প্রস্রাবের সময় কি তীব্র ব্যথা, জ্বালা হয়
প্রস্রাবের সময় কি তীব্র ব্যথা, জ্বালা হয় - প্রতীকী ছবি
প্রস্রাবের সময়ে মাঝেমাঝেই অনেকে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন। প্রাথমিকভাবে কোনো অসুবিধা না হলেও, মূত্রাশয়ে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। প্রস্রাব করার সময়ে তীব্র ব্যথা হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ডিসুরিয়া’ বলা হয়ে থাকে। প্রস্রাব করার সময়ে তীব্র ব্যথা, জ্বালা, যৌনাঙ্গ সংলগ্ন কোষগুলিতে চাপ অনুভূত হওয়া ডিসুরিয়ার অন্যতম লক্ষণ। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ছাড়াও কয়েকটি কারণে প্রস্রাব করার সময়ে এই সমস্যাগুলি হতে পারে।
কোন কারণগুলোর জন্য প্রস্রাব করার সময়ে ব্যথা হতে পারে?
১) বেশি মাত্রায় শুকনো খাবার খাওয়ার প্রবণতা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) বদ হজমের কারণেও প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা হতে পারে। প্রস্রাব করা যদি কিছু খেয়ে থাকেন এবং তা যদি ঠিক করে হজম না হয়ে থাকে, তাহলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ডিসুরিয়ার অন্যতম কারণ।
৪) প্রয়োজনের অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলেও প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা হতে পারে। বেশি ব্যায়াম করলে শরীরের অন্যান্য অংশের কোষে চাপ পড়ে। বাড়তি চাপের কারণে ব্যথা হতে পারে।
৫) এই কারণগুলো ছাড়াও অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলেও ডিসুরিয়ার সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি
কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, শরীর সুস্থ থাকতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যকর নয়, তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য ভালো নয়। ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’-এ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
গবেষণা বলছে, যারা প্রতি দিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমচ্ছেন দেখা গিয়েছে, মধ্য বয়সের পর থেকেই তাদের হৃদ্যন্ত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক দিন ধরে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমন, তাঁদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমন তাদের ক্ষেত্রে আবার হৃদ্রোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘুমলে হৃদ্রোগের আশঙ্কাবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
প্রয়োজনের বেশি ঘুমলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। সমীক্ষা বলছে, যারা পর্যাপ্ত ঘুমান তাদের তুলনায় বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মধ্যে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বেশি দেখা যায়।
স্থূলতা
দিনে যারা ৯-১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমন, তাদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। তুলনায় দৈনিক গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমনো ব্যক্তিদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা কম।
মানসিক অবসাদ
ঘুম কম হওয়ার কারণেই মূলত অনেকে অবসাদ, উদ্বেগের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ বেশি ঘুমের কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মাথা ব্যথা
বেশি ঘুম মস্তিষ্কের সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। ফলে মস্তিষ্কে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। মাথার ভিতরে বিভিন্ন কোষে চাপ সৃষ্টি হয়। যা মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা