পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের গোলাগুলি,যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি?
পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের গোলাগুলি,যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি? - ছবি : সংগ্রহ
ক্রমশ আরো উদ্বেজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউক্রেনে। নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনার। যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে যুদ্ধের দিকেই ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পাওয়া গেছে ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে , অর্থাৎ রাশিয়ার দিকের সীমান্ত জুড়ে সাবেক সোভিয়েতপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীরা গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অনাক্রমণ চুক্তি বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রাশিয়া। শুক্রবার জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বুঝতেই পেরে গেছে, ইউক্রেন দখল করতে আগও আগুয়ান হবে রাশিয়া। বাইডেন স্পষ্টই বলেছেন, আমি মনে করি, প্রায় ২৮ লক্ষ জনসংখ্যায় পূর্ণ কিয়েভ আক্রমণ করবে রাশিয়া। আমি বুঝতে পারছি, পুতিন ইউক্রেন দখল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।
এই সপ্তাহেই মিউনিখ সিকিউরিটি কবফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। বাইডেন মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি জার্মানিতে চলে গেলেই ইউক্রেনে ঢুকবে রাশিয়ার সেনা। সেই কারণে এই সময়ে রাষ্ট্রপতির সফর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।
মস্কোর তরফ থেকে বলা হয়েছে, আপাতত ইউক্রেন সীমান্তে রয়েছে ১২৫ ব্যাটালিয়ান, সাধারণ সময়ে এখানে থাকে ৬০, ফেব্রুয়ারির শুরুতে তা ছিল ৮০-এর পর তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের অন্দরের অশান্তি তৈরি করছে রাশিয়া। দক্ষিণ ইউক্রেন বরাবর সোভিয়েতপন্থী ইউক্রেনের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝামেলা লেগেই আছে ইউক্রেন সরকারের। সম্প্রতি সেই ঝামেলা অত্যাধিক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জানান দিচ্ছে এ সবের পিছনে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে।
আমেরিকার তরফ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, রাশিয়া এখন ইউক্রেন দখলের ছুতো খুঁজছে। সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলেই ইউক্রেন সীমান্তের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে রাশিয়া ও দখ নিতে পারে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে একাধিক সুযোগ রয়েছে ইউক্রেনে হামলা করার। হতে পারে সামান্য সময়ের নোটিসে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দিয়ে বসলেন। যদি ইউক্রেন দখল নেয়া নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা আমেরিকার সমস্ত কথা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে সে দেশ। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের তরফ থেকে নিশ্চিত কথা দাবি করেছে যে সে দেশে কোনওদিনই ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হবে না।
ইউক্রেনের ন্যাটো অন্তর্ভূক্তি নিয়ে অনেক দিন আগে থেকেই নানারকম কথা বলে আসছে আমেরিকা। কিন্তু ইউক্রেন ঝুঁকে রয়েছে ন্যাটোর দিকেই। সেই অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা যখন সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হতে দেখা গিয়েছিল, তখনই ইউক্রেনের নাকের ডগায় সমর সজ্জায় সজ্জিত রাশিয়া বার্তা দিতে চাইল যে তাদের কথা অমান্য করে ন্যাটোয় যুক্ত হলে ফল ভালো হবে না।
সূত্র : নিউজ ১৮