ইফতারিতে খেজুরের উপকারিতা
খেজুর - ছবি : সংগ্রহ
রমজান মাস এলেই খেজুর ছাড়া আমাদের চলেই না। অনেকেই জানেন না ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কী? কিন্তু মহানবী সা: দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদিসে আছে, রাসূল সা: বলেছেন, ‘খেজুর দ্বারা রোজা ভাঙলে শরীরে উপকারিতা অনেক’। অন্য একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙো না পারলে পানি দ্বারা, এতেই কল্যাণ নিহিত।’
বিজ্ঞানময় ইসলাম। এতে নেই সন্দেহের অবকাশ। বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে ইসলাম তত শক্তিশালী হচ্ছে। অথচ অন্ধকার যুগের একজন উম্মি জগতের শ্রেষ্ঠ মানব হজরত মুহাম্মদ সা: নিজে পড়াশোনা না জানলেও এতটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিভাবে দেয়া সম্ভব তা নিয়ে বছরের পর বছর চিন্তা করলেও কুলকিনারা পাওয়া সম্ভব নয়। এতেই প্রমাণিত হয় ইসলাম কোনো মানব রচিত নয়। এটি মহান আল্লাহর মনোনীত।
রমজান মাস এলেই খেজুর ছাড়া আমাদের চলেই না। অনেকেই জানেন না ইফতারিতে এটি খেলে উপকারিতা কী? কিন্তু মহানবী সা: দেড় হাজার বছর আগেই জানিয়েছেন এর উপকারিতা। হাদিসে আছে, রাসূল সা: বলেছেন, ‘খেজুর দ্বারা রোজা ভাঙলে শরীরে উপকারিতা অনেক’। অন্য একটি হাদিসে আছে, ‘তোমরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙো না পারলে পানি দ্বারা, এতেই কল্যাণ নিহিত।’
আল কুরআনের সূরা মারইয়ামে আছে যখন মারইয়াম আ: প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন তাকে বলা হলো ফ্রেশ পাকা খেজুর তার প্রসব সহজ করবে।
তাই বলা যায় খেজুরের উপকারিতা নিঃসন্দেহে অনেক। বর্তমানে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘খেজুরের উপকারিতা’-নামক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা গেছে খেজুরের গুণাগুণ। এ গবেষণায় গবেষকরা দেখতে চেয়েছেন, খেজুর রোজাদারদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর ইফতারিতে রোজাদারদের ছয়টি স্বাস্থ্য উপকারী ভূমিকা রাখে।
খেজুর সহজপাচ্য। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর খেজুর খেলে পাকস্থলির ওপর কোনো চাপ পড়ে না।
খেজুরে যে শর্করা থাকে তা দ্রুত শোষিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শরীর দ্রুততার সাথে শক্তি পায়। সারা দিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।
এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। রোজা রাখলে পানি কম পান করা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু খেজুর খেলে এ সম্ভাবনা কমে যায়, যদিও কেউ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কম খায়।
সারাদিন অভুক্ত থাকার পর মন চায় খাই আর খাই। এতে কিন্তু রোজার আদর্শ ঠিকমতো পালিত হয় না। আবার এতে পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। রোজা রাখলে যেসব স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায় তাও ব্যাহত হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে ক্ষুধা ভাব কমায়। ফলে কমে অতিরিক্ত খাবার পরিমাণ।
খাবার ডাইজেস্ট বা পাচিত করার জন্য পাকস্থলি থেকে নিঃসৃত জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুর পাকস্থলির জুস নিঃসরণ হার বাড়িয়ে খাবার পাচিত করতে সহায়তা করে।
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রাখে।