পাকিস্তানে সুপারসনিক মিসাইলের রহস্য
পাকিস্তানে সুপারসনিক মিসাইলের রহস্য - ছবি : সংগ্রহ
ইউক্রেনের প্রলয়ঙ্করী যুদ্ধের আঁচ যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঠিক সে সময়েই গোলাবিহীন এক ভারতীয় ব্রহ্ম সুপারসনিক মিসাইল আকাশসীমা ভেদ করে পাকিস্তানে আঘাত হানে। মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে ভারতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার উদ্যোগ নিয়েছিল, সেটি থেমে যায় রাশিয়ার অনুরোধে। এরপর পাকিস্তান মিসাইলটি আসলেই রাষ্ট্রিক ত্রুটি না অন্য কোনো কারণে ছোঁড়া হয়েছে তা তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের দাবি জানায়। সে দাবিতে নয়াদিল্লি একদিকে সাড়া দেয়নি অন্যদিকে ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির দখলে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর প্রকাশ হয়। আর ঠিক এ সময় পাকিস্তানকে চীন হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করার খবর প্রকাশ হয়। এই সময়টাতেই ইসলামাবাদে আয়োজন করা হচ্ছে ওআইসি সম্মেলন। সবকিছু মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি উত্তেজনার আরেকটি কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
ইউরোপে রাশিয়া-ইউক্রেন সর্বাত্মক যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ উত্তেজনা, দক্ষিণ এশিয়ায় ধূমায়িত উত্তেজনা, বৈশ্বিক পরিসরে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও কর্তৃত্ব পরিবর্তনের লড়াই, এসব কিছু একটি নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে চলছে বলে মনে হয়। এর সাথে তাইওয়ান উত্তেজনা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে কিউবা বা অন্য কোনো দেশে নতুন কোনো উত্তাপ তৈরি হলে পৃথিবী হয়ে উঠতে পারে এক উত্তপ্ত গ্রহ।
এর পথ ধরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো কোনো ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু বলে মনে করছেন না অনেক বিশ্লেষক। আর পুতিন ল্যাভরব বা বাইডেন ব্লিঙ্কেনের কথা অনুযায়ী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরমাণু যুদ্ধে রূপ নিলে তা বিশ্বে মনুষ্যসৃষ্ট এক মহাবিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। পরম করুণাময় যেন পৃথিবীবাসীকে সেই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন।
mrkmmb@gmail.com
পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল পাকিস্তান!
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার পরেই প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইসলামাবাদ। ভারতের পক্ষ থেকে ‘ভুলের কথা’ জানাতে আর কিছুক্ষণ দেরি হলেই ধেরে আসতে পারত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বুধবার (৯ মার্চ) হরিয়ানার অম্বালায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে রক্ষাণাবেক্ষণ এবং রুটিন মহড়ার সময় হঠাৎই ভুল করে রাশিয়ায় সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। সেটি আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিলন চানু শহরে। এর পরেই জবাবি হামলার প্রস্তুতি শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছেন, ওই ঘটনার মিলন চানু এলাকার কয়েকটি ঘরবাড়ির ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানি হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পরেই অম্বালার ফের দুর্ঘটনা এড়াতে অম্বালার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমে দু’দেশের সেনা কমান্ডার স্তরের হটলাইন ব্যবহার করে পাকিস্তানকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে। সে কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরর তরফে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতের বার্তা পেয়ে নিরস্ত হয় পাকিস্তান বাহিনী।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ ‘ট্র্যাক’ করে তারা দেখেছেন, সেটি হরিয়ানার সিরসা থেকে এসেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা