রাশিয়ার কতটা ঘনিষ্ঠ হবে চীন!
পুতিন ও শি - ছবি : সংগ্রহ
ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পর এই প্রথম রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ চীন সফর করছেন। পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে গেলেও লাভরভের সাথে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র বৈঠক হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া খবর অনুযায়ী লাভরভ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইউক্রেন পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। ওই সময় দুই মন্ত্রী চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন রাশিয়ার সাথে সম্পর্ককে 'নতুন যুগে' এবং 'নতুন উচ্চতায়' নিয়ে যেতে বেইজিং প্রস্তুত। ওয়াং বলেন, চীন ও রাশিয়া একসাথে নতুন আন্তর্জাতিক বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন দুই দেশই 'আধিপত্যবাদ এবং শক্তি প্রয়োগের রাজনীতির' বিরোধী এবং 'জাতিসঙ্ঘ মূলনীতি' ধারণ করে।
লাভরভ বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে উত্তেজনা কমাতে 'প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ' এবং মস্কো শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখবে এবং সেই সাথে 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ' রাখবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন চীন 'সবসময় ইতিহাসের সঠিক দিকে অবস্থান নিয়েছে।' ইউক্রেন সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, এটির একটি 'জটিল ইতিহাস' রয়েছে। তিনি বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের যে বিরোধ চলছে, ইউক্রেন পরিস্থিতি তারই পরিণতি।
ওয়াং বলেন, রাশিয়াসহ অন্যরা ইউক্রেনে 'বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় এড়াতে' যে চেষ্টা করছে তাকে চীন সমর্থন করে।
রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউক্রেনে সেনা অভিযানের জন্য রাশিয়াকে নিন্দা করতে চীন অস্বীকার করে চলেছে।
সূত্র : বিবিসি
মনোবলের অভাবে আদেশ মানছে না রুশ সেনা, নষ্ট করছে অস্ত্র!
সেনাপ্রধানদের আদেশ মানছে না রুশ বাহিনী। ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র এবং মনোবলেও। এমনই দাবি করলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা, সাইবার এবং নিরাপত্তা সংস্থা গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়াটার্স-এর প্রধান জেরেমি ফ্লেমিং।
বুধবার ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সৈন্যদের দেখেছি । তাদের মধ্যে অস্ত্র এবং মনোবলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা উপরমহলের আদেশ পালন করতে অস্বীকার করছে। সেনারা নিজেদেরই যুদ্ধসরঞ্জাম নষ্ট করছে।'
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে ভুল করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। জেরেমি বলেন, 'এটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে যে পুতিন পরিস্থিতি বিচার করতে অক্ষম হয়েছেন। এও স্পষ্ট যে তিনি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেননি।’
এমনকি ক্রেমলিনের পাঠানো সেনা অতি সহজেই কিয়েভ দখলে সফল হবে বলে পুতিন যে ধারণা করেছিলেন তাও ভুল ছিল বলেই মন্তব্য করেন জেরেমি। তিনি আরো জানান, পুতিনের উপদেষ্টারা তাকে সত্যি কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে এই ভুল সিদ্ধান্তের পরিণাম যে এই যুদ্ধে রাশিয়ার হার, সেই ইঙ্গিতও করেন জেরেমি।
কিয়েভ দখলের চাহিদাতে মত্ত হয়ে পুতিন কুখ্যাত ওয়াগনার বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে বলে যে জল্পনা দেখা দিয়েছিল, তাও সত্যি বলেই দাবি করেন জেরেমি।
ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিভিন্ন দেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা