অ্যালার্জি এভাবেও কষ্ট দিতে পারে!

অন্য এক দিগন্ত | Apr 13, 2022 03:08 pm
অ্যালার্জি এভাবেও কষ্ট দিতে পারে!

অ্যালার্জি এভাবেও কষ্ট দিতে পারে! - প্রতীকী ছবি

 

কিছু কিছু মানুষের শরীরে ধাত হলো অ্যালার্জি। খাওয়া দাওয়া হোক কিংবা হিট বার্ন, অ্যালার্জির সমস্যা যা খুশি যখন খুশি হতেই পারে। এবং তার পর সেই কষ্টে জেরবার মানুষজন। স্কিনের অ্যালার্জি কিংবা অনেকসময় গরম থেকে অথবা পোকামাকড় থেকে অ্যালার্জি খুব স্বাভাবিক বিষয়। ঠিক তেমনই নাক কান গলার অ্যালার্জি কিন্তু একটুও আশ্চর্যকর নয়। তার কারণ হিসেবে বলা হয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনে সহজেই এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।

নাসাল কিংবা নাকের অ্যালার্জি কিন্তু এর মধ্যে অন্যতম। অনেক সময় দেখা যায়, সাইনাস কিংবা এমন কিছুর সংস্পর্শে যখন নাক চলে আসে তখন সেই থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার ধুলোবালি কিংবা বেশ কিছু খাবার এই সমস্যা শুরু করতে পারে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ কিংবা ড্রপ অথবা স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন তবে এর থেকে পুরোপুরি রেহাই সম্ভব নয়।

বিশেষ করে যারা ঠান্ডা লাগার রোগী, কিংবা অল্প সুর্যের আলোয় হাঁটাচলা করলেই মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তাদের পক্ষে এই সমস্যা সাংঘাতিক আকার নিতে পারে। অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না যে হঠাৎ করেই বা কেন এই সমস্যা হচ্ছে। বেশ কিছু উপসর্গ কিন্তু এর লক্ষণ!

নাক ফুলে যাওয়া। এটি আকারেও বড় দেখাবে। অনেক সময় দেখা যায়, নাক জ্বলতে শুরু করে। এবং এটির মধ্যে হাওয়া চলাচলের কোনো জায়গা থাকে না।

নাক বন্ধ অবশ্যই এর আরেক উপসর্গ। নাক শুধু বন্ধই হয় না বরং নাক থেকে পানি পড়ে, অনেক সময় শ্বাস নিতে কষ্টও হয়। নাক লাল হয়ে গিয়ে সে এক মারাত্মক অস্বস্তি।

অবশ্যই অনবরত হাঁচি। কেউ কেউ একনাগাড়ে এই সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তাই এইদিকে নজর দিতে হবে।

আবার অনেক সময় দেখা যায়, চোখের তলা হঠাৎ করেই ফুলে যায় কিংবা চোখের কোণা লাল হয়ে যায়। এবং সহজে এটি কমে না। পানির ঝাপটা দিয়ে এর থেকে রেহাই নেই। নাকের ইনফেকশন থেকে এই জাতীয় সমস্যা হতেই পারে তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ইফতারিতে খেজুরের উপকারিতা
ডা: সাহিদা সুলতানা
বিজ্ঞানময় ইসলাম। এতে নেই সন্দেহের অবকাশ। বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে ইসলাম তত শক্তিশালী হচ্ছে। অথচ অন্ধকার যুগের একজন উম্মি জগতের শ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ সা: নিজে পড়াশোনা না জানলেও এতটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিভাবে দেয়া সম্ভব তা নিয়ে বছরের পর বছর চিন্তা করলেও কুলকিনারা পাওয়া সম্ভব নয়। এতেই প্রমাণিত হয় ইসলাম কোনো মানব রচিত নয়। এটি মহান আল্লøাহর মনোনীত।

রমজান মাস এলেই খেজুর ছাড়া আমাদের চলেই না। অনেকেই জানেন না ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কী? কিন্তু মহানবী সা: দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদিসে আছে, রাসূল সা: বলেছেন, ‘খেজুর দ্বারা রোজা ভাঙলে শরীরে উপকারিতা অনেক’। অন্য একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙো না পারলে পানি দিয়ে, এতেই কল্যাণ নিহিত।’
আল কুরআনের সূরা মারইয়ামে আছে- যখন মারইয়াম আ: প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন তাকে বলা হলো ফ্রেশ পাকা খেজুর তার প্রসব সহজ করবে।

তাই বলা যায়, খেজুরের উপকারিতা নিঃসন্দেহে অনেক। বর্তমানে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘খেজুরের উপকারিতা’-নামক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা গেছে, খেজুরের গুণাগুণ। এ গবেষণায় গবেষকরা দেখতে চেয়েছেন, খেজুর রোজাদারদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর ইফতারিতে রোজাদারদের ছয়টি স্বাস্থ্য-উপকারী ভূমিকা রাখে।
খেজুর সহজপাচ্য। সারা দিন অভুক্ত থাকার পর খেজুর খেলে পাকস্থলির ওপর কোনো চাপ পড়ে না।
খেজুরে যে শর্করা থাকে তা দ্রুত শোষিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শরীর দ্রুততার সাথে শক্তি পায়। সারা দিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।

এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। রোজা রাখলে পানি কম পান করা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এ আশঙ্কা কমে যায়, যদিও কেউ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কম খায়।
সারা দিন অভুক্ত থাকার পর মন চায় খাই আর খাই। এতে কিন্তু রোজার আদর্শ ঠিকমতো পালিত হয় না। আবার এতে পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। রোজা রাখলে যেসব স্বাস্থ্যগত উপকার পাওয়া যায় তাও ব্যাহত হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে ক্ষুধা ভাব কমায়। ফলে কমে অতিরিক্ত খাবার পরিমাণ।

খাবার ডাইজেস্ট বা পাচিত করার জন্য পাকস্থলি থেকে নিঃসৃত জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুর পাকস্থলির জুস নিঃসরণ হার বাড়িয়ে খাবার পাচিত করতে সহায়তা করে।
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রাখে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us