তরমুজের কত গুণ?
তরমুজের কত গুণ? - ছবি : সংগ্রহ
গরম পড়লেই খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছা কমতে শুরু করে অনেকের। টুকটাক খাওয়া মানে তখন ফল আর ঠান্ডা পানীয়। এ সময়ে অনেকেরই পছন্দ তরমুজ। শরীর ঠান্ডা করে আবার গলাও ভেজায় এই ফল। কিন্তু শুধু কি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যই এই ফল খাওয়া হয় গরমের সময়ে? তা কিন্তু নয়। এই ফল খাওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে।
পাঁচ হাজার বছর আগে তরমুজের প্রথম দেখা পাওয়া গিয়েছিল মিসরে। তার পর স্বাদের গুণে এই ফল ছড়িয়ে গিয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। তরমুজ হলো এমন একটি ফল, যাতে নানা প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মজুত রয়েছে। লাইকোপিন, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড আর সাইট্রুলিন— এই তিনটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে। এ সব উপাদান হার্টের সমস্যা থেকে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ— নানা কাজে লাগে।
১) তরমুজে ক্যালোরির মাত্রা খুব কম। ফলে এই ফল প্রায় সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকর। কারও ক্ষতি করবে না।
২) এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিন এ, বি ৬, সি রয়েছে এতে ভরপুর। সঙ্গে আছে পটাশিয়ামও।
৩) এতে উপস্থিত সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষয় আটকায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নেয়।
৪) চোখ ও ত্বকেরও যত্ন নেয় তরমুজ। এতে আছে ভিটামিন এ এবং সি, দু’টিই ত্বক ও চোখের জন্য ভাল। ভিটামিন বি৬ আছে তরমুজে। তা আবার ত্বক কোমল করে।
৫) এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আবার পেশী জোর বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে পেশীশক্তি বাড়ে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
পেঁপে কাদের জন্য ক্ষতিকারক?
পেঁপে খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভাল। চিকিৎসকরা রোজকার ডায়েটে পেঁপে রাখতেও বলেন। যারা ওজন কমাতে চান, কিংবা লিভার ভালো রাখতে চান তাদের তো পেঁপে খেতেই হবে। কিন্তু জানেন, পেঁপে খাওয়া ভালো হলেও, তা সবার জন্য ভালো নয়। চিকিৎসকদের কথায়, পেঁপে বেশ কিছু রোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
১) গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তা পাকা হোক বা কাঁচা। পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স এবং প্যাপেইন। যা জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। তাই অন্তঃসত্ত্বা হলে পেঁপে এড়িয়ে চলাই উচিত।
২) যাদের অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা রয়েছে তাদের একেবারেই পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। বেশি পরিমাণ পেঁপে খেলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩) কিডনিতে পাথর থাকলে পেঁপে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ, পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি অত্যধিক গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
৪) বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে পেঁপে দারুণ কাজ করে। তবে যাঁদের হাইপোগ্লাইসোমিয়ার সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ কম তাঁরা পেঁপে থেকে দূরেই থাকুন। পেঁপের মধ্যে থাকে অ্যান্টি-হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ কমানোর উপাদান।
৫) চিকিৎসকদের মতে, যেকোনো ফল খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভালো। তবে প্রত্যেকটি ফলেরই রয়েছে সাইড এফেক্টস। তাই একটু বুঝে শুনে ফল খেলেই উপকার হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেয়া উচিত।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন