লিভারের দুর্বলতা বোঝার ৮ লক্ষণ
লিভারের দুর্বলতা বোঝার ৮ লক্ষণ - প্রতীকী ছবি
সারা দিনের উল্টাপাল্টা খাওয়া দাওয়া এবং সেই সাথে অনিয়ম। এখানেই শেষ নয়, তার সাথে বেশ কিছু মানুষের বদ অভ্যাসের কথাও না বললেই নয় – লিভারের সমস্যা থাকা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। এবং এটিতে গোলমাল দেখা দিলে কিন্তু খুবই সমস্যা! কী রকম?
গোটা শরীরের মধ্যে একমাত্র এই সেই অঙ্গ যেটি সমস্ত দূষিত পদার্থকে পরিশ্রুত করে এবং শরীরকে এককথায় ডিটক্স করে। ফলেই খারাপ পদার্থগুলো কিডনি কিংবা হার্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কিংবা রক্তও দূষিত হয়ে পড়ে না।
লিভারের সমস্যা কিন্তু ফ্যাটি লিভারের থেকেও খারাপ কিছু সৃষ্টি করতে পারে। কী কী কারণে লিভারের সমস্যা হতে পারে?
অ্যালকোহল, অতিরিক্ত চিনি কিংবা কার্ব, দীর্ঘদিনের প্যাকেটজাত দ্রব্য, ডায়েটে ফাইবারের কমতি, কম পরিমাণে পানি পান করা, রাসায়নিক ভিত্তিতে প্রস্তুত তেল এবং প্রাকৃতিক বিষের প্রভাব।
লিভার কিভাবে শরীরের প্রয়োজনে সহায়তা করে?
লিভার খাবারের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাড় করে সঙ্গেই শরীরকে শক্তি প্রদান করে। যার কারণেই খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত উপাদান মানবদেহে থাকে। কিন্তু একটি অসুস্থ লিভার তার থেকেও খারাপভাবে শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি খাদ্যকে ফ্যাটে বদলে দেয়, যার কারণেই মেটাবোলিজম ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এবং তার সাথেও রক্তে এনজাইমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে, লিভারে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার একবার দেখা দিলে কমতি জীবনযাত্রা থেকে খাওয়া দাওয়া সবকিছুতেই বদল আনতে হয়। এটিকে সুস্থ করা গেলেও শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে।
লিভারের সমস্যা যেভাবে বুঝতে পারেন
* হরমোনাল ইমব্যালেন্স অর্থাৎ প্রয়োজনের কমবেশি হরমোনের ক্ষরণ।
* হঠাৎ করেই ওজনের হ্রাস বৃদ্ধি এই কারণে হতে পারে।
* বমি ভাব এবং সহজে এর সমস্যা মিটতে পারে না।
* শারীরিক অ্যালার্জি এমনকি আগে দেখা যায়নি এ ধরনের সমস্যা। অবশ্যই হজমের অভাব।
* খাওয়া দাওয়ার পরেই ক্লান্তিবোধ, এবং মুখে দুর্গন্ধ।
* মাথা ব্যথার সমস্যা এই কারণে দেখা যায়, এছাড়াও ঘুমের অভাব কিংবা সমস্যা দেখা যায়।
* মেজাজের অদলবদল কিংবা মুড সুইং এই লিভারের সমস্যার অন্যতম লক্ষণ!
* উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল এই সমস্যার কারণে দেখা দিতে পারে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
পিঠের ব্যথা কমছেই না? কী করবেন
করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে সব কিছুই এখন ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আধুনিকতার কারণে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়াটা অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
পড়াশোনা থেকে বাজার দোকান- সব কিছুই সামলানো যাচ্ছে ফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দায়। ফলে কায়িক শ্রম খানিক কম হচ্ছে। অনেকেই আবার সময়ের অভাবে বাড়িতেও শরীরচর্চা করে উঠতে পারেন না। সব কিছুর ফলে পিঠে ব্যথার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। সমস্ত বয়সের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যার পরিমাণ বাড়ছে। ৯০ শতাংশ মানুষের পিঠে ব্যথার প্রধান কারণ- এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা। তবে এই সমস্যার তাৎক্ষণিক উপশমও হতে পারে, এমন কিছু উপায় আছে। সেগুলো কী কী?
১) চেষ্টা করুন, ঘুমোনোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নিতে।
২) নিয়মিত শবাসন, ভুজঙ্গাসন, মকরাসন প্রভৃতি শরীরচর্চা করলে পিঠের ব্যথা কমে।
৩) অফিসের কাজ করার সময়ে একই জায়গায় এবং একই ভঙ্গিতে অনেক ক্ষণ বসে থাকবেন না। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর বিরতি নিতে পারেন। উঠে দাঁড়ান, হাঁটাচলা করুন।