পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন বুশরা বিবির বান্ধবী!

পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন বুশরা বিবির বান্ধবী! - ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান পাকিস্তান থেকে পালিয়ে দুবাই চলে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে পার্লামেন্টে ভেঙে দেয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
ফারাহ খান ছাড়াও ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আরো কয়েকজন নেতা বিদেশে চলে গেছেন বলে এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছে।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, ফারাহ খান রোববার দুবাই চলে যান। সেখানে তার স্বামী বাস করেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সহ-সভাপতি মরিয়াম নওয়াজ কয়েকবার অভিযোগ করেছেন যে ফারাহ খান দুর্নীতির সাথে জড়িত।
অভিযোগের জবাবে ইমরানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শেহবাজ গিল বলেন, বুশরার বিরুদ্ধে সমালোচনার কিছু না পেয়ে মরিয়ম এখন বুশরার বন্ধুকে টার্গেট করেছে।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, ফারাহ কোনো সরকারি পদে নেই। তিনি পিটিআইয়ের সদস্যও নন।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন!
তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন বলে রোববার মন্ত্রিসভা পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার প্রেক্ষাপটে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রিসভা।
তবে এতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী,তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান ১৫ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
এদিকে এক টুইটার বার্তায় রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ঘোষণা করেছেন যে কিছু সময়ের জন্য ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
তিনি লিখেন, জনাব ইমরান আহমদ খান নিয়াজি সংবিধানের ২২৪ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী কিভাবে নিযুক্ত হবেন, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। কারণ পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতাসহ কেউ আর দায়িত্বে নেই।
এদিকে সাময়িক সময়ের জন্য ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এতদিন সরকার প্রধান হিসেবে যে ক্ষমতা তিনি ভোগ করতেন, তা আর পাবেন না। তিনি কেবল দৈনন্দিন দায়িত্বই পালন করতে পারবেন।
সূত্র : দি নিউজ