আমি সোনার বাংলা দেখতে শুরু করেছি

রহমান মৃধা | Feb 19, 2022 02:49 pm
আমি সোনার বাংলা দেখতে শুরু করেছি

আমি সোনার বাংলা দেখতে শুরু করেছি - ছবি : সংগ্রহ

 

আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি, ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি আবার জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি। জেগে জেগে যারা স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে শত ভাগ চেষ্টা করে তারাই জীবনে সার্থক হয়। আমি স্বপ্ন দেখি সোনার বাংলার, আমি বিশ্বাস করি ভিশনারি নতুন প্রজন্মকে। নিচের লিখাটি আমাকে লিখেছে সদ্য কলেজ পাস করা একজন মেধাবী ছাত্র। লিখাটি আমার ভালো লেগেছে। আমি লিখাটি শেয়ার করার আগে তাকে লিখেছি, 'আমি তোমাকে যা বলেছি সে কথাগুলোর হয়ত সব লিখব না তবে সামান্য কিছু ধারণা দেব। তোমার এ লিখাটি অনেকের জীবন পাল্টায় দিতে পারে। কারণ অনেকের মাথায় এ বয়সে এধরণের প্রশ্ন আসে যার কোনো জবাব নেই। হয়ত ভাবতে পারো তাতে কী লাভ হবে? লাভ হয়ত হবে না, কেউ হয়ত জানবেও না যে তুমিই সেই ছেলে, তবে অনেকে যখন পড়বে তারা কম বেশি নিজেদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাবে।'

পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

স্যার,
আপনাকে স্বাগতম আমার ছোট্ট জীবন গল্পে। আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। খুবই ছোটবেলা থেকে। আমার মনে হয় যে, আমি যখন 'প্রেসিডেন্ট' বা 'রাষ্ট্রপতি' শব্দটা শুনি বা জানি তখনই হয়তো ওটা আমার মাথায় গেঁথে যায়। হয়তো একেবারে অবচেতন মনে গেঁথে গিয়েছে, তাই কোনোভাবেই সেই চিন্তাকে বের করতে পারছি না। অথবা, আল্লাহ তায়ালাই এটা আগে থেকে যুক্ত করে দিয়েছেন আমার মনে।

এই লক্ষ্য যখন নির্ধারণ হয়ে যায় তখন থেকেই আমার মনও হয়তো সেই ধরনের চিন্তাভাবনা আপনাআপনি করতে শুরু করে যে রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হলে কী করবো? তখন থেকেই দেশের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা শুরু হয় এবং সমাধান খুঁজতে থাকি। যেমন : জনসংখ্যাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যা দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা কীভাবে দূর করা যায় সে লক্ষ্যে পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আপনাকে আগেই পাঠিয়েছিলাম। শুধু এটা না এভাবে পুরো দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, কৃষি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি সহ এরকম অনেক বিষয়ে কীভাবে উন্নতি বা বিপ্লব ঘটানো যায় সেগুলোর চিন্তা/পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু সেগুলোকে প্রথম পরিকল্পনার মতো লিখে প্রকাশ করার চেষ্টা করিনি। কারণ হচ্ছে দ্রুতই বুঝে যাই যে এগুলো লিখে পত্রিকায় প্রকাশ করে আপাতত কোনো কাজ নেই। এগুলো আমার স্বপ্ন নিজের দেশকে নিয়ে তাই আমাকেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে। তখন রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আরো প্রবলভাবে বেড়ে যায়।

এবার আসুন আলোচনা করি আল্লাহ আমাকে কী কী নিয়ামত, আশীর্বাদ, শক্তি বা অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েছেন সেটা নিয়ে। আসলে এত কিছু দিয়েছেন যা বর্ণনা করা কঠিন। এজন্যে তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ (আলহামদুলিল্লাহ্)। এদের মধ্যে কিছু উল্লেখ করতে চাই সেগুলো হলো যেমন আমার জন্ম অন্য মানুষের মতোই হয়েছে, হাত পা সকল কিছু নিয়ে। সমস্ত কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কল্পনাশক্তি জ্ঞানের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।' এই কথাটি আগে বুঝতাম না যতক্ষণ না আমার নিজেরই কল্পনাশক্তি অনেক অনেক বেড়ে যায়। এখন ভাবতে পারেন যে, আমি প্রায় যেকোনো কিছু কল্পনা করতে পারি, যেকোনো কিছু। আমার এই কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জায়গা। যাইহোক এই শক্তিটা কেমন আসলে? ধরেন, আপনারা আমাকে কোনো গল্প শোনাচ্ছেন, আর আমার সাথে সাথে গল্প অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি মস্তিষ্কে তৈরি হচ্ছে এবং সেটা আমি দেখতে পাচ্ছি। এটা হয়তো অন্য দশজন মানুষও বলতে পারে যে তাদের মাথায়ও প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ভিন্নতা হলো যে আমি সেটা একেবারে স্পষ্ট দেখার মতো অনুভূতি পাই। তারপর যেমন আমি নিজে যে পরিকল্পনাগুলো করেছি ওগুলোর বাস্তবায়ন করা হলে কেমন হবে সেটা যেন আমি দেখতে পাই। আর এখন এরকম হয়ে গেছে যে ওই রকম পরিকল্পনা তৈরি, ভুল হলে সংশোধন করা এবং নতুন উন্নত পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের মস্তিষ্কে প্রতিচ্ছবি তৈরি করা কয়েক মুহূর্তের বিষয় এবং বাস্তবায়নের ফলাফল ও দেখতে পাই। আসলে এই কল্পনাশক্তির প্রয়োগ কতদিকে, কতভাবে করা যায় আমি নিজেও এখনো সেটা সঠিকভাবে বলতে পারবো না।

যাই হোক তাহলে আইনস্টাইনের মতামত অনুযায়ী কল্পনাশক্তি হচ্ছে জ্ঞানের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা আমাকে আশীর্বাদ হিসেবে দেয়া হয়েছে এবং আমি এটার সীমা এখনো দেখতে পারিনি। কারণ সীমা দেখতে গেলে আরো বিশেষ জ্ঞান লাগবে যেগুলো আমার এখনো নেই। বলা হয়ে থাকে যে জ্ঞানই হচ্ছে শক্তি। তাহলে আমাকে জ্ঞানের থেকেও বেশি শক্তিশালী একটা বিষয় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়ে থাকে, মানুষের যত শক্তি বাড়ে তত দায়িত্বও বাড়ে। তাহলে নিশ্চয়ই আমার দায়িত্বগুলোও অনেক বড়। এখন আমার মনে এসব জানার পর প্রশ্ন জেগেছিল আমার দায়িত্বগুলো কী হতে পারে?

আমি মানুষ হয়ে এই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলাম। দায়িত্ব হতে পারে দুই রকমের : এক স্রষ্টার প্রতি এবং আরেক তার সৃষ্টির প্রতি। সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব হচ্ছে যেমন পিতামাতা, পরিবার, দেশ, পৃথিবী, মানবজাতি বা এককথায় পুরো সৃষ্টি জগতের প্রতি দায়িত্ব। সে যাইহোক, পিতামাতা এবং পরিবার এদের প্রতি দায়িত্ব তো কোনো এককালীন বিষয় নয় যে পালন করলেই শেষ। ইনশাআল্লাহ্, মৃত্যু পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করবো। এরপর আসতেছে সমাজ এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব। এখন আমি দেশের জন্য কী করতে পারি? দেশের জন্য দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে বহুল আকাঙ্ক্ষিত 'সোনার বাংলা'য় রূপান্তরের পরিকল্পনা করতে পারি এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে পারি। আমাকে যদি সত্যিই অত বেশি শক্তি দেয়া হয়ে থাকে তাহলে সে অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং কঠিন কাজ হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষকে আদর্শবান করা এবং দেশকে সোনার বাংলা বানানো এবং এগুলোই আমার দায়িত্ব। এভাবেই বিশ্লেষণ করে আসলে নিজের শক্তি অনুসারে দায়িত্বগুলো বেছে নিয়েছি। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, আসলেই কী আমাকে ততটা শক্তি দেয়া হয়েছে এবং আমি কী পারব এসব দায়িত্ব পালন করতে?

বিষয়টা অনেক জটিল। আমি এই কল্পনাশক্তি দ্বারা অনেক অনেক বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছি। ও হ্যাঁ, আরেকটা বিষয় উল্লেখ করতে ভুলে গেছি। আমি যে শুধু কল্পনা করতে পারি সেটা না। কল্পনাশক্তির সাথে সাথে আল্লাহ আমার অনুভূতি শক্তিও অনেক অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই কল্পনাশক্তির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি মাঝে মাঝে। যেমন : কোনো একটা ভয়ঙ্কর খবর পড়লাম। হতে পারে কোনো মানুষকে নির্যাতনের বা কষ্ট দেওয়ার বা যেকোনো কিছু। এখন খবরটা পড়ার সাথে সাথে আমি যেন সেটা দেখতে শুরু করি। আমি নির্যাতিতদের বেদনা, কষ্ট অনুভব করতে পারি এবং আমি তাদের আপনজনদের ক্রোধ অনুভব করতে পারি। বলতে পারেন দুঃস্বপ্নের মতো। নিজের মস্তিকে নিজেই বন্দি হয়ে যাই এসব দুঃস্বপ্নে। আবার যখন কোনো একজন মানুষের জীবনের গল্প শুনি, তখন যেনো ওই ব্যক্তির পুরো জীবন যেন নিজের চোখের সামনে ফুটে ওঠে। জীবনে হওয়া অভিজ্ঞতা, সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা সব কিছুই যেনো অনুভূত হতে থাকে। প্রবল সহানুভূতি শক্তি থাকার কারণেই মনে হয় এটা হয়ে থাকে।

আমি অনেক অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছি, বিশ্লেষণ করেছি শেষমেশ যেটা গুরুত্বপূর্ণ পেয়েছি সেটা হচ্ছে ভালোবাসা। যেমন সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার ভালোবাসা। আবার সন্তানের প্রতি পিতামাতার ভালোবাসা। এই ভালোবাসা আল্লাহর দেয়া বিশাল বড় নিয়ামত। আমার কাছে তো আমার পিতামাতার ভালোবাসা এত গুরুত্বপূর্ণ যে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু আমাকে আমার পিতামাতার ভালোবাসা থেকে দূরে আসতে হয়েছে। তো যার কাছে পিতামাতার ভালোবাসা এত গুরুত্বপূর্ণ সে আবার সেই ভালোবাসা ছেড়ে আসতে যাবে কেন? কারণ হচ্ছে আমার এসব দায়িত্ব। এগুলো বিশাল বড় দায়িত্ব। সঠিকভাবে পালন করতে পারলে কোটি মানুষের জীবনে হয়তো শান্তি নেমে আসবে। সুতরাং, সেই কোটি মানুষের কথা ভেবে আমি এই ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে এসেছি যাতে ইনশাআল্লাহ্ নিজের দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারি।

দেশের জন্য যুদ্ধে প্রাণ দেয়া অনেক অনেক বড় এবং মহৎ কাজ। তবে এটা সবার জন্য নয়। আমার মতে, কারো কারো দায়িত্ব হচ্ছে প্রাণ দেওয়া এবং কারো দায়িত্ব হচ্ছে বেচেঁ থেকে বিজয় নিশ্চিত করা।

"সোনার বাংলা" কিভাবে গঠিত হবে? সোনার বাংলা গঠিত হবে সোনার মানুষ দিয়ে। আমরা সোনার (আদর্শবান) না হলে বাংলা কোনো দিনও সোনার হবে না। আমার লক্ষ্য যেহেতু বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা তাহলে এক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে সোনার মানুষে পরিণত করা। সেটা কিভাবে সম্ভব? আমাকে বলা হয়েছিল, 'বাঙালি জাতিকে ঠিক করা অসম্ভব।' আমি উত্তরে ভেবেছি, 'এই লোকটা/লোকগুলো বাঙালি জাতির সৃষ্টিকর্তা নন যে এতবড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলবেন। এনার/এনাদের কোনো অধিকার নেই এটা বলার। সৃষ্টিকর্তা চাইলে অবশ্যই সম্ভব।'

যাইহোক, তাহলে আমি কিভাবে এই দেশের মানুষকে সোনার মানুষে রূপান্তরের চেষ্টা করতে পারি? উত্তর হচ্ছে শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষাই তো প্রধান মাধ্যম এজন্যেই তো পবিত্র কোরআন এর প্রথম আয়াত নাজিল হয়েছিল, 'পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।'

আমি বাঙালিকে আলাদা জাতি হিসেবে বর্ণনা করে বর্ণবাদী হতে চাচ্ছি না। আমরা সবাই মানুষ তাই মানুষ হিসেবেই এখানে বর্ণনা করছি। আমাদের অনেক প্রশ্ন থাকে যেমন, "সৃষ্টিকর্তা সত্যি আছেন কিনা? পরকাল কী সত্যিই আছে? মৃত্যুর পর কী সত্যিই আবার জীবিত করা হবে?" এরকম অনেক প্রশ্ন খুঁজে পেয়েছি জীবনে চলার পথে। বলা হয়ে থাকে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা অসম্ভব। তবে আমি নিজে নিজে অনেক খুঁজেছি। পড়েছি অনেক বৈজ্ঞানিক বই এবং তার মধ্যে থাকা ব্যাখ্যা। শেষে নিজেই উত্তর পেয়েছি এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যাকে বলে। হ্যাঁ, মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তারপর পরকাল সহ এসব বিষয় যে সত্যিই আছে সেগুলোর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আংশিক হলেও খুঁজে পেয়েছি। অন্তত আমার কাছে যে শয়তান আছে সেটা মেনে নিয়েছে সেসব উত্তর। অন্য কারো শয়তান মানবে কিনা বা মানার মতো জ্ঞান আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। এসব ব্যাখ্যা নিয়ে আমি একটা বই লিখতে চাই। সেই বইয়ে অনেক অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা থাকবে। এক কথায় আমার জানা সবকিছুর ব্যাখ্যা ওখানে তুলে ধরতে চাই। এই বইয়ের লক্ষ্য হবে মানুষকে স্বাধীনতা এবং মহত্ত্বের সাথে পরিচয় করে দেয়া।

'স্বাধীনতা' আসলে কি? এটার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেয় আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব, তবে সময় লাগবে। এখন হয়তো পারবো না। স্বাধীনতা একটা খুবই জটিল বিষয়। ধরেন, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি বা কোনো কাজ করতে যাচ্ছি। সেই সিদ্ধান্ত বা কাজে যদি স্বার্থ, লোভ, হিংসা, খারাপ উদ্দেশ্য বা এ জাতীয় কোনো কিছু মিশ্রিত থাকে তখন আসলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সেই স্বার্থ লোভ, হিংসা বা খারাপ উদ্দেশ্যের কাছে হারিয়ে সেই সিদ্ধান্ত বা কাজটি করছি। আর আমার দৃষ্টিতে স্বাধীনতা হচ্ছে কোনো পরম ইচ্ছা করা, সিদ্ধান্ত নেয়া বা কাজ করার ক্ষমতা যাতে কোনো স্বার্থ, লোভ, হিংসা বা এ জাতীয় কোনো খারাপ উদ্দেশ্য মিশ্রিত থাকে না। আমার উদ্দেশ্য থাকবে বইটির মাধ্যমে মানুষকে এই স্বাধীনতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। যখন মানুষ স্বাধীন হবে তারপর আসবে মহত্ব।

মহত্ব একটা খুবই সুস্বাদু বিষয়। আমরা এই স্বাদ গ্রহণ করতে পারি নিজের অন্তরে। স্বাধীনতা অর্জন করে, নিজের স্বার্থ বলি দিয়ে যখন অপরের কল্যাণে কিছু করতে শিখবো তখনই আমরা মহত্ত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে পারব। আমার দৃষ্টিতে মহত্ব একটা আসক্তি। একবার কেউ মহত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে পারলে সহজে সেটা ছাড়তে পারবে না। এটা স্বর্গের মতো অনুভূতি জাগায় মনের ভিতর। একবার এই স্বাদ পেলে বার বার সেই স্বাদ খুঁজে বেড়াবে যে কিভাবে আরো পেতে পারি। আর কাকে বলবো সোনার মানুষ, তাদের ছাড়া যারা এই মহত্ব খুঁজে? এভাবে আমি আমি দেশের মানুষকে সোনার মানুষে রূপান্তরের চেষ্টা করবো আর মানুষ সোনার হলে তখন দেশ তো এমনিতেই সোনার হয়ে যাবে। দেশের বাহ্যিক পরিকাঠামো ঠিক করতে হয়তো অনেক সময় লাগবে এবং সেগুলোর জন্যও অনেক অনেক পরিকল্পনা আছে কিন্তু আমরা এরকম মহৎ হতে শিখলে এই দুঃখ, দুর্দশা এবং অনিশ্চয়তার দেশ মুহূর্তেই সুখ-শান্তি, হাসি আনন্দের দেশে পরিণত হবে। আর কী চাই?

তাহলে এসব দায়িত্ব পালন করতে গেলে এবং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে আপাতত আমাকে দেশের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। তো কেমন করে হবো? এই 'কেমন করে হবো?' এটার উপায় খুঁজতে গিয়ে হাজার হাজার পরিকল্পনা খুঁজেছি এবং বাদ দিয়েছি। এখন একটা সম্ভাবনাময় পরিকল্পনা রয়েছে আমার কাছে চলুন আপনাদের সেটাই বর্ণনা করি।

প্রথম কথা হচ্ছে, আমাকে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে, হাজার হাজার বই পড়তে হবে এবং অনেক অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং সেই জ্ঞান কল্পনাশক্তির প্রয়োগে সাজিয়ে বইটি লিখতে হবে যাতে বইটি পড়া শুরু করলে কেউ অন্তত স্বাধীনতা এবং মহত্ত্বের সাথে পরিচিত হয়ে পড়া শেষ করতে পারে এবং তার মনে হতে স্বাধীনতা এবং মহত্ত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। কিন্তু এই জ্ঞান অর্জন, এসব বই পড়া আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং এগুলো হয়তো আমার জীবিকার ক্ষেত্রেও কোনো সাহায্য করবে না।

আমি আসলে এত কিছু ভেবেছি কিন্তু নিজে কী করে জীবিকা নির্বাহ করব এটা খুব বেশি একটা ভাবিনি। জীবনে টাকার এত প্রয়োজন আগে খুব বেশি একটা বুঝতামও না। এটা এখন খুবই বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এইযে এত সবকিছু, এগুলো আমার মাথায় একটা বিশাল বড় চাপ যেটা কেউ হয়তো সহজে উপলব্ধি করতে পারবে না। কত রাত না ঘুমিয়ে গিয়েছে বা যায় এসব চিন্তাভাবনার ঝর শুরু হলে বলে বোঝাতে পারব না। আর এত কিছুর মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা টিকে আছে আমার এটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার। এটার জন্যেও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া। বর্তমানে তো বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করছি। কিন্তু আপাতত অনেক কিছু বিশ্লেষণ করে বিভাগ পরিবর্তন করতে আসতে চাচ্ছি ব্যবসায় শিক্ষায়। কারণ এইদিকে জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চাপ একটু কমাতে হবে। আর সাবজেক্ট হিসেবে ম্যানেজমেন্ট নিতে চাচ্ছি। এটারও কারণ আছে।

প্রাথমিকভাবে প্রশ্ন হচ্ছে, 'আমি কে? আমার পরিচয় কি? কেনো লোকে আমাকে ভোট দিবে বা রাষ্ট্রপতি করবে? আমার তো এখন কোনো পরিচয় বা ভিত্তি এ নেই। আমাকে ভিত্তি তৈরি করতে হবে। ভিত্তি কীভাবে তৈরি করবো? পরিচয় কীভাবে তৈরি করবো? এসবের জন্য কয়েকটি উপায় হাতে আছে।'

বাংলাদেশ একটা জটিল জায়গা, যেমন জটিল এ দেশের জনগণ। আমার পরিকল্পনাগুলো কল্পনায় তো খুবই সোজা। বাস্তবে প্রয়োগ ঘটানো নিশ্চিতভাবে খুবই খুবই কঠিন। বইটি শুধু লিখেই নয়, অনেক মহৎ সব কাজ করে উদাহরণ স্থাপন করেও দেখিয়ে দিতে হবে যাতে মানুষ বুঝতে পারে। আর সেজন্য প্রয়োজন টাকার। আবার রাষ্ট্রপতি / প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে পরিচিতির ও দরকার আছে। সেজন্য আগে একটা ব্র্যান্ডনেম(আপনার কাছে থেকে শেখা) হিসেবে পরিচিত হওয়া দরকার।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে জ্ঞান অর্জন, বইটি লিখার কাজ ধীরে ধীরে চালানো, টাকার ব্যবস্থা করা, খ্যাতি অর্জন করা এবং নিজের ভিত্তি তৈরি করা এ সবকিছু একসাথে করার জন্য উত্তম উপায় হচ্ছে ব্যবসা করা।
আপাতত ইচ্ছা হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা করবো, তারপর ঢাকা শহরে প্রচুর ঘুরবো, ছোট ব্যবসার সাথে যুক্ত হব এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা নিবো, তারপর কোম্পানিগুলোতে মাঝে মাঝে চাকরি করবো অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এভাবে ২০২৭-২০২৮ সাল পর্যন্ত আগে নিজে শিখবো, অভিজ্ঞতা নিবো, প্রয়োজন হলে ঠকবো। যা হবে ইনশাআল্লাহ্ দেখা যাবে। তারপর নিজে কোনো বড় আকারের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করবো। এটা হলো ভিত্তি স্থাপনের শুরু। এখানে থেকে পরবর্তী ২০-২৫ বছর ব্যবসা করে টাকা উপার্জন, রাতে পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন এবং একটু একটু করে বই লেখা, ব্যবসার বিস্তৃতি পুরো দেশে ঘটানো যাতে এমনিতেও পরিচিতি বাড়ে, রাজনীতিতে মাঝে মাঝে যুক্ত হতে হবে, সেখানেও শিখতে হবে অনেক কিছু। তারপর বই লেখা শেষ হলে প্রকাশ ঘটাতে হবে। এবং এইদিকে ধরেন ব্যবসায় কোনো ব্র্যান্ডনেম হিসেবে তৈরি হতে হবে। অ্যাপল যেমন মোবাইল এর ব্রান্ডনেম। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এক কথায় মানুষ চিনে। এরকম কোনো প্রোডাক্ট যেমন কাপড় বা কোনো স্পেশাল খাবার বা যেকোনো কিছুর ব্রান্ডনেম হতে হবে। যাতে এক কথায় মানুষ চিনে যে ওটা ভালো। আর এই ব্যবসা শুরুর স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে আগে ধনীদের হাতের বস্তু হতে হবে। ধনীরাই ওটার বেশি প্রচার ঘটাবে আপনাআপনি। তারপর একটু সহজলভ্য করে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে আনতে হবে। শেষে মাঝে মাঝে অর্জিত অর্থ পণ্য হিসেবে বা অর্থই গরিবদের দান করতে হবে। সবাই যাতে খুশি থাকে এবং সুযোগ পায় এবং উপকৃত হয় ওই পণ্য এবং ব্র্যান্ডনেম দিয়ে। দেশে ৬৪ জেলা এবং ৬৪ জেলায়ই এই ব্র্যান্ড এর শো রুম রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং ব্যবসায়িক বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। পরিকল্পনা খুবই সোজা। বাস্তবায়নে কী পরিমাণে পরিশ্রম এবং টাকা লাগবে সেগুলোর কিছুই আমার নেই। তবে হাল ছাড়তে চাই না ইনশাআল্লাহ্। এত বড় বড় দায়িত্বগুলো, কেমন করে হাল ছাড়ব?

শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কোনো আলাদা বিভাগ থাকত যে এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করলে রাষ্ট্রপতি হওয়া যায় বা রাষ্ট্রপতি হলে কী করতে হবে সেগুলোর প্রশিক্ষণ আগে থেকেই পাওয়া যায় ওই বিভাগে পড়ে, তাহলে হয়তো ওই বিভাগ নিয়ে পড়তাম আর কোনো একদিন ইনশাআল্লাহ্ রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হতাম। কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থাও নেই। আর থেকেও লাভ হতো বলে মনে হয় না। কারণ বাছাই প্রক্রিয়া খুবই বাজে। কে জানে বাদ পড়তাম নাকি। কারো কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই। অধিকাংশই চায় কোনো রকমে যেকোনো একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সুযোগ নিয়ে লেখাপড়া করতে এবং যেকোনো চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে। যেমন আমার কলেজের স্যার মাঝে মাঝে উদাহরণ দিত যে, অনেকে আছে বুয়েট এ পড়ার পরে বিসিএস দিয়ে পুলিশ হয়। এটা কেমন করে কী হলো স্যারও নাকি বোঝেন না। ওনার জীবনের লক্ষ্য কী ছিল তাহলে আর বুয়েট এ চান্স নিয়ে কী লাভ হলো আর দেশই বা কিভাবে উপকৃত হলো?
যাইহোক, সবখানেই যেহেতু সমস্যা তাই আমি এত জটিল এবং কঠিন সমাধান বের করেছি। ইনশাআল্লাহ্ এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাকি সমস্যাগুলো নিজে রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো আর সমাধান করতে না পারলেও সমাধানের বীজ বপন করে রেখে যাবো। সুতরাং উপরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪২-২০৪৫ সালের দিকে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে চাই, ইনশাআল্লাহ্ ওই বইটি হবে আমার নির্বাচনী প্রচারণার মূল বিষয়। তত দিনে এদিকে ইনশাআল্লাহ্ নিজের ব্যবসা এবং মূল ভিত্তি অনেক শক্তিশালী হবে।

একদিন এক স্বপ্নে দেখেছিলাম যে, আমাকে একটা সোনার কলম দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই কলম দিয়ে যেকোনো কিছু করতে পারবে বা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে। আমি স্বপ্নে তখন কলম নিয়ে ছুটোছুটি করছিলাম যে কী করা যায়। এ দিক থেকেও বিশ্লেষণ করলে উপরোক্ত বিষয়গুলো এবং আরো অনুল্লিখিত অনেক কিছু আমার সর্বোচ্চ দায়িত্ব হতে পারে। আমি যেদিক থেকেই বিশ্লেষণ করি না কেনো আমি খুঁজে পাই যে এগুলোর জন্যই আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে ইনশাআল্লাহ্।

পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে, আমাদেরকে অর্থাৎ মানবজাতিকে যদি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই একেবারে নিজেদের মন মর্জির উপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর দিকেই চলে যাই এবং ওগুলো করতে থাকি। এর ফলে সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়, একে অপরের সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেই, সমাজে অস্থিরতাসহ যত রকমের অপকর্ম আছে সেগুলো শুরু হয়ে যায়। তাই আইন এর মাধ্যমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আমি যেই নৈতিকতা, স্বাধীনতা এবং মহত্ত্বের শিক্ষার কথা বললাম সেগুলো যে আমরা সবাই মানব বা বুঝব সেটাও তো না। আমরা অনেকেই মানব না এবং এই আমদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর আইনের ও প্রয়োগের দরকার আছে। কারণ আমরা তো স্বাধীন না, নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই। লোভ, স্বার্থ, হিংসা বা বিভিন্ন কু-প্রবৃত্তি দ্বারা আমরা নিয়ন্ত্রিত হই মাঝে মাঝে। তাই আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে, আইনের প্রয়োগ করতে হবে।

স্যার, আমি তো একটা সাধারণ কিশোর মাত্র। আমার কোনো পরিচয় এখনোও নেই, ভিত্তি নেই, কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, বলা চলে কিছুই নেই। তবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আছেন এবং বিশ্বাস আছে যে, উনি যদি আমাকে সফল করতে চান তাহলে কোনো কিছুই না থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের সময় সব এসে যাবে। আর উনি যদি চান যে আমার সফল হওয়ার আপাতত কোনো দরকার নেই, তাহলে আমরা সেটাই মেনে নিতে বাধ্য। আগেই অনেকবার বলেছি আপনার সাথে পরিচয় হওয়াটাও পুরোপুরি অলৌকিক বিষয় আমার কাছে।

আমার এত এত কিছুর মাঝে অনেক অস্থায়ী বিষয়ের মাঝে একটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় খুঁজে পেয়েছি যে, যাই হোক না কেনো আল্লাহ সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। কত ব্যর্থ হই না কেন বা কতই সফল হই না কেনো আল্লাহ সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ্। আর আল্লাহ থাকলে ভয় কিসের?

স্যার, আপনাকে এগুলো জানানোর কারণ হচ্ছে যে, আমার দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। আমার কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। এতদিন কাউকে কিছুই বলিনি কারণ বিষয়গুলো বা ধাপগুলো সহজ ছিল এখন ধীরে ধীরে কঠিন হচ্ছে এবং আরো হবে। আর এই সময়ে ভুল করলে সেটা আবার ঠিক করা অনেক কঠিন ব্যাপার। আমি কিছুই জানি না। আমি আসলেই কিছুই জানি না যে আমার পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো কী হওয়া উচিত, যেগুলো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি ওগুলো আদৌ সঠিক কিনা। হতে পারি কল্পনার রাজ্যের প্রেসিডেন্ট কিন্তু বাস্তব জগৎ তো একে বাড়েই আলাদা।

শেষে বলতে চাই অনেক অনেক বিষয় চিন্তা করেছি, গবেষণা করেছি যেগুলো এখানে বর্ণনা করা বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন। এটা শুধু একটা সারাংশ মাত্র। এগুলো করেছি যাতে ইনশাআল্লাহ্ সফল হতে পারি দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করার জন্য। শেষে এটাই বলতে চাই যে, আজকে এখানে আমি রোগী আর আপনি চিকিৎসক। এগুলো আমার সমস্যা। দেখেন কী করা যায়।'

কী কবো আমি, কী বোঝাব, এমন একটি লিখা পেয়ে। তবে হ্যাঁ আমি ছেলেটির সাথে কথা বলেছি। কথার শেষে কেন জেনো মনে পড়ে গেল-
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।

লেখক : সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন
rahman.mridha@gmail.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us