রুশ বাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করতে ইউক্রেনের প্রধান অস্ত্র তুর্কি ড্রোন

অন্য এক দিগন্ত | Mar 02, 2022 03:41 pm
রুশ বাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করতে ইউক্রেনের প্রধান অস্ত্র তুর্কি ড্রোন

রুশ বাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করতে ইউক্রেনের প্রধান অস্ত্র তুর্কি ড্রোন - ছবি : সংগ্রহ

 

রুশ সেনাবাহিনীর কনভয়কে ছিন্নভিন্ন করে দিতে এ বার ড্রোন নিয়ে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। আর এই হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বার‌্যাকটার টিবি-২ নামে অত্যাধুনিক এবং ঘাতক ড্রোন। আর এই ড্রোনের নির্মাতা হলো তুরস্ক।

শত্রুপক্ষের কনভয়কে নিশানা করা হচ্ছে এই ড্রোন দিয়ে। ২০২০-র নভেম্বরে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে এই ড্রোন ব্যবহার করে আজারবাইজান তাদের শত্রুর সামরিকবাহিনীকে তছনছ করে দিয়েছিল। ওই যুদ্ধে দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছিল এই ড্রোন।

কিন্তু এবার প্রতিপক্ষ রাশিয়া। যার বিপুল সামরিক ক্ষমতা। অত্যাধুনিক সমরসজ্জা। ফলে প্রেক্ষিতটাও অনেকটাই আলাদা। রাশিয়ার কনভয়ে এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে এককভাবে যে সাফল্য এনে দিয়েছিল এই ড্রোন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কি তা এঁটে উঠতে পারবে? যদিও এই ড্রোনের উপরই ভরসা রাখছে ইউক্রেন।

তুরস্কের তৈরি এই বার‌্যাকটার ড্রোন আমেরিকার এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ওজনের এক-অষ্টমাংশ। ১২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন চারটি এমএএম লেসার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। এবং হামলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিখুঁত।

টানা ২৭ ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই ড্রোন। এর যোগাযোগ স্থাপনের বিস্তার ২৯৬ কিমি। ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে এই ড্রোন। ৬ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে।

ইউক্রেন বিমানবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক এই ড্রোনকে ‘জীবনরক্ষক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ২০১৯-এ তুরস্কের কাছ থেকে এই ড্রোন কিনেছিল ইউক্রেন। আর্মেনিয়া ছাড়া লিবিয়া, সিরিয়া এবং নাগোরানো-কারাবাখ সংঘর্ষে এই ড্রোন দারুণ সাফল্য পেয়েছে।

‘রাশিয়ার সাথে প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাত নয়, তবে ন্যাটো দেশগুলোকে রক্ষা করবে আমেরিকা’
বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাইডেন বলেন, ন্যাটো দেশগুলোকে রক্ষা করতে আমেরিকা এবং তাদের জোটসঙ্গীরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে সমস্ত রকমের সাহায্য করবে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়ার সাথে কোনো রকম প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে জড়াবে না তারা। বুধবার আবারো এক বার এ কথা স্পষ্ট করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকা এবং তাদের জোটসঙ্গীরা অন্য ন্যাটো দেশগুলোকে বাইরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সবসময় তত্পর থাকবে বলেও তিনি জানান।

বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় বাইডেন বলেন, ‘ন্যাটো দেশগুলোকে রক্ষা করতে আমেরিকা এবং তাদের জোটসঙ্গীরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনবাসীরা সাহসের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও দীর্ঘ লড়াইয়ের ক্ষেত্রে পুতিনকে মূল্য চোকাতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বাহিনী ইউক্রেনের মাটিতে তাদের হয়ে লড়বে না। কিন্তু নেটো দেশগুলিকে রক্ষা করব এবং পুতিনকে আরো পশ্চিমের দিকে এগোনো থেকে রক্ষা করবে। পোল্যান্ড, ইউক্রেন, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়ার মতো ন্যাটো দেশগুলোকে রক্ষা করার স্বার্থে আমেরিকা স্থল, বিমান এবং নৌবাহিনী তৈরি রেখেছে।’

পুতিন কিভকে চার দিক দিয়ে ঘিরে ফেললেও কোনো দিন ইউক্রেনবাসীর মন জয় করতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বুধবার সপ্তম দিনে পা দিলো রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত। মস্কোর পুরোদস্তুর আঘাতে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত কিভ। ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেনার পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অনেক দেশ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি সঙ্ঘাতে না জড়ালেও সামরিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ।

আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে মোট প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও আমেরিকার কাছে কিছু ট্যাঙ্ক এবং বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রও চেয়ে পাঠিয়েছে ইউক্রেন। এই অস্ত্রগুলিও শিগগিরই পাঠানো হবে বলেও পেন্টাগন জানিয়েছে। এ ছাড়াও ইউক্রেনের সামনের সারির যোদ্ধাদের জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পাঠিয়েছে বাইডেন সরকার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us