অতিরিক্ত ঘুমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি
অতিরিক্ত ঘুমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি - প্রতীকী ছবি
কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, শরীর সুস্থ থাকতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যকর নয়, তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য ভালো নয়। ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’-এ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
গবেষণা বলছে, যারা প্রতি দিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমচ্ছেন দেখা গিয়েছে, মধ্য বয়সের পর থেকেই তাদের হৃদ্যন্ত্রে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক দিন ধরে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমন, তাঁদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমন তাদের ক্ষেত্রে আবার হৃদ্রোগের আশঙ্কা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘুমলে হৃদ্রোগের আশঙ্কাবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি হয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
প্রয়োজনের বেশি ঘুমলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। সমীক্ষা বলছে, যারা পর্যাপ্ত ঘুমান তাদের তুলনায় বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মধ্যে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বেশি দেখা যায়।
স্থূলতা
দিনে যারা ৯-১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমন, তাদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। তুলনায় দৈনিক গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমনো ব্যক্তিদের মধ্যে স্থূলতার আশঙ্কা কম।
মানসিক অবসাদ
ঘুম কম হওয়ার কারণেই মূলত অনেকে অবসাদ, উদ্বেগের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ বেশি ঘুমের কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মাথা ব্যথা
বেশি ঘুম মস্তিষ্কের সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। ফলে মস্তিষ্কে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। মাথার ভিতরে বিভিন্ন কোষে চাপ সৃষ্টি হয়। যা মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অ্যালার্জি এভাবেও কষ্ট দিতে পারে!
কিছু কিছু মানুষের শরীরে ধাত হলো অ্যালার্জি। খাওয়া দাওয়া হোক কিংবা হিট বার্ন, অ্যালার্জির সমস্যা যা খুশি যখন খুশি হতেই পারে। এবং তার পর সেই কষ্টে জেরবার মানুষজন। স্কিনের অ্যালার্জি কিংবা অনেকসময় গরম থেকে অথবা পোকামাকড় থেকে অ্যালার্জি খুব স্বাভাবিক বিষয়। ঠিক তেমনই নাক কান গলার অ্যালার্জি কিন্তু একটুও আশ্চর্যকর নয়। তার কারণ হিসেবে বলা হয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনে সহজেই এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।
নাসাল কিংবা নাকের অ্যালার্জি কিন্তু এর মধ্যে অন্যতম। অনেক সময় দেখা যায়, সাইনাস কিংবা এমন কিছুর সংস্পর্শে যখন নাক চলে আসে তখন সেই থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার ধুলোবালি কিংবা বেশ কিছু খাবার এই সমস্যা শুরু করতে পারে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ কিংবা ড্রপ অথবা স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন তবে এর থেকে পুরোপুরি রেহাই সম্ভব নয়।
বিশেষ করে যারা ঠান্ডা লাগার রোগী, কিংবা অল্প সুর্যের আলোয় হাঁটাচলা করলেই মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তাদের পক্ষে এই সমস্যা সাংঘাতিক আকার নিতে পারে। অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না যে হঠাৎ করেই বা কেন এই সমস্যা হচ্ছে। বেশ কিছু উপসর্গ কিন্তু এর লক্ষণ!
নাক ফুলে যাওয়া। এটি আকারেও বড় দেখাবে। অনেক সময় দেখা যায়, নাক জ্বলতে শুরু করে। এবং এটির মধ্যে হাওয়া চলাচলের কোনো জায়গা থাকে না।
নাক বন্ধ অবশ্যই এর আরেক উপসর্গ। নাক শুধু বন্ধই হয় না বরং নাক থেকে পানি পড়ে, অনেক সময় শ্বাস নিতে কষ্টও হয়। নাক লাল হয়ে গিয়ে সে এক মারাত্মক অস্বস্তি।
অবশ্যই অনবরত হাঁচি। কেউ কেউ একনাগাড়ে এই সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তাই এইদিকে নজর দিতে হবে।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, চোখের তলা হঠাৎ করেই ফুলে যায় কিংবা চোখের কোণা লাল হয়ে যায়। এবং সহজে এটি কমে না। পানির ঝাপটা দিয়ে এর থেকে রেহাই নেই। নাকের ইনফেকশন থেকে এই জাতীয় সমস্যা হতেই পারে তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস