খাওয়ার পর ঘুম নয়, একটু হাঁটুন : পাবেন অনেক উপকার
খাওয়ার পর একটু হাঁটুন : পাবেন অনেক উপকার - ছবি : সংগ্রহ
দুপুরবেলা জমিয়ে আহারের পর একটু বিশ্রাম না নিলে কি চলে! যেমন ভাবনা তেমন কাজ। খাওয়াদাওয়ার পর সটান বিছানায় শুয়ে পরলেন আর তার পরেই একচোট ভাতঘুম। এই আলস্য থেকেই কিন্তু হতে পারে বদহজমের মতো সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে যত সচল রাখবেন, ততই সুস্থ থাকবেন। খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস সত্যিই কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
১) খাবার খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে, হজমশক্তি বাড়ে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।
২) অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত? খাওয়ার পরই বিশ্রাম নিলে কিন্তু শরীরে মেদ জমতে পারে। একটু হাঁটাচলা করে নিয়ে সেই সমস্যা দূর হবে। ক্যালোরি খরচ করার জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।
৩) খাওয়ার পর হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের সুগারের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পর হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেঁটে নিলে রক্তে শর্করা তৈরি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪) খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে আসে।
৫) যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য অভ্যাস খুবই উপকারী।
তবে খাওয়ার পর কখনই খুব জোরে হাঁটবেন না। ধীর গতিতে হাঁটুন। তাতেই উপকার পাবেন। প্রথমেই ১০ মিনিট হাঁটার প্রয়োজন নেই। ৫ থেকে ৬ মিনিট হাঁটতে শুরু করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
শীতের মরসুমে সর্দি-জ্বর নিয়ে চিন্তিত? কোন তিনটি খাবার সুস্থ রাখবে শরীর
শীতকালে শরীরের প্রতি একটু বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। তার জন্য জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও খানিক বদল আনা জরুরি।
শীত পড়তেই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। কথায় বলে শীতকালে এক বার ঠান্ডা লাগলে তা নাকি সহজে যেতে চায় না। সারা বছর থেকে যায়। সর্দি-কাশি ছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের এই সময় বিভিন্ন ভাইরাসজনিত সংক্রমণের আশঙ্কাও থেকে যায়। সারা বছর তো বটেই, শীতকালে শরীরের প্রতি একটু বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। তার জন্য জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও খানিক বদল আনা জরুরি। শীতকালীন আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে এমন কিছু খাবার বেছে নেয়া উচিত যেগুলো শরীরকে ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধের শক্তি জোগাবে। সেগুলি কী?
কাজু, আখরোট এবং কাঠবাদাম
এই তিনটি বাদামেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। পুষ্টিবিদরা শীতকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যুক্ত এই বাদামগুলি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মিষ্টি আলু
ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু শুধু যে স্বাদের খেয়াল রাখে তা নয়। যত্ন নেয় শরীরেরও। এই শীতকালে খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন মিষ্টি আলু।
আদা
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আদা রান্নাঘরে মূলত আনাজ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। শীত পড়তেই গলা ব্যথা ও সর্দি-কাশির যে প্রকোপ দেখা দেয় আদা সেই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন। শীতকালীন ঠান্ডা লাগা ছাড়ায় ভাইরাসজনিত সমস্যারও মোকাবিলা করে আদা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা