ২ ১০ +০.৪৩২
গুজরাট টাইটানস ৬ ৫ ১ ১০ +০.৩৯৫
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৭ ৫ ২ ১০ +০.২৫১
লখনউ সুপার জায়ান্টস ৭ ৪ ৩ ৮ +০.১২৪
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৬ ৪ ২ ৮ -০.০৭৭
দিল্লি ক্যাপিটালস ৭ ৩ ৪ ৬ +০.৭১৫
কলকাতা নাইট রাইডার্স ৭ ৩ ৪ ৬ +০.১৬০
পঞ্জাব কিংস ৭ ৩ ৪ ৬ -০.৫৬২
চেন্নাই সুপার কিংস ৭ ২ ৫ ৪ -০.৫৩৪
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৭ ০ ৭ ০ -০.৮৯২

আপাতত ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চার নম্বরে রয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লখনউয়ের থেকে ১ ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তবে নেট রান-রেটে পিছিয়ে থাকার জন্যই তারা অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে।

ম্যাচ হারলেও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান বদল হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। তারা ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে। কলকাতা রয়েছে দিল্লির ঠিক পিছনে সাত নম্বরে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের ৮ ও ৯ নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে পঞ্জাব কিংস ও চেন্নাই সুপার কিংস। একেবারে শেষে ১০ নম্বরে অবস্থান করছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us