বার বার হাত ধোয়ার হয় সেসব ক্ষতি
বার বার হাত ধোয়ার হয় সেসব ক্ষতি - ছবি : সংগ্রহ
দৈনন্দিন জীবনে হাত ধোয়া একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং জরুরি অভ্যাস। বিশেষ করে এই কোভিড পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার মাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন মুখ ধোয়ার ফলে মুখের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তেমনই বার বার হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ফলেও হাতের ত্বক তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। শুষ্ক হয়ে পড়ে। তবে হাত ধোয়ার নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা নেই। খুব দরকার না পড়লে অকারণে হাত ধুয়ে নেয়া বাহুল্য।
ঘন ঘন হাত ধোয়ার ফলে হাতের চামড়ায় কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১) হাতের ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
২) বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে এক্সিমা, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা আশঙ্কা থেকে যায়।
৩) সাবানে থাকা সোডিয়াম লরিল সালফেট, সো়ডিয়াম লরেথ সালফেট জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করে। ত্বকের পিইচ হারের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
হাতের ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন?
১) হাতের ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে ময়েশ্চারাইজার মাখতে পারেন। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে।
২) ঘুমানোর আগে হাত ধুয়ে নিয়ে হালকা করে অ্যালোভেরা জেল হাতে মেখে নিন। সারা রাত ত্বকের কোষগুলো পুষ্টি পেয়ে ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
৩) ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত মুছে নেয়া জরুরি। ভেজা হাতে বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। সাবান ব্যবহার করলেও মৃদু ক্ষারযুক্ত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।
৪) ভিটামিন ই, হাইড্রোপনিক অ্যাসিড, কোকো বাটার, শিয়া বাটার সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
কফি কত কাপ গ্রহণযোগ্য
ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি না খেলে অনেকের সকালটা ঠিকভাবে শুরু হয় না! কর্মব্যস্ত জীবনে সারাদিনে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই। ফলে ক্লান্তি কাটতে চায় না। কাজের সময়ে ক্লান্তি কাটাতে তখন অনেকের কাছেই একমাত্র ভরসার কফি। কাপের পর কাপ কফি খেয়েই চলেছেন। ভাবছেন এতেই বেশ উপকার পাচ্ছেন।
শুধু ক্লান্তি কাটানোই নয়, কফির আরো হাজারো গুণ আছে। মানসিক অবসাদ কাটাতে, এমনকি ওজন ঝরাতেও কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু তার মানে কি যত ইচ্ছে কফি খাওয়া যেতে পারে? একদমই নয়। মাত্রাতিরিক্ত কফি ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ।
দিনে কয় কাপ কফি গ্রহণযোগ্য?
কফির প্রধান উপাদান হলো ক্যাফিন। কফির উপকারিতা পেতে, আপনাকে এটি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞের মতে, এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতেই পারেন। এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। কফি খাওয়ার সময় এই পরিমাণটা ভুললে কিন্তু চলবে না। এক কাপ কফিতে কতটা পরিমাণ কফি দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে দিনে চার থেকে পাঁচ কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।
মাত্রাতিরিক্ত কফি কী কী বিপদ ডেকে আনতে পারে?
* মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কফি না পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে। মানসিক অবসাদ আসতে পারে।
* ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদযন্ত্রেও। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
* যারা প্রচুর পরিমাণে কফি খান, তাদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা