মুখে আলসার! যেভাবে তীব্র যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারেন
মুখে আলসার! যেভাবে তীব্র যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারেন - ছবি : সংগ্রহ
জিভের নিচে কিংবা গালে ঘা হলে খাওয়াদাওয়া করতে বা কথা বলার সময়ে প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এ রকম সমস্যাই হলো মুখে আলসারের লক্ষণ। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হয়। এ ছাড়া শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-র ঘাটতির কারণেও এই রোগ হতে পারে। এক বার এই রোগের কবলে পড়লে এর থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল।
এই তীব্র যন্ত্রণার হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন?
এই সমস্যা দেখা দিলে কয়েক দিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। যতটা সম্ভব হবে লঙ্কা, আদা রসুন ছাড়া খাবার খেতে হবে। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখ সব সময়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে অন্তত তিন বার দাঁত মাজতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
১) মুখের ক্ষত অংশে কয়েক ফোঁটা মধু লাগাতে পারেন
২) যেখানে আলসার হয়েছে, সেখানে বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগালেও আরাম পাবেন
৩) পানির সঙ্গে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এ বার সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন দু’বার করে কুলকুচি করুন
৪) লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ভালো থাকে। মুখে আলসার কমাতেও একই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন
৬) কমলালেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি-র অভাবে মাউথ আলসার হয়। তাই মাউথ আলসার হলে কমলালেবুর রস লাগাতে পারেন
৭) গরম পানিতে ত্রিফলা মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঘা কমবে।
কোন কোন রোগে হৃদ্স্পন্দন বাড়ে!
বর্তমানে অনেকেই এমন কিছু যন্ত্র ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে নিয়মিত হৃদ্স্পন্দনের হার মাপা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্স্পন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়। তবে হৃদ্স্পন্দনের হার ব্যক্তি ভেদে প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-ও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদ্স্পন্দনের হার একাধিক অসুস্থতার উপসর্গ হতে পারে। হৃদ্স্পন্দনের হার কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়া যথাক্রমে ব্রাডিকার্ডিয়া ও ট্যাকিকার্ডিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তবে যারা পেশাগত ভাবে খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা করেন তাদের হৃদস্পন্দনের হার সাধারণভাবে অপেক্ষাকৃত কম হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদ্স্পন্দনের হার কম হওয়ায় পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। হৃদ্যন্ত্রের যে অংশটি হৃদ্স্পন্দনের উৎস সেই সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড সঠিক ভাবে কাজ না করলে হৃদ্স্পন্দনের হার কমে যেতে পারে। এটি হৃদ্রোগের অন্যতম লক্ষণ। আবার টাইফয়েডের মতো কিছু কিছু রোগের সংক্রমণের ফলেও এই হার কমে যায়। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলেও এমন ঘটনা ঘটে। রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদ্যন্ত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবার হৃদ্স্পন্দনের হার স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলেও সেটি ডেকে আনতে পারে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত যেকোনো ধরনের জ্বর বাড়িয়ে দেয় হৃদ্স্পন্দনের হার। সংবহনতন্ত্রের একাধিক সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ্স্পন্দনের হার। রক্তাল্পতা ও হাঁপানির মতো সমস্যাও হৃদ্স্পন্দনের হার বাড়িয়ে দিতে পারে। কোভিডের পরেও বেশ কিছু রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
হৃদ্স্পন্দনের অস্বাভাবিক হার হৃদ্রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ক্লান্তি, ঝিমুনি, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট- সবই এর লক্ষণ। আবার বিশ্বে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণই হল হৃদ্রোগ। কাজেই এই ধরনের সমস্যা উপেক্ষা করা একেবারেই অনুচিত। বর্তমানে হৃদ্স্পন্দন মাপার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ায় প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে দিয়েই এর পরিমাপ সম্ভব। কাজেই যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা