কতটা পানি পান প্রয়োজন? যেভাবে বুঝবেন

অন্য এক দিগন্ত | Apr 20, 2022 03:10 pm
কতটা পানি পান প্রয়োজন? যেভাবে বুঝবেন

কতটা পানি পান প্রয়োজন? যেভাবে বুঝবেন - প্রতীকী ছবি

 

শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে আর শরীরের ভেতরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠিক পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। অথচ আমরা অনেকেই পানি খাওয়ার কোনো হিসাবই রাখি না। ওষুধ, খাবার সবই সময় মেনে, মাপ মতো খাওয়া হয়। কিন্তু পানির বেলায় সব হিসাবই যেন গোলমাল হয়ে যায়। আপনার মনে হতেই পারে পানি খাওয়ার আবার হিসাব আছে না কি? খেলেই হলো! এমন অনেকেই আছেন যারা সারা দিনে বোতলের পর বোতল পানি খেয়ে ফেলেন, আবার কেউ এক বোতল শেষ করতেই হাঁপিয়ে ওঠেন।

পানি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই ভাবেন, অতিরিক্ত পানি খেলেই বুঝি সব শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই ধারণা মোটেই ঠিক নয়। এক জন সাধারণ মানুষ, যার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে এবং হার্ট ও লিভারেরও কোনো বড় অসুখ নেই, তার সাধারণত দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার তরলের প্রয়োজন হয়। তরল মানে কিন্তু শুধু মাত্র পানি নয়। যিনি দিনে অনেক বার চা খান, তাকে সেই মাপটাও নিতে হবে। ফলের রসও এর মধ্যে পড়ে। এমনকি খাবারের সাথেও বেশ খানিকটা পানি ঢোকে আমাদের শরীরে। মাপতে হবে সেটিও!

সারা দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত?

পুষ্ঠিবিদদের মতে, আপনার ওজনের উপর নির্ভর করবে দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাবেন। এক ব্যক্তি যার ওজন ৮০ কেজি তাকে ৬০ কেজি ওজনের কারো তুলনায় বেশি পানি খেতে হবে। আপনার মোট ওজনকে ৩০ দিয়ে ভাগ করুন। ভাগের ফলাফলই বলে দেবে আপনার আদতে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত। অর্থাৎ, আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তা হলে আপনাকে সারা দিনে দু’লিটার পানি খেতে হবে। আপনার ওজন ৮০ কেজি হলে আপনাকে ২.৬ লিটার পানি খেতে হবে।

শরীরচর্চার সময়ে : শরীরচর্চার সময়ে আমাদের ঘাম ঝরে। ফলে, অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সেই ঘাটতি মেটাতে ব্যয়ামের কিছু ক্ষণ আগে এবং পরে পানি খাওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় ধরে শরীরচর্চা চলে, তা হলে আপনাকে প্রায় ৭০০ মিলিলিটার পানি বেশি খেতে হবে। শুধু পানি না খেয়ে ‘স্পোর্টস ড্রিঙ্ক’-ও চলতে পারে।

ঠিক একই ভাবে, যাদের দিনের বেশির ভাগ সময়টা বাইরে কাজ করতে হয়, তাদের পানির প্রয়োজনও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় বসে কাজ করা মানুষদের চেয়ে বেশি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ইফতারিতে খেজুরের উপকারিতা
ডা: সাহিদা সুলতানা
বিজ্ঞানময় ইসলাম। এতে নেই সন্দেহের অবকাশ। বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে ইসলাম তত শক্তিশালী হচ্ছে। অথচ অন্ধকার যুগের একজন উম্মি জগতের শ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ সা: নিজে পড়াশোনা না জানলেও এতটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিভাবে দেয়া সম্ভব তা নিয়ে বছরের পর বছর চিন্তা করলেও কুলকিনারা পাওয়া সম্ভব নয়। এতেই প্রমাণিত হয় ইসলাম কোনো মানব রচিত নয়। এটি মহান আল্লাহর মনোনীত।

রমজান মাস এলেই খেজুর ছাড়া আমাদের চলেই না। অনেকেই জানেন না ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কী? কিন্তু মহানবী সা: দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদিসে আছে, রাসূল সা: বলেছেন, ‘খেজুর দ্বারা রোজা ভাঙলে শরীরে উপকারিতা অনেক’। অন্য একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙো না পারলে পানি দিয়ে, এতেই কল্যাণ নিহিত।’
আল কুরআনের সূরা মারইয়ামে আছে- যখন মারইয়াম আ: প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন তাকে বলা হলো ফ্রেশ পাকা খেজুর তার প্রসব সহজ করবে।

তাই বলা যায়, খেজুরের উপকারিতা নিঃসন্দেহে অনেক। বর্তমানে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘খেজুরের উপকারিতা’-নামক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা গেছে, খেজুরের গুণাগুণ। এ গবেষণায় গবেষকরা দেখতে চেয়েছেন, খেজুর রোজাদারদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর ইফতারিতে রোজাদারদের ছয়টি স্বাস্থ্য-উপকারী ভূমিকা রাখে।

খেজুর সহজপাচ্য। সারা দিন অভুক্ত থাকার পর খেজুর খেলে পাকস্থলির ওপর কোনো চাপ পড়ে না।
খেজুরে যে শর্করা থাকে তা দ্রুত শোষিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শরীর দ্রুততার সাথে শক্তি পায়। সারা দিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।

এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। রোজা রাখলে পানি কম পান করা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এ আশঙ্কা কমে যায়, যদিও কেউ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কম খায়।
সারা দিন অভুক্ত থাকার পর মন চায় খাই আর খাই। এতে কিন্তু রোজার আদর্শ ঠিকমতো পালিত হয় না। আবার এতে পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। রোজা রাখলে যেসব স্বাস্থ্যগত উপকার পাওয়া যায় তাও ব্যাহত হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে ক্ষুধা ভাব কমায়। ফলে কমে অতিরিক্ত খাবার পরিমাণ।

খাবার ডাইজেস্ট বা পাচিত করার জন্য পাকস্থলি থেকে নিঃসৃত জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুর পাকস্থলির জুস নিঃসরণ হার বাড়িয়ে খাবার পাচিত করতে সহায়তা করে।
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রাখে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us