গুগল ব্যবহার করার সময়ে কেন বারবার ‘আমি রোবট নই’ বলে পরীক্ষা দিতে হয়
গুগল ব্যবহার করার সময়ে কেন বারবার ‘আমি রোবট নই’ বলে পরীক্ষা দিতে হয় - ছবি : সংগৃহীত
ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেক ক্ষেত্রে কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকতে গেলে একটি বিশেষ ধরনের পরীক্ষা দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের লিঙ্ক স্পর্শ করলে সাইটটি না খুলে একটি ‘ক্যাপচা’ পরীক্ষার পৃষ্ঠা আসে, যাতে লেখা থাকে ‘আমি রোবট নই’। কিন্তু জানেন কি, কেন এমন হয়?
রোবট বলতে কিন্তু এখানে যান্ত্রিক রোবট বোঝানো হচ্ছে না। নেটমধ্যমে যে সকল ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের বেশির ভাগই সংশ্লিষ্ট সাইটে দেয়া বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন করে। এই ব্যবস্থায় কোনো ওয়েবসাইটে যত লোক ঢুকছেন তার উপর নির্ভর করে অর্থ পাওয়া যায়। একে বলে ট্র্যাফিক। যে সাইটে ট্র্যাফিক যত বেশি সেই সাইটে বিজ্ঞাপনও তত বেশি হবে। আর এই বিজ্ঞাপন থেকে যে আয় হয় তার একটি অংশ পান ওয়েবসাইটের মালিক।
অনেক সময় দেখা যায়, কিছু অসৎ ওয়েবসাইট বেশি উপার্জনের লোভে এমন এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করে যা কৃত্রিম ভাবে ট্র্যাফিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই বিশেষ প্রোগ্রামগুলোই রোবট বা বট নামে পরিচিত। এই রোবটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বার বার একই সাইটে প্রবেশ করে ট্র্যাফিক জাল করা হয়।
এই অসৎ পদ্ধতিটি নিষ্ক্রিয় করতে গুগল একটি বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিটিই হলে ক্যাপচা। কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা রোবট স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারলেও আলাদা করে ক্যাপচার ছবি চিনতে পারে না। তাই ‘আমি রোবট নই’- এই পৃষ্ঠাটির পর অনেক সময় নির্দিষ্ট ধরনের কিছু ছবি চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারী রোবট না মানুষ তা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
টুইটার কেনা নিয়ে সৌদি প্রিন্স ও ইলন মাস্কের বিবাদ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কেনা নিয়ে সৌদি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালালের সাথে বিবাদে জড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট আই।
টুইটার কেনার বিষয়ে ইলন মাস্ক যে মূল্যের কথা বলেছেন তা খুবই অল্প বলে বাতিল করে দিয়েছেন সৌদি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল। সৌদি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল হলেন টুইটারের অন্যতম বড় শেয়ারহোল্ডার।
এ বিষয়ে সৌদি প্রিন্স আলওয়ালিদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের সমগ্র মালিকানা পাওয়ার জন্য ইলন মাস্ক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অফার করেছিলেন। এটাকে ইলন মাস্ক টুইটারের জন্য সর্বশেষ ও সর্বোচ্চ মূল্য বলে অভিহিত করেন। কিন্তু, টুইটারের অন্যতম মালিক বলে তিনি তা বাতিল করে দিয়েছেন। এরপরেই সৌদি প্রিন্স আলওয়ালিদের সাথে বিবাদে জড়ান ইলন মাস্ক।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আলওয়ালিদ লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি না যে ইলন মাস্ক টুইটারের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করেছেন তা যথেষ্ট। কারণ, টুইটারের সম্পদে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে টুইটারের অন্যতম বড় শেয়ারহোল্ডার হওয়ার কারণে আমি ইলন মাস্কের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছি।
প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালালের এমন টুইটের জবাবে সৌদি আরবের গণমাধ্যম আইনের সমালোচনা করেছেন ইলন মাস্ক।
পাল্টা টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু, আমি দু’টো বিষয় জানতে চাই। প্রথমত, সরাসরি বা গোপনে টুইটারে সৌদি আরবের মালিকানা কতটুকু? দ্বিতীয়ত, স্বাধীন সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে মুক্তবাকের কতটা মূল্য আছে সৌদি আরবে?
সূত্র : মিডল ইস্ট আই