আপনার কোলস্টেরল কি বাড়ছে : ৩টি লক্ষণেই বুঝতে পারেন
আপনার কোলস্টেরল কি বাড়ছে : ৩টি লক্ষণেই বুঝতে পারেন - ছবি : সংগ্রহ
বর্তমান সময়ে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও বাজেল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই মানুষের হার্টের রোগ, মস্তিষ্কের সমস্যা, ডায়বেটিস, কোয়লেস্টোরেলের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ৷তবে এর মধ্যে কোলেস্টেরলের সমস্যা অত্যন্ত মারাত্মক৷ ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরলের সমস্যায় জর্জরিত বর্তমানের যুব সম্প্রদায় ৷
যুব সম্প্রদায়ও ক্রমেই বাড়ন্ত কোলেস্টেরল নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ৷ বিশেষত যাদের অল্প বয়স তাদের জন্য কোলেস্টেরল বৃদ্ধি মোটেই ভালো খবর নয় ৷
এই সময়ে যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ তাদের শরীরেও কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ৷ যা রীতিমত ভাবায়। তবে দ্রুত বিষয়টি বোঝা গেলে সমাধানও পাওয়া যাবে। কয়েকটি লক্ষণ আছে সেগুলোই লক্ষণ বলে দেবে শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বাঁধছে ৷ কেমন সেই লক্ষণগুলো :
১. যদি কারো হাত বা পায়ে ঝনঝন করে ওঠে বা মনে হয় যেন পিঁপড়ে কামড়াচ্ছে সেক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে ৷ এমন তখনই হয় যখন রক্তে অক্সিজেন ঠিক করে পৌঁছয় না ৷ তখনই শরীরটা যেন ঝনঝন করে ওঠে ৷
২. যখন হঠাৎ বারেবারে অন্যমনস্ক হওয়ার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায় ঠিক তখনো কোলেস্টেরল ধরা পড়তে পারে৷ যখন রক্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে হার্টে পৌঁছয় না৷ রক্তের পরিমাণ কম হতেই পাম্প হতে শুরু করে ৷ ফলে অন্যমনস্ক হতে থাকে মন ও ছুটতে থাকে ঘাম ৷
৩. কারো চোখের পাতার ওপরে হলুদ গুটি বা ছোপ দাগ দেখতে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে কোলেস্টেরলের লক্ষণ ৷
শরীরে ক্রমেই বাড়ছে কোলেস্টেরল তা দেখে কখনো এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ৷ বহু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাই সময় থাকতে না থাকতেই চিকিৎসা করাটা জরুরি ৷
খিঁচুনির সময় করণীয়
খিঁচুনির সময় আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে চামড়ার জুতা ধরাটা নিতান্ত কুসংস্কার। এতে রোগীর কোনো উপকার আসে না
ডা: সেলিনা ডেইজী ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
খিঁচুনির সময় করণীয় -
রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় খিঁচুনি আক্রান্ত ব্যক্তিকে চারদিক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ এসে নাকের কাছে রাবারের জুতা ধরছেন। এগুলো ভুল ধারণা। খিঁচুনির সময় কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে-
আক্রান্ত ব্যক্তি যদি বুঝতে পারেন তার খিঁচুনি হতে যাচ্ছে তাহলে দেরি না করে শুয়ে পড়ুন। অথবা কেউ দাঁড়ানো অবস্থায় খিঁচুনি হতে দেখলে তাকে মাটিয়ে শুয়ে দিন। কারণ দাঁড়ানো অবস্থায় খিঁচুনি হলে পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ সময় বালিশ দেয়ার দরকার নেই। মাথা একদিকে কাত করে রাখুন। চিৎ করে শোয়াবেন না। এতে লালা শ্বাসনালীতে চলে যাবে।
পরবর্তীতে ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিহ্বা যেন বের না হয়ে থাকে, তাতে জিহ্বা দু’দাতের মধ্যে পড়ে কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের ঘন ঘন খিঁচুনি হয় তারা মেডিক্যাল ইন্সট্র্রুমেন্টের দোকান থেকে এয়ার ওয়ে কিনে নিতে পারেন। খিঁচুনির সময় এয়ার ওয়ে জিহ্বা ও দাতের পাটির মাঝে ঢুকিয়ে দিন। কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নিন। মাথায় বা চোখে মুখে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই। যাদের খিঁচুনি খুব ঘন ঘন হয় ও খিঁচুনির সাথে পায়খানা হয় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে পায়ুপথের খিঁচুনি বন্ধের ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
বেশির ভাগ খিঁচুনির স্থায়িত্ব খুবই কম। এক-দুই মিনিট থেকে চার-পাঁচ মিনিট। এ সময় উপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। খিঁচুনি হওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। খিঁচুনি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বন্ধ হওয়ার পরও আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা রাস্তা পারাপার হতে দেয়া ঠিক নয়। কারণ খিঁচুনির পরও তার মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই তাকে কিছুক্ষণ সময় দিন পুরোপুরি ঠিক হওয়ার জন্য।
খিঁচুনির সময় আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে চামড়ার জুতা ধরাটা নিতান্ত কুসংস্কার। এতে রোগীর কোনো উপকার আসে না। বরং জুতার নোঙরা তার মুখে লেগে যেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘিরে না ধরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিন।
সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।