অ্যাসিডিটি বাড়ে যে ১০ খাবারে
অ্যাসিডিটি বাড়ে যে ১০ খাবারে - ছবি : সংগ্রহ
কোনো কোনো খাবারের এমনিতেই দুর্নাম আছে। সেগুলো খেলে নাকি গ্যাসের সমস্যা হয়। কিন্তু এর বাইরে আছে অন্য কিছু খাবারও। এগুলোও গ্যাসের জন্য দায়ী। গ্যাসের সমস্যা হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ তেজল ঘুলে।
বিনস : অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এটি। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে বলে এতে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ভালো করে রান্না করা বিনস থেকে অবশ্য গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
ফুলকপি আর ব্রকোলি : এই আনাজগুলিতে প্রচুর Raffinose থাকে। এই উপাদানটি গ্যাসের সমস্যা প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে।
গমের থেকে তৈরি খাবার : এতে প্রচুর Gluten থাকে। যাঁদের প্রচণ্ড গ্যাসের সমস্যা হয়, তাঁরা এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
পেঁয়াজ : এটি প্রচুর রান্নাতেই ব্যবহার হয়। কিন্তু এতে fructose নামের চিনি জাতীয় উপাদান থাকে। এটি অনেকের পেটেই সহজে হজম হয় না। ফলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
রসুন : সকলের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও, কারো কারো রসুনে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। তাদের রসুন খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
দুগ্ধজাত দ্রব্য : এতে প্রচুর protein এবং calcium থাকে। দুগ্ধজাত দ্রব্যের মধ্যে থাকা lactose আবার অনেকের সহ্য হয় না। তাদের এই ধরনের খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়।
বার্লি : এতেও প্রচুর ফাইবার রয়েছে। সেই ফাইবার অনেকেই হজম করতে পারেন না। তার ফলে গ্যাস হতে পারে।
শসা : শুনে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু শসা অন্য খাবার হজম করতে সাহায্য করলেও, নিজে গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই গ্যাসের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই শসা খান।
সয়াবিন : অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এটি। কিন্তু এর কিছু কিছু উপাদান গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পেটের সমস্যা হলে এই খাবারটি এড়িয়ে চলুন।
ভাজাভুজি : এই ধরনের খাবার গ্যাসের পরিমাণ মারাত্মক বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে যে পরিমাণে তেল থাকে, সেটি হজম হয় না অনেক সময়েই। তার কারণে বাড়ে গ্যাস।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
যে ৫ অভ্যাস বাড়ায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি
পৃথিবীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। তবুও হৃদ্রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে অসচেতনতার অভাব নেই। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই এমন অনেক কাজ রয়েছে যা বাড়িয়ে দেয় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি কমাতে কাজে আসতে পারে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচর্চা।
১। একটানা বসে থাকা
যাদের সক্রিয় জীবনধারা, তাদের তুলনায় যারা পর্যাপ্ত নড়াচড়া করেন না এবং প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে বসে থাকেন তাদের হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি হয়। কাজের জন্য যদি সারা দিন টেবিলের সামনে বসে থাকতে হয়, তা হলেও প্রতি ঘণ্টায় অন্তত পাঁচ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি দিনের রুটিনে এই ছোট পরিবর্তন আপনার ধমনীকে নমনীয় রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে।
২। মদ্যপান
অ্যালকোহল পান করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং স্থূলতা দেখা দিতে পারে। এগুলো সবই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে মদ্যপান হৃদ্যন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে।
৩। দাঁতের অযত্ন
দাঁতের পরিচর্যা শুধু আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২০১৪ সালে জার্নাল অফ পিরিওডন্টাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সঠিকভাবে দাতের যত্ন নেন তাদের মধ্যে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা কম দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাড়ির রোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং প্রদাহ হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অত্যধিক সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা বাড়িয়ে দেয় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। শুধু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণই নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যুপ, হিমায়িত খাবার, চিপস এবং অন্যান্য লবণাক্ত স্ন্যাকসেও প্রচুর পরিমাণ লবণ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত নয়।
৫। অপর্যাপ্ত ঘুম
হৃদ্যন্ত্র সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে। পর্যাপ্ত না ঘুমালে, সংবহনতন্ত্র প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। ঘুমের প্রথম পর্বে হৃদ্স্পন্দন এবং রক্তচাপ কমে যায় (নন-আরইএম পর্যায়)। দ্বিতীয় পর্বে (আরইএম ঘুম) মানুষ যেমন স্বপ্ন দেখে সেই অনুপাতে হৃদ্স্পন্দন বাড়ে ও কমে। সারা রাত এই পরিবর্তনগুলি হৃদ্যন্ত্রকে ভালো রাখে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের অভাব ঘটলে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে, এটি অতিরিক্ত মানসিক চাপের সমতুল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা