গন্ধগোকুলের মল থেকে তৈরী হয় ভারতের সবচেয়ে দামি কফি
গন্ধগোকুলের মল থেকে তৈরী হয় ভারতের সবচেয়ে দামি কফি - ছবি : সংগ্রহ
ভারত এশিয়ায় প্রধান কফি উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কফি উৎপাদিত হয়। তবে জানেন কি ভারতে উৎপাদিত হওয়া সবচেয়ে দামি কফি কিভাবে তৈরি হয়?
ভারতে উৎপাদিত হওয়া সবচেয়ে দামি কফির নাম ‘কোপি লুয়াক’ বা ‘সিভেট কফি’। ইন্ডিয়ান পাম সিভেট এদেশে পরিচিত ভাম বা গন্ধগোকুল নামে। এই প্রাণীর মল থেকে কফির বীজ সংগ্রহ করে, সেই বীজ প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয় এই কফি। তবে বর্তমানে ভারতে উৎপাদিত হলেও এভাবে কফি তৈরির পদ্ধতিটির সূচনা কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এশিয়ান পাম সিভেট প্রজাতির প্রাণীর মল থেকেই প্রথম তৈরি হয় কোপি লুয়াক নামের এই কফি। বন্য বিড়াল গোত্রীয় এই প্রাণী নিয়মিত কফিফল খেয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাণীর ঘ্রাণশক্তি অতি প্রবল, ফলে এরা বেছে বেছে সেরা ও পাকা কফিফলগুলি খায়। এদের পাচনতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ফলের বাইরের অংশ পাচিত হয়ে গেলেও, পাচিত হয় না কফির বীজ। এদের মল সংগ্রহ করে তা প্রসেস করেই তৈরি করা হয়ে থাকে কোপি লুয়াক।
সিভেটের শরীরের উৎসেচকই নাকি এই কফি বিনের স্বাদ ও গন্ধের প্রধান কারণ। কর্নাটকের একটি সংস্থা বর্তমানে এই কফি উৎপাদন করে। ভারতে প্রতি কিলোগ্রাম ৯ হাজার টাকায় পাওয়া যায় এই কফি। আরব সাগরীয় ও ইউরোপের দেশগুলোয় এই কফির দাম প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
কফি খেলে কি আসলেই মেদ কমে?
ঘরে বসে বসে এই কয়েক মাসে ওজন কি বেড়ে গেছে? আর বাড়তি মেদ নিয়ে নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তাও রয়েছে? এই পরিস্থিতিতে কিন্তু কফিই কিন্তু আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শরীরে বাড়তি মেদ থাকলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। ওজন কমাতে কফি বেশ সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ, দুধ-চিনি মেশানো সুস্বাদু কফি নয়, সমাধান সূত্র লুকিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক কফিতে।
এই ধরনের কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ একেবারে খুবই কম থাকে। আর ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে সেখানে ক্যালোরি প্রায় থাকেই না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে তা শরীরের জন্যও অনেক উপাকার। বিজ্ঞান বলে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষ তৈরি হয় না।
এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমানোর জন্য উপকারী। ব্ল্যাক কফিতে থাকে ক্যাফিন যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়।
তবে খালি পেটে বা একদম সকালে কফি না খাওয়াই ভালো। যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা বরং রাতে কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। লেবু-মধু মিশিয়ে এই কফি খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সন্ধ্যাবেলা। কফির সঙ্গে মধু আর লেবুর রস মেশালে হজম ভালো হয়। মধুর বদলে ব্রাউন সুগারও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র : এবেলা