রোদে ঘুরে হঠাৎ কমেছে রক্তচাপ? কী করলে মিলবে সমাধান
রোদে ঘুরে হঠাৎ কমেছে রক্তচাপ? কী করলে মিলবে সমাধান - ছবি : সংগ্রহ
এমনিতে রক্তচাপ কমের দিকে থাকলেই স্বস্তির। কিন্তু গরমকালে এমনও সময় আসে, যখন রোদ-তাপে রক্তচাপ হঠাৎ অনেকটা নেমে যায়। তখন কাজ করার শক্তি মেলে না। মাথা ঘোরে। চোখ যেন অন্ধকার হয়ে আসে।
গরমকালে পথঘাটে চলতে গিয়ে কোনো দিনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি, এমন মানুষ কমই আছেন। আবার পারদ বাড়ছে। ফলে এই সব অভিজ্ঞতার কথাও ফিরে ফিরে আসছে।
বেশি সময়ের জন্য রক্তচাপ নেমে গেলে দেখা দিতে পারে বড়সড় বিপদ। স্ট্রোক, হৃদ্রোগ তো হয়েই থাকে। তার সঙ্গে কিডনি বিকল হওয়ার মতো সঙ্কটও হয়। অতটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি না হলেও রক্তচাপ নেমে গিয়ে কাঁপুনি হতেই পারে। তাই রক্তচাপ পড়তে শুরু করেছে মনে হলে হতে হবে সতর্ক।
গরমকালে হঠাৎ রক্তচাপ নিম্নগামী হলে কী উপায়ে পরিস্থিতি সামলাবেন?
কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা জেনে রাখলেই চলবে। তা হলেই আর পথঘাটে বিপদে পড়তে হবে না।
১) কিছুটা লবণ-পানি খেতে পারেন। এমনিতে বলা হয় সোডিয়াম কম খেতে। কিন্তু যাদের রক্তচাপ নেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হতে হবে একেবারেই উল্টো। লবণ খেলে উঠবে রক্তচাপ।
২) পা মুড়ে, একটি পায়ের উপর আর একটি তুলে বসলে অনেক সময়ে রক্তচাপ বাড়ে। হঠাৎ রক্তচাপ পড়তে শুরু করলে এই পদ্ধতি কাজে লাগতে পারে।
৩) বেশি করে জল খাওয়াও জরুরি। তাতেও অনেকটা আরাম মিলতে পারে হঠাৎ রক্তচাপ কমতে থাকলে।
৪) অল্প অল্প করে খাবার খেতে থাকুন। বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। তাতেও অনেক সময়ে রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যা হয়।
৫) রক্তচাপ কমতে থাকলে এক জায়গায় বসুন কিছু ক্ষণ। অতি দ্রুত নড়াচড়া করার চেষ্টা করবেন না। কারণ তার জেরে মাথা ঘোরা, গা গোলানো, মাথা ঝিমঝিম করা বাড়ে। এমনকি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
তরমুজের কত গুণ?
গরম পড়লেই খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছা কমতে শুরু করে অনেকের। টুকটাক খাওয়া মানে তখন ফল আর ঠান্ডা পানীয়। এ সময়ে অনেকেরই পছন্দ তরমুজ। শরীর ঠান্ডা করে আবার গলাও ভেজায় এই ফল। কিন্তু শুধু কি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যই এই ফল খাওয়া হয় গরমের সময়ে? তা কিন্তু নয়। এই ফল খাওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে।
পাঁচ হাজার বছর আগে তরমুজের প্রথম দেখা পাওয়া গিয়েছিল মিসরে। তার পর স্বাদের গুণে এই ফল ছড়িয়ে গিয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। তরমুজ হলো এমন একটি ফল, যাতে নানা প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মজুত রয়েছে। লাইকোপিন, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড আর সাইট্রুলিন— এই তিনটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে। এ সব উপাদান হার্টের সমস্যা থেকে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ— নানা কাজে লাগে।
১) তরমুজে ক্যালোরির মাত্রা খুব কম। ফলে এই ফল প্রায় সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকর। কারও ক্ষতি করবে না।
২) এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিন এ, বি ৬, সি রয়েছে এতে ভরপুর। সঙ্গে আছে পটাশিয়ামও।
৩) এতে উপস্থিত সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষয় আটকায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নেয়।
৪) চোখ ও ত্বকেরও যত্ন নেয় তরমুজ। এতে আছে ভিটামিন এ এবং সি, দু’টিই ত্বক ও চোখের জন্য ভাল। ভিটামিন বি৬ আছে তরমুজে। তা আবার ত্বক কোমল করে।
৫) এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আবার পেশী জোর বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে পেশীশক্তি বাড়ে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা