ঘন ঘন প্রস্রাবে বিপদ ঘণ্টা!
ঘন ঘন প্রস্রাবে বিপদ ঘণ্টা! - ছবি : সংগ্রহ
সারাদিন ধরে পানিপান করলে দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বার প্রস্রাব করতে হয় ৷ কিন্তু বারে বারে বাথরুমে যেতে হলে একটা সময়ে পরে তা চিন্তার সৃষ্টি করতে পারে ৷
তবে একনজরে একবার দেখে নেয়া যাক এই সমস্যা কোন কোন আসন্ন শরীর খারাপের সঙ্কেত দিতে পারে ৷ কিভাবেই বা সেই সমস্যা থেক মুক্তি পাওয়া যায়৷
বারে বারে প্রস্রাব অনুভব করলে তার পিছনে অনেক কারণই থাকতে পারে ৷ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান, মূত্রবর্ধক ওষুধপত্র খাওয়া, গর্ভবতী হওয়া, পেলভিক টিউমার হওয়া বা স্ট্রোকের সমস্যাও হতে পারে ৷
বারে বারে প্রস্রাবের অভ্যাস বা প্রবণতা ডায়বেটিসের সঙ্কেত দিতে পারে ৷ এই সময়ে খুব দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ ৷
বেশ কিছু সময়ে মূত্রাশয়ে সংক্রমণের ফলে বারেবারে প্রস্রাব করার সময়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷ বারেবারে মূত্র ত্যাগের প্রবণতা বাইরের সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করতে পারে, বড়সড় ঝুঁকি থেকেই যায় ৷
চিকিৎসক যত তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন বা চিকিৎসা শুরু করবেন ততই মঙ্গলময় হবে ৷
যে পথ দিয়ে প্রস্রাব প্রবাহিত হয় সেই পথ দিয়েই নানা ধরনের ব্যাথা বেদনা হয়ে থাকে ৷ বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে মামলা জটিলতার দিকে অগ্রসর হয় ৷
প্রস্টেট একটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি শরীরের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর আকারের পরিবর্তন হয় ৷ যদি এর আকার বড় হয় সেক্ষেত্রে প্রস্রাব করার সময়ে বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায় ৷ এরফলেই ক্রমাগত প্রস্রাবের প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায় ৷
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে ৷সেক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়াই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ এই জন্যই শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা একদমই কমিয়ে দিতে হবে ৷
এমন কিছু ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ৷
সূত্র : নিউজ ১৮
হৃদরোগ : ওয়ার্নের মতো অবস্থা কি যে কারো হতে পারে?
মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। 'মেদ ঝরানোর মিশন' শুরু করেছিলেন আগেই। তারপরও কেন হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন চ্যাম্পিয়ন এই স্পোর্টসম্যান? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। স্পোর্টসম্যান হলেই যে তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, এমনটা কিন্তু নয়। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই জানাচ্ছেন।
আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ একাধিক হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্টে রক্তনালিগুলো হঠাৎ করে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক শংকর মণ্ডল। বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট রাজা ধর জানান, একটা সময়ের পর খেলোয়াড়রা শরীরের উপর তেমন একটা নজর দেন না। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শেন ওয়ার্নের মৃত্যু যেন আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো বয়স হয় না। তা স্পোর্টসম্যানদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
১) বংশগত কারণে এমনটা হতে পারে। পরিবারের কারও হার্টের সমস্যা আছে কিনা তা জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাবা কিংবা মায়ের পরিবারে হার্টের প্রবলেম থাকলে তা সন্তানদের ক্ষেত্রেও সমস্যার কারণ হয়।
২) হার্টে ব্লকেজ থেকে এমনটা হতে পারে। পালমোনারি আর্টারিতে কোলেস্টরল জমতে শুরু করে। কোলেস্টরল গুড এবং ব্যাড প্রকৃতির হয়। ব্যাড কোলেস্টরলের জেরে ধমনির পেশিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এতে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় না।
৩) অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলেও হৃদরোগে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান শরীরে বিষের মতো কাজ করে। অল্প বয়সে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, এমন ভুল ধারণা অনেকেরই থাকে। আর এতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। আর স্পোর্টসম্যানদেরও এ বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
৪) বর্তমান জীবনের ইঁদুর দৌড়ে অনেকের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। আর এতেই যত সমস্যা। শরীরের নাম তো আর মহাশয় নয় যে যা সওয়াবে তা সইবে। অনিয়মিত খাওয়া, জাঙ্ক ফুড শরীরকে ভিতর থেকে ঝাঁজরা করে দেয়। হার্টেও এর প্রভাব পড়ে। হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। তাই সংযমী হওয়া প্রয়োজন। সংযম এবং সতর্কতা থাকলেই জীবনের ইনিংস হবে লম্বা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন