বিরল ক্যান্সারও বাগে আনা সম্ভব

ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায় | Feb 10, 2022 03:54 pm
বিরল ক্যান্সারও বাগে আনা সম্ভব

বিরল ক্যান্সারও বাগে আনা সম্ভব - ছবি : সংগ্রহ

 

আধুনিক চিকিৎসায় বিরল ক্যান্সারও বাগে আনা সম্ভব। কিভাবে সেই চিকিৎসা?

 বাচ্চাদের কানের প্যারোটিড গ্রন্থিতে টিউমার খুব কম দেখা যায়। কানের নিচ ফুললেও ব্যথা হয় না। অনেক সময় বাচ্চারা বোঝে না। এই বিরল ক্যান্সারকে বলা হয় মিউকোএপিডারময়েড কার্সিনোমা। ঠিক সময়ে শনাক্ত হলে অপারেশনে নির্মূল করা সম্ভব।

 মেডডিউলারি থাইরয়েড ক্যান্সার খুব বিরল। ধীরে ধীরে গলার বিভিন্ন গ্রন্থিতে ছড়ায়। চিকিৎসা অপারেশন।

 অনেকসময় বুকের মধ্যে এক ধরনের টিউমার হয় যা সাধারণ ফুসফুসের টিউমার নয়। এই ক্যান্সারাস টিউমারগুলোকে বলে এক্সট্রা গোনাডল জার্মসেল টিউমার। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। কেমোথেরাপির সাহায্যে এই ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়।

 কিছু ক্ষেত্রে স্তনের টিউমার বড় হয়ে বিরল ক্যান্সার সৃষ্টি করে, যা দ্রুত ছড়ায়। বলা হয় সিস্টোসারকোমা ফিলয়েডস। কম বয়সিরাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। অপারেশনে এটিরও নিরাময় সম্ভব।

 লিভারের একটি বিরল ক্যান্সারকে বলা হয় কার্সিনয়েড। এটা ক্যান্সারাস বা নন ক্যান্সারাসও হতে পারে। অপারেশন ও ওষুধের সাহায্যে এর চিকিৎসা সম্ভব।

 পাকস্থলীতেও গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল স্ট্রোমাল টিউমার নামে বিরল ক্যান্সার হতে পারে। প্যানক্রিয়াসেও বিরল ক্যান্সার হয়। রোগীর পিঠব্যথা থেকে শনাক্ত করা হয়। অপারেশনে নিরাময় সম্ভব।

 কিছু ক্ষেত্রে কোলন ও মলদ্বারে কিছু পলিপ তৈরি হয়। টিউমারগুলো নন-ক্যান্সারাস বা ক্যান্সারাস দুই হতে পারে। ক্যান্সার হলে রেক্টাল পলিপ বলে। বেশ বিরল। তবে অপারেশনে রোগমুক্তি সম্ভব। অনেকসময় মলদ্বার থেকে রক্তপাত হলে মানুষ অর্শ বলে ভুল করেন। দেখা যায়, পাইলস, ক্যান্সার দুই রয়েছে।

 ওভারিতে কিছু বিরল টিউমার হওয়ায় ক্যান্সার হতে পারে। কম বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে জার্মসেল টিউমার বেশি দেখা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ধরনের টিউমার অণ্ডকোষেও হতে পারে। সারাতে অপারেশন ও কেমোথেরাপির প্রয়োজন।

তবে বার্তা একটাই- ভয় পাবেন না। কারণ, ক্যান্সার জয় আর অসম্ভব নয়।

সূত্র : বর্তমান

গায়ে দুর্গন্ধ কেন হয়?
গায়ে দুর্গন্ধ! সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করেও লাভ হচ্ছে না। কড়া গন্ধের ডিওড্রেন্ট একমাত্র ভরসা। কোথাও বেরোলে ব্যাগে মোবাইল, হেডফোনের পাশাপাশি পকেট ডিও রাখা মাস্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এত দুর্গন্ধ হচ্ছে? জানার চেষ্টা করেছেন? এই প্রতিবেদন গায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান করবে।

কেন গায়ে দুর্গন্ধ হয়?

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, গায়ে গন্ধ তৈরি হওয়া, বিশেষ করে বগলে গন্ধ হওয়া একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটি পিউবার্টির (প্রজনন চক্রে প্রবেশের সময়) সময় শুরু হয়, চলে আজীবন। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটা সমস্যা। শরীরে দুর্গেন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে থাকে। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। সে কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।

নানা রকম পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেও মেলে না মুক্তি। তাতে হয়তো সাময়িকভাবে গন্ধ দূর হয়, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার আগের রূপে ফিরে আসে।

তাহলে কী করলে গায়ে দুর্গন্ধ ফিরে আসবে না?

মনে রাখবেন, যে খাবার খাচ্ছেন, সমস্যা তাতেই রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন আপনি যা খাচ্ছেন সেখান থেকে যৌগ ভেঙ্গে সরলীকরণ হয়, সেই পদ্ধতিতে সমস্যা থাকছে। খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে অনেকের গায়ে দুর্গন্ধ হয়। রেড মিট, ডিম, পেঁয়াজ, ব্রকোলি, রসুন ইত্যাদি খবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। সব খাবারে আলাদা আলাদা রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ সব খাবার খেলে নানা রকমের গন্ধ তৈরি হয়। ঘাম উৎপাদক সোয়েট গ্ল্যান্ডের ব্যাকটেরিয়াল ব্রেক ডাউনের ফলে দুর্গন্ধ হয়। তা বলে কী খাবেন না এই ধরণের খাবার! একদমই তা নয়। এই খাবার খাওয়ার পর খুব বেশি করে পানি খাওয়া উচিত।

বেশি অ্যালকোহল পান করছেন আপনি? যদি তাই হয় মনে রাখবেন, আপনার স্বেদ গ্রন্থি অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এর ফলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। যাদের গায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়, তারা এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
মানসিক ভাবে উদ্বিগ্ন থাকলে দেহের অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে আরও উত্তেজিত করে তোলে এই গ্রন্থি। স্ট্রেস বা উদ্বেগ কিন্তু দুর্গন্ধের কারণ না, দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয় শুধু। সুতরাং মানসিক চাপ বেশি নেবেন না।

বয়ঃসন্ধিতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যা চলতে থাকলে বুঝতে হবে বড় কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অনেক সময় গায়ে দুর্গন্ধ হয়। স্নায়ুর অসুখ অথবা হাইপারথায়রইয়েডিসম থাকলেও সমস্যা বাড়তে পারে।

পেট ভরে খাওয়ার মানে কিন্তু পুষ্টির চাহিদা পূরণ নয়। বরং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রয়োজনীয় সব খাবার সঠিক পরিমাণ খাওয়া দরকার। শরীর পুষ্টিহীন হলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘাম থেকে বাজে গন্ধ হয়। তাই পুষ্টিপূর্ণ করার দিকে নজর দিন।

সূত্র : জি নিউজ


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us