ইউক্রেনের পর রাশিয়ার লক্ষ্য মলডোভা!
ইউক্রেনের পর রাশিয়ার লক্ষ্য মলডোভা! - ছবি : সংগ্রহ
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে ৷ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো কিছু বদল নেই৷ বরং তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ৷ ইউক্রেন রাশিয়া যে পুরোপুরি দখল করেই ছাড়বে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগামী দিনে কী লক্ষ্য হতে চলেছে, তা নিয়েও এখন গোটা বিশ্বে জোর আলোচনা ৷ এর মধ্যেই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট একটি মানচিত্র দেখিয়ে যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে রাশিয়ার আগামী দিনের পরিকল্পনা আরো ভয়ঙ্কর বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তবে ছবিটি কবে তোলা হয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পরবর্তী লক্ষ্য এবার মলডোভা হতে পারে ৷ অর্থাৎ ইউক্রেনের পর ইউরোপের আরেক প্রতিবেশী দেশের উপর হামলা করতে পারে রাশিয়া ৷ এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৷ তিনি কার্যত সাবধানই করে দিলেন মলডোভা-সহ অন্য দেশগুলোকে ৷
লুকাশেঙ্কোর কথায় শুধু ইউক্রেন জয় করেই হয়তো থামবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ তার পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে ইউরোপের আরেক ছোট দেশ মলডোভা ৷ এ বার ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হামলা করবে রাশিয়া। এমনটাই ইঙ্গিত লুকাশেঙ্কোর ৷
বেলারুশের প্রেসিডেন্টের দাবি, এর পর মলডোভা, রুসানিভিকা, কুরেনিকুয়ার মতো ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও অঞ্চলেও আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
সূত্র : নিউজ ১৮
রাশিয়া ১০০ কিলোটনের পরমাণু বোমা ফেললে কী প্রভাব পড়তে পারে কিয়েভে
ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিভ এবং খারকিভে ঢুকতে রুশ সেনাদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। যত প্রতিরোধ বাড়ছে, রাশিয়া যেন ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।
কিভে শেষ পর্যায়ের হামলা চালানোর জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুত রাশিয়া। সোমবারই ম্যাক্সার টেকনোলজিস প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে শহরের উত্তর অংশ দিয়ে রুশ সেনার বিশাল কনভয় কিভের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রায় ৬৪ কিমি লম্বা ছিল ওই কনভয়। ফলে পরিস্থিতি যে আরো ভয়ানক হতে চলেছে ছবিতেই তা স্পষ্ট।
ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিভ এবং খারকিভে ঢুকতে রুশ সেনাদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। যত প্রতিরোধ বাড়ছে, রাশিয়া যেন ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়া যদি সত্যিই কিভে পরমাণু বোমা ফেলে তা হলে কতটা প্রভাব পড়বে?
রাশিয়ার হাতে এই মুহূর্তে সাড়ে ৬ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া যদি ১০০ কিলোটন ওজনের পরমাণু বোমা কিয়েভের উপর ফেলে তা হলে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জ্বলে পুড়ে স্রেফ ছাই হয়ে যাবে।
এয়ার ব্লাস্ট ১ : পরমাণু বোমার প্রথম এয়ার ব্লাস্ট হলে তার প্রভাব সাড়ে তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ভয়ানক কম্পন অনুভূত হবে। শুধু তাই নয়, ১০ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে পরমাণু তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে। বছরের পর বছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবে। পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।
এয়ার ব্লাস্ট ২ : এর প্রভাবে ১৪.২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘরবাড়ি সব ভেঙে পড়বে। ৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে থার্মাল রেডিয়েশন। ১৫-২৭ লক্ষ মানুষ এই তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবেন। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব পৌঁছতে পারে ৯৪ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। যার জেরে ঘরের জানলার কাচ ভেঙে যেতে পারে।
১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকা ‘লিটল বয়’ নামে যে পরমাণু বোমাটি ফেলেছিল সেটির শক্তি ছিল প্রায় ১২-১৫ কিলোটন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। যার প্রভাবে পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৪ হাজার মানুষের। সেই ঘটনার পর প্রায় আট দশক কেটে গিয়েছে। প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। তার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রও আরো ঘাতক হয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর হাতে যে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তা সেই সময়ের তুলনায় কতটা ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা