আল-রিহলা : বিশ্বকাপের সেরা বল!
আল-রিহলা : বিশ্বকাপের সেরা বল! - ছবি : সংগৃহীত
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের জন্য অফিশিয়াল বলের উন্মোচন হলো বুধবার, তার নাম রাখা হয়েছে ‘আল রিহলা।’ বাংলায় যার অর্থ ভ্রমণ। প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ব্যবহৃত সেরা বল।
এই নিয়ে ফিফা’র সরকারি ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসাবে ১৪তম বিশ্বকাপের বল উপহার দিলো অ্যাডিডাস। প্রত্যেক বিশ্বকাপ বল তৈরির পিছনেই কিছু না কিছু ভাবনা কাজ করেছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাটির। এবার যেমন ‘আল-রিহলা’ বলটি তৈরির পিছনে কাতারের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যবাহী নৌকা এবং পতাকার থেকে ভাবনা নেয়া হয়েছে। ফিফার পক্ষ থেকে ‘আল রিহালে’র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত গতির বল হবে এটি। বলা হচ্ছে, উড়ন্ত অবস্থায় অন্য সব বলের থেকে দ্রুত গতিতে এগোবে এই বলটি। বলটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে ম্যাচের গতি আরো বাড়ানো যায়।
বলটি ভিতরের অংশ পুরোপুরি ফাঁপা। প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, এই বলটিতে খেলা অনেক নিখুঁত এবং সুগঠিত হবে। আরো গতিশীল হবে ম্যাচ। শুধু তাই নয়, ফুটবল বিশ্বকাপের নতুন এই বলটি দেখতেও চমৎকার। ক্যাসিয়াস, কাকা, নউফ-আল-আনজির মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররা আল-রিহলা’কে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসবেন। তারপর বিশ্বজুড়ে ১০টি শহরে ঘুরবে কাতার বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল।
১৪টি ফুটবল বিশ্বকাপে অফিশিয়াল বল তৈরির বরাত ছিল অ্যাডডিাসের ওপরে। এর আগে জাবুলানি, ব্রাজুকার মতো বলগুলো বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। এবার দেখার কাতার বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহাল’ কতটা জনপ্রিয় পান। মেসি-রোনাল্ড-নেইমারদের মতো মহাতারকারা কতটা কেরামতি দেখান এই নয়া বলে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস
২০২৬ সালে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ফিফা। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। তার আগে চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে বসতে চলেছে ৩২ দলের শেষ বিশ্বকাপের আসর। ইতিমধ্যেই ২৯টি দল মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে। জুন মাসে জানা যাবে বাকি তিনটি দলের নাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় দোহার এগজিবিশন ও কনভেনসন সেন্টারে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ বিন্যাস এবং ক্রীড়াসূচি নির্ধারিত হবে। উপস্থিত থাকবেন একঝাঁক প্রাক্তন তারকা।
এবার কাতার বিশ্বকাপের মোট ৬৪টি ম্যাচ হবে ৮টি ভেন্যুতে। দোহার গরমের কথা মাথায় রেখে এই প্রথম শীতকালীন বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। ২১ নভেম্বর আল খোরের আল বায়োট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে।
কাতার বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ২৯টি দেশের মধ্যে ইউরোপের ১৩টি, আফ্রিকার ৫টি, দক্ষিণ আমেরিকার ৪টি, উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৩টি এবং এশিয়া থেকে ৪টি দেশ। দু’টি আন্তঃমহাদেশীয় ফাইনালের পাশাপাশি তৃতীয় দল হিসেবে কাতারের টিকিট নিশ্চিত করবে স্কটল্যান্ড, ইউক্রেন ও ওয়েলসের মধ্যে একটি দেশ। এখন পর্যন্ত ইউরোপ থেকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও পর্তুগাল। আফ্রিকা অঞ্চল বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছেছে যথাক্রমে সেনেগাল, ক্যামেরুন, ঘানা, মরক্কো ও তিউনিশিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার চারটি দেশ হল যথাক্রমে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে। এশিয়া থেকে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান ও সৌদি আরব। আয়োজক দেশ হিসাবে খেলবে কাতার।
৩১ মার্চ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে বিশ্বকাপের গ্রুপ বিন্যাস করা হবে। প্রথম পাত্রে থাকবে আয়োজক কাতার। ফলে প্রথম সাতের মধ্যে না থাকায় প্রথম পাত্রে জায়গা হবে না জার্মানি (১২) ও নেদারল্যান্ডসের (১০)। সেক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবে এই দু’টি দেশ।
প্রথম পাত্র : কাতার, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, স্পেন ও পর্তুগাল।
দ্বিতীয় পাত্র: নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ে, ক্রোয়েশিয়া, ইউএসএ ও মেক্সিকো।
তৃতীয় পাত্র : ইরান, জাপান, মরক্কো, সার্বিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সেনেগাল ও তিউনেশিয়া।
চতুর্থ পাত্র : ইকুয়েডর, সৌদি আরব, ঘানা, কানাডা, ক্যামেরুন এবং বাকি যোগ্যতা অর্জনকারী তিন দল।
সূত্র : বর্তমান