কেন হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করল রাশিয়া?

অন্য এক দিগন্ত | Mar 20, 2022 06:37 am
কেন হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করল রাশিয়া?

কেন হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করল রাশিয়া? - ছবি : সংগৃহীত

 

অপ্রতিরোধ্য। আদর্শ অস্ত্রের ক্ষেত্রে স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পছন্দ এই বিশেষণ। বিশেষ করে সেই অস্ত্র যদি হয় কেএইচ-৪৭এম২ কিনঝল মিসাইল। শব্দের চেয়েও ১০ গুণ দ্রুতগতিতে ছোটা পরমাণু অস্ত্রবাহী এরো-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ২০১৬ সালেই তার মারণক্ষমতা টের পেয়েছিল সিরিয়ার আলেপ্পো। তবে সেটা ছিল বেসরকারি রিপোর্ট। সরকারিভাবে এই প্রথম রুশ হাইপারসনিক মিসাইল আছড়ে পড়ল ইউক্রেনে।

শুক্রবার ইভানো-ফ্র্যাঙ্কিভস্ক এলাকার ডেলিয়াটাইন গ্রামে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি। লক্ষ্য ছিল মাটির তলায় থাকা ইউক্রেনের একটি অস্ত্রভাণ্ডার। সেটি ধ্বংস করতেই মিসাইল নিক্ষেপ করার কথা শনিবার স্বীকার করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ঘটনায় হতাহতের খবর মেলেনি। ন্যাটো সদস্য দেশ রোমানিয়া সীমান্তের অদূরে এই ইভানো-ফ্র্যাঙ্কিভস্ক এলাকা। ফলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিমী দুনিয়ায়। যদিও এ নিয়ে কিয়েভের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে এদিন আরো রুশ সমরাধিনায়কের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তারা।

হাইপারসনিক মিসাইল হানার পরেই গতকাল শনিবার বিস্তারিত শান্তি আলোচনার পক্ষে জোর দাবি উত্থাপন করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি। তার কথায়, মস্কোকে আক্রমণ থামাতেই হবে। নয়তো এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে রাশিয়ার কয়েক প্রজন্ম চলে যাবে। তবে এই প্রথম একটি ক্ষেত্রে কার্যত পরাজয় স্বীকার করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, আজভ সাগরে যাওয়ার রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ। তীরবর্তী মারিউপোলসহ গোটা এলাকায় এখন রুশ সেনার দখলে।

দক্ষিণে কৃষ্ণসাগরের তীরে ওডেসা বন্দরে ইউক্রেনীয় সেনাঘাঁটির ওপরেও চলেছে গোলাবর্ষণ। রুশ মেজর জেলারেল ইগর কোনাশেঙ্কোভের দাবি, একাজে ব্যবহৃত হয়েছে জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টা ধরেই যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনা বাহিনীর কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি চোখে পড়েনি। তবে দক্ষিণে মারিউপোল, মাইকোলেইভ এবং খারসন এবং পূর্বে ইজুমে লড়াই চলেছে। দেশ ছেড়ে পালানোর প্রক্রিয়াও অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ ইউক্রেনীয় সীমান্ত পেরিয়েছেন। পালানোর অপেক্ষায় আরো ২০ লক্ষ। নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনতে ১০টি মানবিক করিডর তৈরি করতে চাইছে কিয়েভ। কিন্তু ক্রেমলিন এব্যাপারে কোনও সাড়া দেয়নি।

যদিও হাইপারসনিক মিসাইলের মতো প্রোটোটাইপ অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা মত সামনে এসেছে। ২০১৮ সালে সরকারিভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পুতিনের অস্ত্রভাণ্ডারে শামিল হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন, এতে প্রমাণ হয় রাশিয়ার ভাণ্ডারে অস্ত্র কমে আসছে।

অন্যদিকে, এটাকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হিসেবেই দাবি করছে অনেকে। এদিন কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এপর্যন্ত ১,৪০৩টি বিমান হানা চালিয়েছেন ক্রেমলিন। এর পাল্টা একাধিক দেশ থেকে বিমান ধ্বংসকারী অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে জেলেনস্কির দেশে। ফলে চাপ বাড়ছে পুতিনের উপর। সেই কারণেই হাইপারসনিক মিসাইলের মতো হাতিয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে বলেই মত যুদ্ধবিশেষজ্ঞদের।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us