তুর্কি ড্রোন আর বাইডেনের নেতৃত্ব : যেভাবে সমীকরণ বদলে দিচ্ছে

সাবিনা আহমেদ | Mar 01, 2022 02:10 pm
তুর্কি ড্রোন

তুর্কি ড্রোন - ছবি : সংগ্রহ

 

তুরস্কের বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন আবারো খেলায় নেমেছে। আর এবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পাশ্চাত্যও স্বীকার করছে এই ড্রোনের কার্যকারিতা। ক্ল্যাশ রিপোর্ট অনুযায়ী টিবি-২ এই পর্যন্ত রাশিয়ার যা ধ্বংস করেছে তা হলো :

* তিনটি স্যাম (SAM) সিস্টেম। স্যাম হচ্ছে সারফেইস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এই স্যামের টিবি-২ ধ্বংস করার কথা ছিল, কিন্তু হয়েছে উল্টাটা। এর আগেও টিবি-২-কে রাশিয়ার স্যাম সিস্টেম ধ্বংস করেছিল সিরিয়া, আজারবাইজানে। অনেকেই ভেবেছিল, কনভেনশোনাল ওয়ারে টিবি-২ নামতে পারবে না, তা আবারো ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

* চারটি হাউইটজার (Howitzer)। সোজা বাংলায় একে আমি বলি বড় গান বা কামানের বড় ভাই অন হুইলস, যা দিয়ে বিভিন্ন ট্র্যাজেকটরিতে, হাই এক্সপ্লোসিভ বোমা ছুড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা যায়।

* ১৪টি মিলিটারি ট্রাক, যার মাঝে ছিল লজিস্টিক্স সাপ্লাই ট্রাক। যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে লজিস্টিক্স অপরিহার্য বিষয়। লজিস্টিক্স ট্রাকে থাকে সৈন্য আর ট্যাঙ্ক, কিংবা অনান্য যুদ্ধাস্ত্রের সাস্টেইনমেন্ট, মানে মেইন্টেনেন্স রশদ। লজিস্টিক্স সাপোর্ট ছাড়া সেনারা যুদ্ধের মাঠে দুর্বল আর অকার্যকর হয়ে পড়ে।

এছাড়া তুরস্ক এখন বসফরাস রাশিয়ান জাহাজের জন্য বন্ধ করে দিবে বলে জানাচ্ছে। তুরস্ক ছাড়াও আজারবাইজান আর কাজাকাস্তান ইউক্রেনকে সাপোর্ট করছে। আজারবাইজান পাঠাচ্ছে মেডিক্যাল সাপ্লাইজ আর তেল। রাশিয়ার এলাই কাজাকাস্তান রাশিয়াকে সাপোর্ট পাঠাতে অস্বীকার করেছে।

সকল পুতিন সাপোর্টারের আশা হচ্ছে, বিশ্বে আমেরিকার আর পশ্চিমের আধিপত্য রোধ করা। গেল ৭ বছর রাশিয়া এই লক্ষ্যে অনেক ফ্রন্টে কাজ করেছে। সিরিয়া, ইরাক আর আফগানিস্তান থেকে আফগানিস্তান যেভাবে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে তাতে অনেকের ধারণা হয়েছিল যে আমেরিকার দিন শেষ, তারা এখন আর বিশ্ব মোড়ল থাকল না।

কিন্তু, রাশিয়ার ইউক্রেনে অবৈধ আগ্রাসন আমেরিকাকে আবারো মোড়ল হয়ে উঠার সুযোগ করে দিয়েছে। এমনকি সকল যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনকারী সুইজারল্যান্ড পর্যন্ত তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান ত্যাগ করেছে। ইইউ দেশগুলোর শত অনুরোধ উপেক্ষা করে যে জার্মানি এত দিন পেসেমিস্ট ডিফেন্স ভুমিকা পালন করেছে, এই এক ধাক্কায় তারা তাদের ডিফেন্স বাজেট ৫১ বিলিয়ন ইউরো থেকে ১১২ বিলিয়ন ইউরো ধার্য করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যেই দানব এত দিন একচোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিল, পুতিন তাদের এক খোচায় জাগিয়ে তুলেছে।

আগামী কয়েক দিনে রাশিয়া আরো মারমুখি হয়ে উঠবে। প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ আর রক্তপাত হবে। এত দিন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দেখেছি, আফ্রিকার যুদ্ধ অগ্রাহ্য করেছি, বসনিয়ার মুসলমানদের কচুকাটা হতে দেখেছি। বলা দরকার, মুসলমান হলে গায়ের রঙ ম্যাটার করে না। ধর্মটা আসলেই মানুষের বড় পরিচয়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us