জ্বর ছাড়াও যেসব উপসর্গে সতর্ক থাকবেন
জ্বর ছাড়াও যেসব উপসর্গে সতর্ক থাকবেন - ছবি : সংগ্রহ
গত কয়েক বছরে কোভিড ঘিরে একাধিক পরিস্থিতি সামনে এসেছে বিশ্বের। প্রকাশ্যে এসেছে বহু কোভিড ভ্যারিয়েন্টের নাম। সাম্প্রতিককালে কোভিডের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঘিরেও উদ্বেগ তৈরি হয়। প্রবল সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে চলা এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কাশি, সর্দিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে উপস্থিত হয় হয়েছে। রোগীর দেহে জ্বরের প্রকোপ সেভাবে দেখা না গেলেও কাশি বা সর্দির প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসছে ওমিক্রনের নবতম উপসর্গ।
ওমিক্রনের উপসর্গ
বিভিন্ন গবেষণার সূত্র ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীরাই জানাচ্ছেন তাদের শরীরে দুটি জায়গায় ব্যথা শুরু হয়েছে। কাঁধে ও পায়ে ব্যাথা হওয়া ওমিক্রন আক্রমণের অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। মূলত, গলা ব্যথা ও শরীরে ব্যথাই ওমিক্রনের উপসর্গ হিসাবে ধরা হয়। এছাড়াও কাঁধে ও পায়ে প্রবল যন্ত্রণাও ওমিক্রনের অন্যতম উপসর্গ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ইউকের কোভিমড ট্র্যাকার অ্যাপ জো কোভিড-এর বক্তব্য অনুযায়ী, সর্দিভাব, মাথায় যন্ত্রণা, ক্লান্তি, হাঁচির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ব্রিটেনের ই কোভিড ট্র্যাকার বলছে, বহু ওমিক্রন আক্রান্তই ডায়রিয়াতে ভুগছেন। অনেকেরই খাওয়া দাওয়ায় আসক্তি কমেছে, রয়েছে পেট ব্যথা। এই সমস্তই ওমিক্রনের উপসর্গ।
কেমন থাকে যন্ত্রণা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যন্ত্রণা প্রবলভাবে হতে পারে। যতক্ষণ না সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগী ততক্ষণ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা হতে পারে। এছাড়াও পায়ে দুর্বলতা বা অসাড়ভাব অনুভব করতে পারেন রোগী। অনেক ওমিক্রন আক্রান্তের দাবি, তাদের কাঁধেও অসাড়ভাব ছিল। সঙ্গে ছিল একটা 'স্টিফ' থেকে যাওয়ার মতো অনুভূতি ছিল কাঁধে।
যন্ত্রণা কেন হয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো রকমের ভাইরাস আক্রমণেই পেশীতে ব্যথা একটি খুবই সাধারণ উপসর্গ। অনেক সময় ভাইরাস মাসক্যুলোস্কেলিটাল সিস্টেমে আঘাত করে থাকে,তাই পেশীর ব্যথা অনুভূত হয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে এমন কয়েকটি মিডিয়েটারও কার্যকরী হয়ে থাকে। মাসক্যুলোস্কেলিটাল সিস্টেমে আঘাত করলে শরীরে জয়েন্টে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা হয়। আর তার বার্তাই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
রক্তে কি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে? যেভাবে বুঝবেন
অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বেশির ভাগ চিকিৎসকের মতে, যারা নিয়মিত মাছ-গোশত খেয়ে থাকেন, তাদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য।
মূলত হাড় ও কিডনির ওপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। খাওয়া-দাওয়ায় একটু হ্রাস টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোননো ধারণা নেই। সে ক্ষেত্রে এই কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতেই হবে।
১) শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দিতে। তবে বার বার প্রস্রাব ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডে মাত্রা বেড়ে গেলে বেশি প্রস্রাব থেকে বেরতে পারে রক্তও। এ ছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
২) ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা এতটা বেশি হয় যে মানুষটি প্রস্রাব এলেও অনেক সময় করতে চান না। এর থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তাই আপনার সাথেও এমনটা ঘটলে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস, মদ খাওয়া চলবে না। করা যাবে না ধূমপানও। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো সব্জি না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি, অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- গরু বা খাসির গোশত, সামদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়।
ওজন বেশি থাকলেও এই রোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা করাও জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে অবিলম্বে চিকিতৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। সে ক্ষেত্রে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা