যে ৬ কারণেও বাড়তে পারে রক্তচাপ
যে ৬ কারণেও বাড়তে পারে রক্তচাপ - ছবি : সংগ্রহ
উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশের সমস্যা অনেকেরই বাড়ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার সমাধান না করলে ভবিষ্যতে বড় গোলযোগ হতে পারে। অঙ্গহানি, হৃদরোগের মতো বড়সড় জটিলতা তো বটেই, এই হাইপারটেনশনের কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, ঠিক কোন কোন কারণে বাড়ছে তার রক্তচাপ বা হাইপারটেনশের সমস্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বেশ কিছু কারণ। আপাতভাবে সেগুলোকে বিশেষ সমস্যার না মনে হলেও, এগুলো রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
* খাবারে লবণের পরিমাণ প্রথমেই মিয়ে ফেলুন। লবণ রক্তচাপের মাত্রা প্রচুর বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কাঁচা নুন মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এড়িয়ে চলুন লবণ।
* আপনি কি ধূমপান করেন? রক্তচাপ বা হাইপারটেনশের বড় কারণ হতে পারে এটিই। যারা ধূমপান করেন, তাদের রক্তচাপ এমনিই স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
* ধূমপানের মতো না হলেও মদ্যপানেও একই সমস্যা হতে পারে। তাতেও বাড়তে পারে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশের সমস্যা।
* নানা কারণে মানসিক চাপে থাকেন অনেকে। হয়তো সেই চাপ খুব প্রত্যক্ষভাবে বোঝাও যায় না। তাঁদেরও রক্তচাপ বাড়ে বা হাইপারটেনশের সমস্যা হয়।
* অতিরিক্ত মাত্রায় কফি পান করলেও এই সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
* সপ্তাহে অন্তত চার দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা উচিত। যারা এটি করেন না, তাদেরও উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশের সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
রক্তে কি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে?
অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বেশির ভাগ চিকিৎসকের মতে, যারা নিয়মিত মাছ-গোশত খেয়ে থাকেন, তাদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য।
মূলত হাড় ও কিডনির ওপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। খাওয়া-দাওয়ায় একটু হ্রাস টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোননো ধারণা নেই। সে ক্ষেত্রে এই কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতেই হবে।
১) শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দিতে। তবে বার বার প্রস্রাব ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডে মাত্রা বেড়ে গেলে বেশি প্রস্রাব থেকে বেরতে পারে রক্তও। এ ছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
২) ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা এতটা বেশি হয় যে মানুষটি প্রস্রাব এলেও অনেক সময় করতে চান না। এর থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তাই আপনার সাথেও এমনটা ঘটলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস, মদ খাওয়া চলবে না। করা যাবে না ধূমপানও। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো সব্জি না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি, অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- গরু বা খাসির গোশত, সামদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়।
ওজন বেশি থাকলেও এই রোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা করাও জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে অবিলম্বে চিকিতৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। সে ক্ষেত্রে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা