উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা? চোখ দেখেই বুঝতে পারেন
উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা? চোখ দেখেই বুঝতে পারেন - ছবি : সংগৃহীত
উচ্চ কোলেস্টেরল এখন পরিচিত একটি সমস্যা। সাধারণভাবে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষকে এই সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়।
এই রোগে রক্ত প্রবাহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। এই বাড়তি কোলেস্টেরল রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া লিপিড ডিসঅর্ডার বা হাইপারলিপিডেমিয়া নামেও পরিচিত।
উচ্চ কোলেস্টেরলের সাধারণ উপসর্গগুলোা কী কী?
বমি বমি ভাব, শরীর অসাড় হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ইত্যাদি এই উপসর্গগুলো উচ্চ কোলেস্টেরলের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে চোখের কিছু উপসর্গ
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে চোখে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। চোখের পাতার উপরের পৃষ্ঠে সাদা বা হলুদ রঙের হালকা দাগ দেখা যায়। এ ছাড়াও কোলেস্টেরলের আরও একটি উপসর্গ চোখের মণির চারপাশে সাদা গোল গোল দাগ। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘কর্নিয়াল আর্কাস’ বলে। যদি আপনার বয়স ৫০ বছরের কম হয় এবং আপনি যদি কর্নিয়াল আর্কাসে আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে আপনার উচিত দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। হতে পারে আপনি হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়ায় আক্রান্ত।
স্ট্রোকের আগে কি হাত-পা সঙ্কেত দেয়?
স্ট্রোক হওয়া মানেই সাথে সাথে চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসায় সামান্য দেরি হলেই ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু কখনো কখনো একটু আগে থেকে সতর্ক হওয়া গেলে বড় বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়।
স্ট্রোক নানা ধরনের হয়। কিন্তু ইস্কেমিক স্ট্রোক দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তচলাচল কমে যাওয়ার কারণেই হয় এই ধরনের স্ট্রোক। আর এই ধরনের স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যে, এর কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ হয় না, যা দেখে সাবধান হওয়া যাবে।
তবে কিছু সূক্ষ্ম উপসর্গ রয়েছে। তা চিনতে পারা জরুরি। তা হলেই পরিস্থিতি অনেকটা সামলে নেয়া যেতে পারে। এই স্ট্রোক সাধারণত শরীরের একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রভাব ফেলে। তার উপসর্গও সেভাবেই চেনা যায়।
কোন কোন উপসর্গ খেয়াল করা যেতে পারে?
প্রধান উপসর্গ হলো হাত ও পা দুর্বল-শিথিল হয়ে যাওয়া। স্ট্রোকের অন্যান্য সমস্যা হঠাৎ দেখা দেয়। কিন্তু এই উপসর্গটি দেখা দেয় বাকি সব লক্ষণ জানান দেয়ার আগেই। হাত-পা নাড়াতে সমস্যা হয়। প্যারালিসিসের শুরু হয় এ সময় থেকে। কোনো কাজ করতে গেলেই হাত-পা বাধা তৈরি করতে পারে।
এমনটা হওয়ার পিছনে কারণ কী?
আমাদের সব ধরনের নড়াচড়ার সঙ্কেতই আসে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যেতে শুরু করে। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়।
এমন সমস্যা যদি অনুভব করেন, সে সময়েই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। অপেক্ষা করলেই বাড়তে পারে বিপদ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা