সেই শামির চমক
সেই শামির চমক - ছবি : সংগৃহীত
ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরিয়েছিলেন বিপক্ষ দলের অধিনায়ক কে এল রাহুলকে। পরের দু’টি ওভারে আরো দু’টি উইকেট তুলে নেন। লখনউয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া মোহাম্মদ শামিকে আনন্দবাজার অনলাইনের মতোই ম্যাচের সেরা বেছে নিলেন আইপিএলের আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিরাও।
সোমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে বল করে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শামি। রাহুল ছাড়াও তার শিকার হয়েছেন কুইন্টন ডি’কক এবং মণীশ পান্ডের মতো দুই বিধ্বংসী ব্যাটার। লখনউ অবশ্য সেই জায়গা থেকেও ঘুরে দাঁড়ায় দীপক হুডা এবং আয়ুষ বাদোনির অর্ধশতরানের সৌজন্যে। কিন্তু গুজরাতের রাহুল তেওয়াটিয়ার সৌজন্যে জিততে পারল না তারা।
প্রথম বলে রাহুলকে আউট করা নিয়ে শামি বললেন, “সঠিক লাইন এবং লেংথে বলটা রাখতে চেয়েছিলাম। হাত থেকে বল বেরনোর পরেই বুঝতে পারি ভাল বল করেছি। অনেকে ভাবেন এটা বোধহয় ঈশ্বরের উপহার। কিন্তু সেটা সঠিক নয়। অনেক পরিশ্রম করলে এগুলো আয়ত্তে আনা যায়। হার্দিক আমাকে বলেছিল চতুর্থ ওভারও দেবে। আমিই বললাম দরকার নেই। একটা ওভার বাঁচিয়ে রাখো।”
গুজরাতের জয়ের পিছনে অবদান রয়েছে তেওয়াটিয়ারও। তিনি ম্যাচের পরে বলেছেন, “ব্যাট করার পক্ষে উইকেট খুবই ভাল ছিল। আমি এবং মিলার ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে লম্বা জুটি গড়ব। মাত্র একটা ওভারের ব্যাপার ছিল। তাতেই খেলা ঘুরে যেত। রিভার্স সুইপে ওই ছয়টা মারার পর দেখছিলাম রবি বিষ্ণোইও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তখনই মনে হয়েছিল ম্যাচটা আমাদের হাতে রয়েছে।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দারুণ জয়ে শুরু গুজরাট টাইটান্সের
দারুণ জয়ে আইপিএল মিশন শুরু করেছে গুজরাট টাইটান্স। সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লখনৌ সুপার জায়ান্টকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে লখনৌ। জবাবে ২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানে দুই উইকেট হারায় গুজরাট। তবে ওয়েড ও হার্দিকের ব্যাটে কক্ষপথে ফেরে দলটি। পরে ডেভিড মিলার ও রাহুল তিওয়াতির ব্যাটে গুজরাট কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্পর্শ করে।
২৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন রাহুল। ম্যাথু ওয়েড ৩০, অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ৩৩, মিলার ৩০ রান করেন। সাত বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন অভিনব মনোহর।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্ট। ২৯ রানে হারায় চার উইকেট। দুই অঙ্ক স্পর্শের আগেই সাজঘরে ফেরেন লোকেশ রাহুল, কুইন্টন ডি কক, মনীষ পান্ডে। জ্বলে উঠতে পারেননি এভিন লুইসও (১০)।
মিডল অর্ডারে হাল ধরেন দিপক হুদা ও আয়ুশ বাদনি। দু’জনই পান ফিফটির দেখা। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে লখনৌ। ৪১ বলে ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৫ রান করেন দিপক। সমান বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৪ রান করেন বাদনি।
১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। বল হাতে শামি তিনটি, বরুন অরুণ দুটি ও রশিদ খান একটি উইকেট নেন।