তীব্র বিরোধ : মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে পাকিস্তানে অচলাবস্থা অব্যাহত
তীব্র বিরোধ : মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে পাকিস্তানে অচলাবস্থা অব্যাহত - ছবি : সংগৃহীত
ইমরান খানকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ থাকলেও পাকিস্তানের নতুন সরকার এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং জোটের অন্যান্য শরিকের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠিত হয়নি দেশটিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে পিএমএল-এন ও পিপিপি মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা করলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। এমনকি বুধবার রাতেও দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। পিএমএল-এনের পক্ষে ছিলেন আয়াজ সাদিক, সাদ রফিকও রানা সানাউল্লাহ। আর পিপিপির পক্ষে ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি, শেরি রেহমান, রাজা পারভেজ ও নাভিদ কামার।
সূত্র জানাচ্ছে, পিএমএল-এন আবারো শাহবাজ-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পিপিপির যোগদনের ওপর আরো জোর দিয়েছে। কিন্তু পিপিটি এই ফরমুলায় রাজি হচ্ছে না।
নভেম্বরেই অবসরে যাবেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান!
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া তার চাকরির মেয়াদ বাড়াতে চাইবেন না বা বাড়ানো হলেও তা গ্রহণ করবেন না। বৃহস্পতিবার সুস্পষ্টভাবেই এমনটা জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার।
তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীপ্রধান চলতি বছরের নভেম্বরে তার মেয়াদ পূর্ণ করবেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি শেষ করতে দিনে। সেনাপ্রধান তার চাকরির মেয়াদ বাড়াবেন না বা বাড়ানো হলেও তা গ্রহণ করবেন না। যাই ঘটুক না কেন, তিনি ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নে বাবর বলেন, রাজনীতি নিয়ে সেনাবাহিনীর কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষ থাকবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, আমাদের ভূমিকাকে নিরপেক্ষ বলার চেয়ে অরাজনৈতিক বলাই ভালো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আইএসপিআর এ কথা জানায়। সাম্প্রতিক কোর কমান্ডার সম্মেলনে জেনারেল বাজওয়া বলেছিলেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার দায়দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সকল অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে ভূখণ্ডগত অখণ্ডগতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত কারো জন্য ক্ষতিকর বা কল্যাণকর নয়। এটি সশস্ত্র বাহিনীর সাংবিধানিক ভূমিকা এবং আমরা তা পূরণ করার চেষ্টা করছি।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন