কিডনির অসুখে কী খাবেন, কী খাবেন না

অন্য এক দিগন্ত | Mar 10, 2022 03:33 pm
কিডনির অসুখে কী খাবেন, কী খাবেন না

কিডনির অসুখে কী খাবেন, কী খাবেন না - ছবি : সংগ্রহ

 

কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে, ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা যায় না। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত সে সম্পর্কে খুব একটা সচেতন হই না আমরা। কিডনির অসুখে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। ঠিক কতটা পানি পান করবেন- সেই বিষয়েও চলে আসে বিধিনিষেধ।

কিডনির অসুখে কী খাওয়া যেতে পারে?

১) বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে কিডনিকে শক্তিশালী করে।

২) জাম, স্ট্রবেরি,আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, লাল আঙুর ইত্যাদি কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩) পেঁয়াজ ও রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনির পক্ষে ভালো।

৪) আদা দেহের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

৫) কোনো রোগীর সপ্তাহে দু’-তিন বার করে ডায়ালিসিস চলছে মানেই কিডনির কাজ হচ্ছে, কৃত্রিমভাবে। এর ফলে বেশ কিছু পরিমাণে প্রোটিনের ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই শরীরে সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের জোগান দেয়া ভীষণ জরুরি। তাই চিকেন খাওয়া যেতে পারে। তবে চামড়া ছা়ড়ানো চিকেন খাবেন। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, দুধ বা দই থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।

কোন কোন বিষয়ে সচেতন থাকবেন?

পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

কিডনির অসুখে শরীরে যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে, সে কারণে যেকোনো ধরনের তরল খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলা হয়। অনেকে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমালেও সুপ, ফলের রস, ডাল ইত্যাদির মাধ্যমে তরল খাবার খেয়ে ফেলেন। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেগুলোও।

পরিমিত লবণ

লবণের মধ্যে অত্যধিক মাত্রায় সোডিয়াম থাকে যা কিডনির পক্ষে মোটেই ভালো নয়। এর জন্য এখন অনেকেই কম সোডিয়াম যুক্ত নুন খান। তবে বাড়ির খাবারে আপনি লবণ কম-বেশি করে দিতে পারেন, সমস্যা তৈরি হয় প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে। কিডনির অসুখ হলে ‘জাঙ্ক ফুড’ এড়িয়ে চলাই ভাল।

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা

কিডনির রোগীদের ডায়েট প্ল্যান করার সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আগে জানতে হবে রোগী কোন স্টেজ রেনাল ডিজিজে আক্রান্ত। স্টেজ ১-এ ডায়েট এক রকম, আবার স্টেজ ৪-এ আর এক রকম। এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিতে হয়, রোগীর শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির মাত্রা কত। এর উপর নির্ভর করেই ঠিক করতে হবে রোগীর ডায়েট প্ল্যান।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us