শুনতে না পাওয়াও কি ডায়াবেটিসের লক্ষণ?
শুনতে না পাওয়াও কি ডায়াবেটিসের লক্ষণ? - ছবি : সংগ্রহ
ডায়াবেটিসের রোগী এখন ঘরে ঘরে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে দেখা যায়, একাধিক শারীরিক সমস্যা। ডায়াবেটিস জটিলতার কারণে বাড়তে পারে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। এর প্রভাবে চোখ, কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু কি তা-ই, ডায়াবেটিসের কারণে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারে মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই কানে কম শোনেন। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কানের ভিতরের স্নায়ু ও রক্তজালিকাগুলো ক্ষতি করতে শুরু করে। আবার রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে গেলে শ্রবণশক্তিতে সাহায্যকারী স্নায়ুগুলির কর্মক্ষমতা কমে যায়, মস্তিষ্কে সঠিক নির্দেশ পাঠাতে পারে না। ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায়। এ ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে পারে।
বার্ধক্যজনিত কারণেও শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। তা ছাড়াও নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায়, জিনগত কারণে কিংবা অতিরিক্ত ধূমপানের ফলেও মানুষ শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন।
ডায়াবেটিসের রোগীরা কিভাবে সাবধান হবেন?
১) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলেই কানের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। প্রতি সপ্তাহে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো ভীষণ জরুরি। শর্করার মাত্রা বেশি হলে খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতেই হবে। নইলে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি।
২) ডায়াবেটিক রোগীরা বছরে অন্তত এক বার অবশ্যই কানের পরীক্ষা করাবেন। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ধরা পরলে আগে থেকেই চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
৩) ডায়াবেটিক রোগীদের খুব বেশি আওয়াজের মধ্যে না থাকাই ভালো। এতে কানের ক্ষতি হতে পারে।
৪) অনেক ওযুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
কেন পায়ের গোড়ালি ফাটে?
পা ফাটার সমস্যা নতুন নয়। কমবেশি সকলেই কোনো না কোনো বয়সে এই সমস্যার মুখোমুখি হন। আর পায়ের গোড়ালি যদি ফেটে থাকে, তবে পা ঢাকা জুতা না পরলে খুবই খারাপ দেখাতে পারে পা। সমস্যা থাকলেও আজও বহু মানুষ এই সমস্যার কারণ সম্পর্কে অবগত নন।
১। পা ফাটার একাধিক কারণের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ ভিটামিনের অভাব। বিশেষত ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই ভিটামিনগুলোর অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া।
২। পানিশূন্যতা পা ফাটার আরো একটি কারণ। পরিবেশের আর্দ্রতা কম থাকা, কম জল পান করা কিংবা শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার ফলে পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে পারে। ফলে চামড়া শুকিয়ে ও ফেটে যেতে পারে।
৩। এক্সিমা এমন এক ধরনের ত্বকের রোগ যার প্রভাবে ফাটতে পারে পা। এই রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গটি দেখা যায় তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস। সারা দেহের যেকোনো স্থানেই এই রোগ হতে পারে। তবে এই রোগের সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।
৪। সোরিয়াসিস রোগের ক্ষেত্রেও পা ফাটা দেখা যেতে পারে। পায়ের তালুতে খোসার মতো চামড়া উঠতে থাকে এই রোগে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে পায়ের গোড়ালিতেও। তবে এই রোগটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ীভাবে হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা