শীতকালে বার বার টয়লেটে যেতে হয়?

শীতকালে বার বার টয়লেটে যেতে হয়? - ছবি : সংগ্রহ
সাধারণত দেখা যায়, শীতকালে পানি পান করার প্রবণতা কমে আসে। গরমকালে যে পরিমাণ আমরা পানি পান করে থাকি, শীতকালে তার হার অনেকটাই কমে যায়। ঠান্ডার মধ্য়ে লেপ বা কম্বলের তলায় যেই না ঢুকেছেন, দেখবেন তখনই টয়লেটে যাওয়ার টান! ব্যস, সব আরাম এক মিনিটে ঘেঁটে ঘ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক কারণ। বিশেষ করে ঋতু বদলের সঙ্গে আমাদের শরীরের মধ্যেও নানা পরিবর্তন ঘটে। যার ফলেই এরকমটা হয়।
চিকিৎসকের মতে, শীতকালে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো রক্ষা করতে রক্তনালীর সংকোচন ঘটে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতেই এমনটা ঘটে। ফলে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতোই কিডনিতেও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানের ভাষায় এই পদ্ধতিটিকে বলা হয় ভ্যাসোকন্সট্রিকশন। ফলে কিডনিকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করতে হয়। আর এই কারণেই মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বার বার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা হাইপোথার্মিয়ার লক্ষণ হতে পারে। যখন শরীরের উৎপাদিত তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাপের চেয়ে কম হয় তখন শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যেতে থাকে। একেই হাইপোথার্মিয়া বলে। এই অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে বারবার প্রস্রাবের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কম্পন, শ্বাসের সমস্যা, দুর্বল হৃদস্পন্দন ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
আবার যাদের ব্লাডসুগারের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যায়। তবে এসব সমস্যা ছাড়াও যদি বার বার টয়লেটে ছুটতে হয়, তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ভুলেও, বার বার প্রস্রাব পাচ্ছে বলে, পানি কম খাবেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, বরং শীতকালেই পানি পান করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কারণ, এই শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করবে পানি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
স্ট্রোকের আগে কি হাত-পা সঙ্কেত দেয়?
স্ট্রোক হওয়া মানেই সাথে সাথে চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসায় সামান্য দেরি হলেই ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু কখনো কখনো একটু আগে থেকে সতর্ক হওয়া গেলে বড় বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়।
স্ট্রোক নানা ধরনের হয়। কিন্তু ইস্কেমিক স্ট্রোক দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তচলাচল কমে যাওয়ার কারণেই হয় এই ধরনের স্ট্রোক। আর এই ধরনের স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যে, এর কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ হয় না, যা দেখে সাবধান হওয়া যাবে।
তবে কিছু সূক্ষ্ম উপসর্গ রয়েছে। তা চিনতে পারা জরুরি। তা হলেই পরিস্থিতি অনেকটা সামলে নেয়া যেতে পারে। এই স্ট্রোক সাধারণত শরীরের একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রভাব ফেলে। তার উপসর্গও সেভাবেই চেনা যায়।
কোন কোন উপসর্গ খেয়াল করা যেতে পারে?
প্রধান উপসর্গ হলো হাত ও পা দুর্বল-শিথিল হয়ে যাওয়া। স্ট্রোকের অন্যান্য সমস্যা হঠাৎ দেখা দেয়। কিন্তু এই উপসর্গটি দেখা দেয় বাকি সব লক্ষণ জানান দেয়ার আগেই। হাত-পা নাড়াতে সমস্যা হয়। প্যারালিসিসের শুরু হয় এ সময় থেকে। কোনো কাজ করতে গেলেই হাত-পা বাধা তৈরি করতে পারে।
এমনটা হওয়ার পিছনে কারণ কী?
আমাদের সব ধরনের নড়াচড়ার সঙ্কেতই আসে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যেতে শুরু করে। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়।
এমন সমস্যা যদি অনুভব করেন, সে সময়েই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। অপেক্ষা করলেই বাড়তে পারে বিপদ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা