গলব্লাডারে শুধু পাথরই নয়, আরো ৩ কারণে যন্ত্রণা দিতে পারে
গলব্লাডারে শুধু পাথরই নয়, আরো ৩ কারণে যন্ত্রণা দিতে পারে - ছবি : সংগ্রহ
গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এতে পেটের উপরের অংশের ডানদিকে তীব্র ব্যথা হয়। তবে পিত্তথলিতে ব্যথার এক মাত্র কারণ কিন্তু সব সময় পাথর নয়। যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বা যকৃত দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই পিত্তথলি বা গলব্লাডারে এসে জমা হয়। মাঝেমাঝে অনেকেই গলব্লাডারের যন্ত্রণায় কষ্ট পান। প্রাথমিক ভাবে এই ব্যথার এক মাত্র কারণ হিসাবে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা করা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে সেটাই এক মাত্র কারণ নয়।
পাথর হওয়া ছাড়াও গলব্লাডারে ব্যথার অন্য কারণগুলো কী?
কোলেসিস্টিসের দুটি সংরূপ- ‘অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস’ এবং‘অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস’। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিসেরঘটে পিত্তথলিতে পাথর আটকে যাওয়ার ফলে। অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস হলো পিত্তনালীতে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ।
২) কোলেডোকোলিথিয়াস
পিত্তনালীতে পাথরের উপস্থিতি ‘কোলেডোকোলিথিয়াস’ নামে পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে রোধ করে ফলে চাপ ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
৩) বিলিয়ারি স্লাজ
পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন এবং অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণ হল ‘বিলিয়ারি স্লাজ’। এই পদার্থগুলি জমা হওয়ার ফলে পিত্তথলিতে ব্যথা হতে পারে।
কোন লক্ষণগুলি জানান দেবে যে গলব্লাডারে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে?
পেটের ডান দিকে ব্যথা
পেটের ডান দিকে থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর এবং ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এই রকম ব্যথা হলে আগে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত।
বমি বমি ভাব
পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, গা গোলানো এবং বমিও হতে পারে।
জ্বর
পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গাঢ় রঙের প্রস্রাব
পিত্তনালীতে বাধা এবং পিত্তথলি থেকে পাথরের স্খলনের ফলে গাঢ় রঙের প্রস্রাব হতে পারে।
নতুন জুতা পরলেই পায়ে ফোস্কা পড়ে? সমাধান যেভাবে
পছন্দের জামার সাথে জুতসই জুতা না হলে মুখ ভার হয় অনেকেরই। তবে যত দামি হোক না কেন, নতুন জুতা পায়ে পরে ঘণ্টা খানেক হাঁটিহাঁটির পর গোড়ালির পিছন দিকে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। শুরু হয় জুতা যন্ত্রণা। এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটা চলা করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
এই সমস্যা আপনার একার নয়। এই সমস্যায় নাজেহাল হন কমবেশি সকলেই। এই অবস্থায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১) অ্যালো ভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালো ভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কাতে ভালো করতে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে হালকা গরম দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা আরাম পাবেন।
২) গ্রিন টি-তে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। তার পর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডাতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। দিনে দুই থেকে তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করলেই সুফল মিলবে।
৩) ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারও ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সংক্রমণের বিস্তার হতে দেয় না।। অ্যাপ্ল সাইডার ভিনেগারে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থানে হালকা হাতে চেপে লাগিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষণ। এই প্রক্রিয়াটি করার সময় সামান্য জ্বালা করতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত উপকার পাবেন।
৪) ক্ষত স্থানে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার ১৫ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ভালো করে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। গরম পানি ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে বেশ উপকারী।
৫) ফোস্কার ব্যথা কমাতে লবণও ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এ বার সেই পানি দিয়ে ফোস্কার জায়গায় সেঁক দিন । এই উপায় ফোস্কার যন্ত্রণা ও ফোলাভাব কমে যাবে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা