‘ডার্টি বম্ব’ তৈরী হচ্ছিল চেরনোবিলে!
‘ডার্টি বম্ব’ তৈরী হচ্ছিল চেরনোবিলে! - ছবি : সংগ্রহ
ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র দখল নেয় রাশিয়া। সেই দখলদারির স্বপক্ষে রোববার যুক্তি সাজাল মস্কো। তাদের দাবি, ওই কেন্দ্রে পারমাণবিক অস্ত্র ‘ডার্টি বম্ব’ বানাচ্ছিল ইউক্রেন। কিয়েভের সেই প্রচেষ্টা বন্ধ করতেই চেরনোবিল দখল করেছিল রাশিয়া। তবে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি পুতিনের দেশ।
রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের নজর এড়িয়ে তারা ফের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছিল ইউক্রেন। ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া চেরনোবিলে পারমাণবিক কেন্দ্রে বানানো হচ্ছিল ‘ডার্টি বম্ব’। যদিও তাদের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, ১৯৯৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র সমপর্ণ করেছিল ইউক্রেন। তার পর থেকে তারা আর পারমাণবিক অস্ত্র বানায়নি। কিন্তু রাশিয়ার এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
কী এই ডার্টি বম্ব, যার প্রস্তুতি ঠেকাতে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র হামলা চালাল রাশিয়া। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মূলত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্লুটোনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই মারণ অস্ত্র। এটি পারমাণবিক অস্ত্র। কিন্তু বিস্ফোরণ হলে সাধারণ বোমার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে এলাকার। পাশাপাশি, বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রভাব থেকে যায় তেজষ্ক্রিয়তার। অসুস্থ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
এদিকে রোববার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১১ দিনে পা দিলো। এর মধ্যে মানবিকতার খাতিয়ে আমজনতার উদ্ধারকার্যের জন্য পর পর দুদিন কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে অবশ্য মস্কোকে উচিত শিক্ষা দিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লুহানস্কে পালটা হামলা চালায় কিয়েভের সেনা। তাদের হামলায় ১৫ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
যুদ্ধে ৮৮ বিমান-হেলিকপ্টার হারিয়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিমান ও হেলিকপ্টার মিলিয়ে ৮৮টি এয়ারক্রাফট হারিয়েছে।
বেশ কয়েকজন রাশিয়ান পাইলটকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারিউপোলে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
মাইকোলিয়াভ অঞ্চলে রাশিয়ার বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রতিরোধ দেখে মনোবল হারিয়ে ফেলছে রাশিয়ার বাহিনী।
তবে ইউক্রেনের এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি বিবিসি।
ইউক্রেনে সোভিয়েত আমলের যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র-পোল্যান্ড : রিপোর্ট
পোল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, যার মাধ্যমে সোভিয়েত জমানার কিছু বিমান ইউক্রেনকে দেবে পোল্যান্ড। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ডকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০ জনের বেশি সিনেটরের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কির বেঠকে তিনি জানিয়েছেন, তার দেশের জরুরি ভিত্তিতে এখন অনেক বিমানের দরকার।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে বলেছেন, ''আমরা বিষয়টি নিয়ে পোলিশদের সঙ্গে কাজ করছি এবং নেটোর অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও কথা বলছি।''
পোল্যান্ড যদি ইউক্রেনকে বিমান সরবরাহ করে, সেটি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র কি করবে, তা নিয়েই বিশেষ করে আলোচনা চলছে।
ইউক্রেনের চালকদের বিশেষ করে রাশিয়ার তৈরি বিমান দরকার। কারণ তারা এ ধরনের বিমান চালনায় প্রশিক্ষিত।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন, যেখানে তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন। অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দের জন্য তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেও জানিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি