হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যু : কেন হয়

অন্য এক দিগন্ত | Mar 24, 2022 03:54 pm
হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যু : কেন হয়

হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যু : কেন হয় - ছবি : সংগ্রহ

 

মাঝে মাঝেই খবর পাওয়া যায়, আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঝ বয়সী কোনো পরিচিত লোক মারা গেছেন। চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়েই তারা পরলোকে পাড়ি জমান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা পৃথিবীতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান এই রোগে। দেখে নিন কোন কোন কারণে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি।

১। আনুষাঙ্গিক সমস্যা : ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলো হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। এই উপসর্গগুলো ডেকে আনে লিভারের সমস্যাও। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর জন্য ইচ্ছে মতো ওষুধ খাওয়া চলবে না। মনে রাখা দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।

২। দাঁতের সমস্যা : দাঁতের পরিচর্যা শুধু দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২০১৪ সালে ‘জার্নাল অফ পিরিওডন্টাল রিসার্চ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক ভাবে দাঁতের যত্ন নিলে কমে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাড়ির রোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং প্রদাহ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস : অত্যধিক সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। শুধু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণই নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যুপ, হিমায়িত খাবার, চিপস এবং অন্যান্য লবণাক্ত স্ন্যাকসেও প্রচুর পরিমাণ লবণ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত নয়।

৫। অপর্যাপ্ত ঘুম : হৃদ্‌রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক অপর্যাপ্ত ঘুম। শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। হৃদ্‌যন্ত্র সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী না ঘুমালে, সংবহনতন্ত্র বিশ্রাম পায় না। ঘুমের প্রথম পর্বে হৃদ্‌স্পন্দন এবং রক্তচাপ কমে যায় (নন-আরইএম পর্যায়)। দ্বিতীয় পর্বে (আরইএম ঘুম) মানুষ যেমন স্বপ্ন দেখে সেই অনুপাতে হৃদ্‌স্পন্দন বাড়ে ও কমে। সারা রাত এই পরিবর্তনগুলি হৃদ্‌যন্ত্রকে ভাল রাখে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের অভাব ঘটলে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে, এটি অতিরিক্ত মানসিক চাপের সমতুল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।

৬। হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা না করানো : হৃদ্‌যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকাতে পারে হৃদ্‌রোগ। কিন্তু বুকে ব্যথা বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলোকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। তবে সঠিক সময়ে ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকি কমে হৃদ্‌রোগের। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত হৃদ্‌যন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা অবশ্যই দরকার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us