যেকোনো বয়সে হতে পারে স্ট্রোক, যেভাবে বুঝবেন
যেকোনো বয়সে হতে পারে স্ট্রোক, যেভাবে বুঝবেন - ছবি : সংগৃহীত
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোটার চেষ্টা করে চলেছে মানুষ। বাস্তবের এই ইঁদুর দৌড়ে শরীর খেয়াল আর রাখা হয় কই? সমস্যা জমতে জমতে কখন যে রোগের পাহাড় তৈরি হয়ে যায়, টেরই পাওয়া যায় না। ফল? স্ট্রোকের (Stroke) মতো বিপজ্জনক সমস্যা। যা এখন বয়সের তোয়াক্কাও করে না। ৬০ বছরের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারও হতে পারে আবার ২৫ বছরের যুবতী কিংবা যুবককেও কাবু করে দিতে হতে পারে।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অথবা আঞ্চলিকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়া- সাধারণত এই দুই অবস্থাকে স্ট্রোকের আওতায় ফেলা হয়। শুরুতেই যদি এই সমস্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। কেমন এই লক্ষণ?
১) স্ট্রোকের প্রভাবে শরীরের একাংশ দুর্বল হতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গ-প্রতঙ্গ অসাড় হতে থাকে।
২) স্ট্রোক হলে তার প্রভাবে কথা জড়িয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পায়ের জোর কমতে থাকে।
৩) ভারসাম্যের সমস্যা হতে পারে। এর প্রভাবে হাঁটা-চলায় সমস্যা হতে পারে। এই সময় পড়ে যাওয়ার ফল আরও খারাপ হতে পারে।
৪) স্ট্রোকের প্রভাবে অসম্ভব মাথা যন্ত্রণা হতে পারে।
৫) অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে। সামনের সবকিছু যেন আবছা দেখতে লাগে।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসা শুরু করতে যেন দেরি না হয়! তাহলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তাই আগে থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শরীরের খেয়ালও রাখতে হবে। কারণ অনিয়মিত জীবনযাপন, বাড়তি ওজন ও রক্তচাপ স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আর যেকোনো বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এ সময়ের ডায়রিয়া : যা করবেন
ডা: সামস আরেফিন
কিছু দিন ধরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ অনেক বেড়েছে এটা সবাই জানেন। হাসপাতালে আসা বহু রোগী ডায়ারিয়াক্টবমির সমস্যা নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো আজ খেয়াল করলাম হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশেরই অকও/অজঋ (একিউট রেনাল ফেইলিউর) ধরা পড়েছে। এর কারণ হলো শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া অতিরিক্ত লবণ-পানির ঘাটতি পূরণ না হওয়া। বাচ্চাদের জন্য যা বেশি মারাত্মক।
ষ আমরা সব কিছু গোগ্রাসে খাই অথচ স্যালাইন খাওয়ার সময় কত এক্সকিউজ...! অনেকে খেলেও পরিমাণে কম খাওয়ায় বেশি অসুস্থ হয়েছেন। শিক্ষিত অনেকেই জেনেও স্যালাইন খেতে অলসতা করেন!
ষ দুইবারের বেশি পাতলা পায়খানা হলেই (এমনকি একবার অনেক বেশি পরিমাণে পানির মতো পায়খানা হলে) অবশ্যই ওরাল স্যালাইন খাবেন। সাথে জিংক ট্যাবলেট খেলে ভালো।
ষ শরীর নেতিয়ে পড়লে/বেশি দুর্বল লাগলে/জিহবা-গলা শুকিয়ে গেলে/সাথে বমি থাকলে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে যান। ডাক্তার আপনার ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বুঝে শিরাপথে স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক দিবেন। (ডঐঙ ঞৎবধঃসবহঃ ঢ়ষধহ ই/ঈ)
ষ মোবাইলে চিকিৎসার ওপর আস্থা কম রাখুন।
স্যালাইন কিভাবে খাবেন : ওরাল স্যালাইন সবার জন্য মূল চিকিৎসা। প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী স্যালাইন তৈরি করবেন। (ডঐঙ ঃৎবধঃসবহঃ ঢ়ষধহ অ)
ষ বয়স ২ বছরের নিচে : প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ৫০-১০০ মিলি
ষ বয়স ২-১২ বছর : ১০০-২০০ মিলি প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর
ষ বয়স ১২+ সবাই : ২০০-৪০০ মিলি প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর
স্যালাইন সবাই খেতে পারবে? জি পারবেন, ডায়াবেটিস, প্রেসার, গর্ভবতী উপরোক্ত নিয়মে খেতে পারবেন।
সাবধানতা : আগে থেকেই হার্ট/লিভার/কিডনি ফেইলিউরের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফ্লুইড ব্যালেন্স করবেন।
প্রতিকার :
বাইরের খোলা খাবার, বাসি খাবার পরিহার করতে চেষ্টা করুন।
ষ বাইরে যারা খেতে বাধ্য পানি খাওয়ার সময় বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। নীল জারে টঙ দোকানে ১ টাকা গ্লাস এ যে পানি খাই, অনেক সময়ই তা বিশুদ্ধ থাকে না।
ষ বিষয়টি মনে রাখুন; আপনার পাশেরজনকে জানান; অন্যের উপকারে অংশীদার হউন।
আবারও বলছি ডায়ারিয়া হলে
স্যালাইন অবশ্যই
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।