মনোবলের অভাবে আদেশ মানছে না রুশ সেনা, নষ্ট করছে অস্ত্র!
মনোবলের অভাবে আদেশ মানছে না রুশ সেনা, নষ্ট করছে অস্ত্র! - ছবি : সংগ্রহ
সেনাপ্রধানদের আদেশ মানছে না রুশ বাহিনী। ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র এবং মনোবলেও। এমনই দাবি করলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা, সাইবার এবং নিরাপত্তা সংস্থা গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়াটার্স-এর প্রধান জেরেমি ফ্লেমিং।
বুধবার ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সৈন্যদের দেখেছি । তাদের মধ্যে অস্ত্র এবং মনোবলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা উপরমহলের আদেশ পালন করতে অস্বীকার করছে। সেনারা নিজেদেরই যুদ্ধসরঞ্জাম নষ্ট করছে।'
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে ভুল করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। জেরেমি বলেন, 'এটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে যে পুতিন পরিস্থিতি বিচার করতে অক্ষম হয়েছেন। এও স্পষ্ট যে তিনি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেননি।’
এমনকি ক্রেমলিনের পাঠানো সেনা অতি সহজেই কিয়েভ দখলে সফল হবে বলে পুতিন যে ধারণা করেছিলেন তাও ভুল ছিল বলেই মন্তব্য করেন জেরেমি। তিনি আরো জানান, পুতিনের উপদেষ্টারা তাকে সত্যি কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে এই ভুল সিদ্ধান্তের পরিণাম যে এই যুদ্ধে রাশিয়ার হার, সেই ইঙ্গিতও করেন জেরেমি।
কিয়েভ দখলের চাহিদাতে মত্ত হয়ে পুতিন কুখ্যাত ওয়াগনার বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে বলে যে জল্পনা দেখা দিয়েছিল, তাও সত্যি বলেই দাবি করেন জেরেমি।
ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিভিন্ন দেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’ : জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ এখন টার্নিং পয়েন্টে রয়েছে। এছাড়া হামলা কমিয়ে দেয়া হচ্ছে রাশিয়া যে দাবি করেছে তা নিয়েও জেলেনস্কি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে অব্যাহত আলোচনা কেবল ‘কথার কথা’।
রাশিয়ার হামলা কমিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা জানি যে এটি প্রত্যাহার নয় বরং বিতাড়িত হওয়ার পরিণতি। তবে আমরা এটাও দেখছি যে, রাশিয়া এখন ডনবাসে নতুন হামলার জন্য তার বাহিনীকে কেন্দ্রীভূত করছে এবং আমরাও এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ‘
জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া রাতের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সত্যিই স্বাধীনতার জন্য এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একসাথে লড়াই করি, তবে এই কঠিন সময়ে ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র চাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। স্বৈরশাসকের পাশাপাশি স্বাধীনতাকে সশস্ত্র হতে হবে।’
ভাষণে বুধবার ঘোষণা করা অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন সহায়তা জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে বুধবার রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভ এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভের আশেপাশের এলাকা ও দেশের অন্যান্য অংশে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া জানিয়েছেন, ভিডিওর মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুক্রবার পুনরায় আলোচনা শুরু হবে।