ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে শনিবার
ইমরান খান - ছবি : সংগৃহীত
আগামী শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এক আদেশে পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করেছে। আদালত আগামী শনিবার সাড়ে ১০টায় পার্লামেন্ট আহ্বান করে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি আয়োজন করার নির্দেশও দিয়েছে স্পিকারকে। ফলে ওই দিনই ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্ব থাকবে কিনা তা নির্ধারিত হবে।
তবে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে করে ইমরান খানের টিকে থাকার সম্ভাবনা বলতে গেলে নেই।
ইমরান খান চাচ্ছিলেন, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু বিরাধী দল পার্লামেন্ট পুনর্বহাল চাচ্ছিল। বিরোধী জোট এই মুহূর্তে নির্বাচন চাচ্ছিল না। ফলে এই রায়ে বিরোধী দলের খুশি হওয়ার কথা।
আজ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রায়ে ডেপুটি স্কিার কাসিম সুরির ৩ এপ্রিলের রুলিংকে 'অবৈধ' আখ্যায়িত করেছে এবং ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করেছে। আগামী শনিবার ইমরান খানের ওপর আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পরিষদ আবার ডাকতে হবে। নির্দেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত হতে পারে না।
আদেশে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সফল হলে পার্লামেন্ট নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবে।
গত ৩ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন। এরপর ইমরানের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টও ভেঙে দেন। এই প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি সুয়ো মোটো হিসেবে বিষয়টি গ্রহণ করেন।
সুরি অনাস্থা প্রস্তাবটি বাতিল করার সময় বলেছিলেন, এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। বিরোধী জোট সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
‘ইমরানের জনপ্রিয়তার ভয়ে নওয়াজ শরিফের দল নির্বাচন চায় না’
পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা (কায়েদে আজম গ্রুপ) মুনিস এলাহি বলেছেন, ‘ইমরান খানের জনপ্রিয়তার ভয়ে নওয়াজ শরিফের দল নির্বাচন চায় না। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে জিও নিউজ।
পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা (কায়েদে আজম গ্রুপ) মুনিস এলাহির দাবি, ইমরান খানের জনপ্রিয়তার ভয়ে নওয়াজ শরিফের দল নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো অবস্থায় নেই নওয়াজ শরিফ। কারণ, জনগণ এখন ইমরান খানের দল পিটিআইকে সমর্থন করে।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সকল বিধাসভা (প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) ভেঙ্গে দিয়ে সাধারণ নির্বাচন দেয়া হলে সকলে শরিফ ভাইদের (নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফ) অবস্থা বা জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বুঝতে পারবে।
ইমরান খানের দল পিটিআইকে সমর্থন করার বিষয়ে মুনিস এলাহি বলেন, পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা পারভেজ খট্টক, আসাদ উমর ও শাহ মেহমুদ আমাদেরকে বিরোধী দলে না যাওয়ার বিষয়ে বলেছেন। এ কারণে আমাদের রাজনৈতিক দল ও পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা পিটিআইকে সমর্থন করবে। মূলত, আমরা পাকিস্তানের জন্যই ইমরান খানের দল পিটিআইকে সমর্থন করছি।
সূত্র : জিও নিউজ