দিনে সর্বাধিক কয় কাপ কফি খেতে পারেন?
দিনে সর্বাধিক কয় কাপ কফি খেতে পারেন? - ছবি : সংগ্রহ
ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি না খেলে অনেকের সকালটা ঠিকভাবে শুরু হয় না! কর্মব্যস্ত জীবনে সারাদিনে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই। ফলে ক্লান্তি কাটতে চায় না। কাজের সময়ে ক্লান্তি কাটাতে তখন অনেকের কাছেই একমাত্র ভরসার কফি। কাপের পর কাপ কফি খেয়েই চলেছেন। ভাবছেন এতেই বেশ উপকার পাচ্ছেন।
শুধু ক্লান্তি কাটানোই নয়, কফির আরো হাজারো গুণ আছে। মানসিক অবসাদ কাটাতে, এমনকি ওজন ঝরাতেও কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু তার মানে কি যত ইচ্ছে কফি খাওয়া যেতে পারে? একদমই নয়। মাত্রাতিরিক্ত কফি ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ।
কফির প্রধান উপাদান হলো ক্যাফিন। কফির উপকারিতা পেতে, আপনাকে এটি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞের মতে, এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতেই পারেন। এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। কফি খাওয়ার সময় এই পরিমাণটা ভুললে কিন্তু চলবে না। এক কাপ কফিতে কতটা পরিমাণ কফি দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে দিনে চার থেকে পাঁচ কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।
মাত্রাতিরিক্ত কফি কী কী বিপদ ডেকে আনতে পারে?
* মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কফি না পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে। মানসিক অবসাদ আসতে পারে।
* ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদযন্ত্রেও। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
* যারা প্রচুর পরিমাণে কফি খান, তাদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়।
শুনতে না পাওয়াও কি ডায়াবেটিসের লক্ষণ?
ডায়াবেটিসের রোগী এখন ঘরে ঘরে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে দেখা যায়, একাধিক শারীরিক সমস্যা। ডায়াবেটিস জটিলতার কারণে বাড়তে পারে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। এর প্রভাবে চোখ, কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু কি তা-ই, ডায়াবেটিসের কারণে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারে মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই কানে কম শোনেন। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কানের ভিতরের স্নায়ু ও রক্তজালিকাগুলো ক্ষতি করতে শুরু করে। আবার রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে গেলে শ্রবণশক্তিতে সাহায্যকারী স্নায়ুগুলির কর্মক্ষমতা কমে যায়, মস্তিষ্কে সঠিক নির্দেশ পাঠাতে পারে না। ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায়। এ ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে পারে।
বার্ধক্যজনিত কারণেও শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। তা ছাড়াও নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায়, জিনগত কারণে কিংবা অতিরিক্ত ধূমপানের ফলেও মানুষ শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন।
ডায়াবেটিসের রোগীরা কিভাবে সাবধান হবেন?
১) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলেই কানের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। প্রতি সপ্তাহে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো ভীষণ জরুরি। শর্করার মাত্রা বেশি হলে খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতেই হবে। নইলে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি।
২) ডায়াবেটিক রোগীরা বছরে অন্তত এক বার অবশ্যই কানের পরীক্ষা করাবেন। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ধরা পরলে আগে থেকেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
৩) ডায়াবেটিক রোগীদের খুব বেশি আওয়াজের মধ্যে না থাকাই ভালো। এতে কানের ক্ষতি হতে পারে।
৪) অনেক ওযুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা